ভূঞাপুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ব্যবসায়ীরা মানছেননা সরকারী নিষেধাজ্ঞা

কামরান পারভেজ ইভান, টাঙ্গাইলঃ করোনা ভাইরাস এখন সারাদেশে একটি আতঙ্কের নাম। ইতিমধ্যে দেশে ২৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এই প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস আতঙ্কে প্রভাব পড়েছে ব্যবসা, পরিবহন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই। করোনা ভাইরাস আতঙ্ককে পুঁজি করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি করে দিচ্ছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলেও দ্রব্যমূলের উর্ধগতি কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীদের এই অযুহাতের কাছে বন্দি জনগণ। গোবিন্দাসী বাজারে এর প্রভাব কোন অংশে কম নেই। ইতিমধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সকল পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে চালের বাজারে এর প্রভাবটা বেশি পড়েছে। রাতারাতিই বস্তা প্রতি ৫০ থেকে ৮০ টাকা কোন কোন এবং ক্ষেত্রে ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করলেও বেশি দামে কেনার ক্রয় রশিদ দেখিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। শুধু চালের বাজার নয়, বেড়েছে কাঁচা বাজারের প্রতিটি পণ্যের দাম। এক্ষেত্রে সুযোগ নিয়েছে ছোট খাটো পরিবহন শ্রমিকরাও। রিক্সা, ব্যাটারী চালিত অটো ইজিবাইক সহ বিভিন্ন পরিবহনে নেওয়া হচ্ছে বেশি ভাড়া। পৌরশহরের কাঁচাবাজারসহ উপজেলার গোবিন্দাসী বাজার, নিকরাইল বাজার, নিকলা বাজারে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বেশি ধরা হচ্ছে।
গোবিন্দাসী বাজারের বেশ কয়েকজন চাল ব্যবসায়ী জানান, আমাদের এলাকায় চাল উৎপাদন খুবই কম, তাই বাইরে থেকে চাল আমদানি করতে হচ্ছে। আর সেখানেই দাম বেশি নিচ্ছে, এক্ষেত্রে আমরা কি করবো।
ফল ও কাঁচা বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী একই কথা বলেন। তবে মাংসের বাজারে দেশি মুরগীর দাম বৃদ্ধি পেলেও কমেছে বয়লার মুরগীর দাম। সেই সাথে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু-ছাগলের মাংসের দাম।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: নাসরীন পারভীন বলেন, করোনা ভাইরাস আতঙ্ককে কেন্দ্র করে কেউ যেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না করে সেজন্য আমরা সার্বক্ষনিক তদারকি করছি। আপনারা জানেন, ইতিমধ্যে আমরা চালের বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছি এবং কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ইতিমধ্যে জরিামানা ও সতর্ক করেছি। সেই সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর মধ্যে বেশ কিছু পণ্য ন্যায্য মূল্যে টিসিবি’র মাধ্যমে বিক্রয় করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এটা চলমান থাকবে। আর ব্যবসায়ীদের ভিতর কেউ যদি বেশি দামে পণ্য বিক্রি করে তবে অভিযোগ ও প্রামাণ পাওয়া মাত্র তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন