
মানুষের মন ও মননের উৎকর্ষতায় যেমন বই পাঠের বিকল্প কিছু নেই। তেমনি শিশুদের জ্ঞান বিকাশের ক্ষেত্র রচনায় বই পাঠই হতে পারে একমাত্র সেতুবন্ধ। ছোটবেলায় অজস্র কিচ্ছাকাহিনি, গল্প, কবিতা, গান শুনেই রূপকথার রাজকুমার রাজকুমারীর মত স্বপ্ন নিয়ে আমরা বড় হয়েছি। আনন্দমুখর ছিলো সেই ছোটবেলা।
ছিলো খেলার মাঠ। আর ছিলো বনে জঙ্গলে পাখির বাসা খুঁজে বেড়ানোর আনন্দ। গাছ থেকে ফল পেড়ে খাওয়া। ঘুড়ি ওড়ানো। পুকুরে সাঁতার কাটা। পুতুল খেলা, গোল্লাছুট, দাড়িয়াবান্ধা খেলা ও বৃষ্টিতে ভেজা। রঙধনুর মত রঙিন জীবন। কোথায় যেন হারিয়ে গেলো সেসব রঙিন দিনগুলো।
আমাদের শিশুরা এখন আর সবুজ মাঠে দৌড়ায় না। তাদের হাতে ‘ই-মাঠ’ রয়েছে। পৃথিবী তাদের হাতের মুঠোয়। কর্কোশ শিক্ষা ব্যবস্থায় শিশুর হাতে এখন বইয়ের পাহাড়। শিশুদের আনন্দ উপভোগ করবার সব আয়োজন আজ কর্পোরেট খাঁচায় বন্দি। এভাবেই শিশুজীবনের ছন্দপতন। শিশুদের পড়ালেখার ভেতরেও আনন্দ থাকতে হবে। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি আনন্দপাঠও দিতে হবে। হাসতে হাসতে, খেলতে খেলতে আমাদের শিশুরা বড় হবে এমনটাই প্রত্যাশা করি।
শিশুদের জন্য কালজয়ী লেখাগুলো নিয়ে আমাদের এ আয়োজন আতা গাছে তোতাপাখি, বাক বাকুম পায়রা, বর্গী এলো দেশে, বিন্নি ধানের খই, আমপাতা জোড়া জোড়া ও পুতুল নাচে বইয়ের পাতায়। সংকলনগুলো পাঠে শিশু আনন্দ নিয়েই বড় হবে নিঃসন্দেহে।
চিন্তায় প্রজ্ঞায় বিজ্ঞানমনষ্ক হবে। খাঁটি বাঙালি হিসেবে দেশের প্রতি, মাতৃভূমির প্রতি মমত্ব নিয়ে বেড়ে উঠবে। বাঙালি জাতি রাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ সন্তান এরাই। এরা যাতে সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে সে দায়িত্ব আমাদেরই।
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হল
বিশ্বসাহিত্য ভবন
প্যাভেলিয়ন নং ২৪
মন্তব্য করুন