ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com

ঈশ্বরদী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ কর্মচারীরা, দায়িত্বে অব্যাহতির আবেদন 

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ০৫:৩৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 201

ঈশ্বরদী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. দিলারা খাতুনের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন ভুক্ত ভোগী মোছা. মমতাজ বেগম।

অভিযোগকারী মোছা. মমতাজ বেগম উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের পরিবার কল্যান সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে।

তার অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মোছা. মমতাজ বেগম উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের ১/খ এর স্থায়ী পরিবার কল্যান সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। কিন্তু অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব হিসেবে উক্ত ইউনিটের পাশ্ববর্তী ১/ক এবং আসনা ও গোপালপুর গ্রামে ২/ক ইউনিটে দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করে যাচ্ছেন। এমতাবস্তায় আবারো তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তার কর্মরত ইউনিট থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরে ৩/খ  ইউনিটে অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পালনের জন্য তাকে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, আমার পুরো ইউনিট মিলে মোট কর্মচারী সংখ্যা মাত্র ৫ জন যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য।

তিনি আরও বলেন ৩/ক,২/ক, ও ২/খ ইউনিটে কর্মী দ্বায়িত্বরত থাকলেও হস্তান্তর পত্রে আমার পাশ্ববর্তী ইউনিটের কথা বলা হলেও উক্ত ৩/খ ইউনিটটি আমার পাশ্ববর্তী নহে। উক্ত ইউনিটের কর্মী থাকা সত্বেও তিনি আমাকে সেখানে দ্বায়িত্ব প্রদান করেছেন যেটা আমাকে মানুষিক এবং শারিরিক ভাবে হেনস্তা করার জন্যই এবং তার মনোবাসনা পূরণের জন্যই আমাকে সেখানের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। 

মমতাজ বেগম তার লিখিত আবেদনে আরও জানিয়েছেন, তার বর্তমান বয়স ৫২ বছর। মোট মিলিয়ে তার কর্মজীবন ৩৩ বছর। বয়সের কারনে এবং ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপের কারনে সে শারিরিক ভাবে প্রায়ই অসুস্থ্য থাকেন। তার পরেও  তার উপর অর্পিত ১/খ ও অতিরিক্ত ২/ক ইউনিটের দ্বায়িত্ব সুষ্ঠভাবে পালন করছেন। তার বর্তমান কর্মস্থল থেকে ২৫ কিলোমিটার দুরে ৩/খ তে যদি তাকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয় তবে সেটা তার উপর অতিমাত্রায় চাপপ্রয়োগ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে মমতাজ বেগম বলেন, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. দিলারা খাতুন অফিস টাকে তার পৈতৃক সম্পদ মনে করেন। তার সাথে আমরা (কর্মীরা) কোন কথা ঠিকমত বলতে পারিনা। এমন কি আমাদের প্রয়োজনে অফিসে গেলে তার মনের মত কথা না সে বাজে ব্যবহার করে এমনকি আমাদের অফিসে বসার মত একটি চেয়ারও তিনি দেন না। 

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনে তার থেকে কোন সেবা না পেলে ইউনিটের জনগনকে কিভাবে সেবা দেব? সরকার যখন দেশের মানুষের দৌড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ঠিক তখনই দিলারা খাতুনের মত কিছু কর্মকর্তা সরকারের এই প্রচেষ্টায় জল ঢেলে সবকিছুকে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্টদের উচিৎ স্বাস্থ্যেরমত গুরুত্বপূর্ণ এই সেক্টর থেকে দিলারা খাতুনদের মত বিতর্কিত এবং বদ মেজাজিদের সরিয়ে এই সেক্টরকে জনমানুষের দৌড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়ে সরকারের সেবার মান অক্ষুন্ন রাখা উচিৎ।

এব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. দিলারা খাতুনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঈশ্বরদী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ কর্মচারীরা, দায়িত্বে অব্যাহতির আবেদন 

প্রকাশিত সময় ০৫:৩৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

ঈশ্বরদী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. দিলারা খাতুনের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন ভুক্ত ভোগী মোছা. মমতাজ বেগম।

অভিযোগকারী মোছা. মমতাজ বেগম উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের পরিবার কল্যান সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে।

তার অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মোছা. মমতাজ বেগম উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের ১/খ এর স্থায়ী পরিবার কল্যান সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। কিন্তু অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব হিসেবে উক্ত ইউনিটের পাশ্ববর্তী ১/ক এবং আসনা ও গোপালপুর গ্রামে ২/ক ইউনিটে দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করে যাচ্ছেন। এমতাবস্তায় আবারো তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তার কর্মরত ইউনিট থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরে ৩/খ  ইউনিটে অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পালনের জন্য তাকে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, আমার পুরো ইউনিট মিলে মোট কর্মচারী সংখ্যা মাত্র ৫ জন যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য।

তিনি আরও বলেন ৩/ক,২/ক, ও ২/খ ইউনিটে কর্মী দ্বায়িত্বরত থাকলেও হস্তান্তর পত্রে আমার পাশ্ববর্তী ইউনিটের কথা বলা হলেও উক্ত ৩/খ ইউনিটটি আমার পাশ্ববর্তী নহে। উক্ত ইউনিটের কর্মী থাকা সত্বেও তিনি আমাকে সেখানে দ্বায়িত্ব প্রদান করেছেন যেটা আমাকে মানুষিক এবং শারিরিক ভাবে হেনস্তা করার জন্যই এবং তার মনোবাসনা পূরণের জন্যই আমাকে সেখানের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। 

মমতাজ বেগম তার লিখিত আবেদনে আরও জানিয়েছেন, তার বর্তমান বয়স ৫২ বছর। মোট মিলিয়ে তার কর্মজীবন ৩৩ বছর। বয়সের কারনে এবং ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপের কারনে সে শারিরিক ভাবে প্রায়ই অসুস্থ্য থাকেন। তার পরেও  তার উপর অর্পিত ১/খ ও অতিরিক্ত ২/ক ইউনিটের দ্বায়িত্ব সুষ্ঠভাবে পালন করছেন। তার বর্তমান কর্মস্থল থেকে ২৫ কিলোমিটার দুরে ৩/খ তে যদি তাকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয় তবে সেটা তার উপর অতিমাত্রায় চাপপ্রয়োগ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে মমতাজ বেগম বলেন, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. দিলারা খাতুন অফিস টাকে তার পৈতৃক সম্পদ মনে করেন। তার সাথে আমরা (কর্মীরা) কোন কথা ঠিকমত বলতে পারিনা। এমন কি আমাদের প্রয়োজনে অফিসে গেলে তার মনের মত কথা না সে বাজে ব্যবহার করে এমনকি আমাদের অফিসে বসার মত একটি চেয়ারও তিনি দেন না। 

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনে তার থেকে কোন সেবা না পেলে ইউনিটের জনগনকে কিভাবে সেবা দেব? সরকার যখন দেশের মানুষের দৌড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ঠিক তখনই দিলারা খাতুনের মত কিছু কর্মকর্তা সরকারের এই প্রচেষ্টায় জল ঢেলে সবকিছুকে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্টদের উচিৎ স্বাস্থ্যেরমত গুরুত্বপূর্ণ এই সেক্টর থেকে দিলারা খাতুনদের মত বিতর্কিত এবং বদ মেজাজিদের সরিয়ে এই সেক্টরকে জনমানুষের দৌড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়ে সরকারের সেবার মান অক্ষুন্ন রাখা উচিৎ।

এব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. দিলারা খাতুনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।