
ঈশ্বরদী আলহাজ্ব মোড়ের একজন ওয়েলডিং মিস্ত্রি থেকে হজ্বের দালালী করে ঈশ্বরদীর সীমান্তবর্তী এলাকা লালপুর থানার ডহরশৈলা গ্রামের ওয়েলডিং মিস্ত্রী হযরত আলী এখন কোটিপতি।
হালে তিনি নির্জন এলাকার কোন এক মাদ্রাসা তৈকে বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে জাল সনদ সংগ্রহ করে নিজেকে স্বঘোষিত মাওলানা টাইটেল লাগিয়ে বিভিন্ন এলাকার মানুষদেরকে অল্প টাকায় হজ্ব পালন করার ফাঁদে ফেলে,
হজ্বযাত্রীদের চরম হয়রানীতে ফেলে তাদের সাথে প্রতারনা করে চলেছে।বর্তমানে সে প্রতারনার সুবিধার্থে ঈশ্বরদী বাসটার্মিনাল মসজিদ মার্কেটে ঈশ্বরদী হজ্ব কাফেলা নামে
একটি অনুমোদনহীন ও লাইসেন্স বিহীন অফিস নিয়ে বিভিন্ন এলাকার হজ্ব গোমোনেচ্ছুক মানুষদের মিথ্যা প্রলোভনে আকৃষ্ঠ করছে।
অতি সম্প্রতি ঈশ্বরদী আশেপাশের এলাকার পুরাতন এবং নতুন হাজীদের সমন্বয়ে বাসটার্মিনাল মসজিদে একটি দোয়া মাহফিলের আয়োজন করলে সেখানে হযরত আলী তোপের মুখে পড়ে।
এ সময় তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত নানা অভিযোগ ও প্রতারণার বিষয়ে সে সঠিক কোন জবাব দিতে পারে নাই।অপরদিকে মক্কা মদিনা থেকে জেদ্দা হয়ে ফেরত আসা বেশ কজন হাজ্বীর সাথে কথা বলে জানা গেছে,
এই প্রতারক নিজে এক কলাম পড়াশোনা না জানলেও নিজেকে সে মাওলানা দাবি করে। অবশ্য তার লেবাস দেখে বোঝার উপায় নেই যে সে একজন জাল সনদ ধারী মাওলানা রূপী প্রতারক।
ধুরন্ধর এ ওয়েলডিং মিস্ত্রী হযরত আলী নিজেই কোথাও না কোথাও থেকে মাওলানা সার্টিফিকেট তৈরী করেছে। এ ব্যাপারে তার সাথে কথা বলার জন্য বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের পর একবার সংযোগ পাওয়া যায়।
মাওলানা কোথায় থেকে পাস করেছেন বলতেই অজো পাড়া গায়ের এক মাদ্রাসার নাম বলেই লাইন বিছিন্ন করে দেয়।একাধীক হাজ্বী আরো জানান,
কোন এজন্ট এর মাধ্যমে সে সৌদি আরবে হজ্ব পালনের জন্য হাজ্বীদের নিয়ে যায় তা জানা যায়নি। তবে সে হাজ্বী সংগ্রহের জন্য অন্যান্য এজন্টদের তুলনায় কম টাকা ধার্য্য করে হজ্বে নিয়ে যায়।
সেখানে গিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে এবং নানা রকম অশোভন আচরন করে আবার নতুন করে টাকা আদায় করেন। আরবে গিয়ে যে ধরনের বাড়িতে রাখার কথা সেখানে না রেখে দূরবর্তী গ্রামে রেখে হাজ্বীদের নানা রকম কষ্ট ও বিপদে ফেলেন হযরত আলী।
খাদ্য বাবদ যে পরিমান টাকা গ্রহণ করেন তার যৎসামান্যও না দিলে কেউ তার প্রতিবাদ করলে তার সাথে অশোভন ও রুঢ় আচরন করে এবং চিল্লা-পাল্লা ও ঝগড়া-ঝাটি করে তাকে চলে যেতে বলেন।
তার প্রতারনার জন্য তার বিরুদ্ধে একাধিক হাজ্বী মামলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।প্রতারক এই মোয়াল্লেমের বিরুদ্ধে সৌদিতে বসে তার কিছু দালাল নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের নানা বিষয় নিয়ে সমালোচনার
বৈঠক করেছেএমন তথ্যও পাওয়া গেছে। এমন কি ঈশ্বরদীতে সাম্প্রতিককালে একজন ব্যবসায়ী অস্ত্রসহ এক ব্যবসায়ী র্যাবের হাতে আটক হলে তাকে জামিনে আনা
এবং সে মামলাটি দ্রুত নিস্পতির জন্য মোটাংকের টাকার যোগানও হযরত আলী প্রদান করে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন হাজী জানিয়েছেন।
কেউ বিদেশে গিয়ে তার নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করতে না পারায় দেশে এসে তারা ব্যবহৃত নতুন হোন্ডা মটর সাইকেল খানাও সে জোর জবরদস্তি করে লিখে নেয় বলেও অভিযোগ আছে।
এতে করে অনেকের মনেই তার বিরুদ্ধে সন্দেহের তীর উটেছে,সে কি কোন নিষিদ্ব সংগঠনের সাথে সমপৃক্ত ? বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের হস্থক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হয়রতের সাথে কথা বললে সে কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
মন্তব্য করুন