ঢাকা ০৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

নড়াইলের সেতুর নির্মান কাজ বন্ধ চরম দুর্ভোগে তিন লক্ষাধিক মানুষ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৮:৩২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১
  • / 70

(জেলা প্রতিনিধি) নড়াইল থেকে: নড়াইলের বারইপাড়া সেতুর নির্মান কাজে ধীর গতি হয়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে তিন লক্ষাধিক মানুষ।

নড়াইলের কালিয়ায় নবগঙ্গা নদীতে ৬৫১.৮৩ মিটার সেতুর নির্মান কাজ শুরু থেকেই ধীর গতির। কার্যাদেশ অনুযায়ী ১৯ সালের জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তখন নির্দিষ্ট সময় শেষে কাজের অগ্রগতি ছিল মাত্র ২৩ শতাংশ।

পরবর্তীতে আরও দুই বার সময় পেয়েও নির্দিষ্ট সময়ে অর্ধেক কাজ শেষ করতে পারেনি। তবে অফিস বলছে ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আবারও ২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময় বৃদ্ধির জন্য উপর মহলে চিঠি লেখা হয়েছে। নতুন সময়কালের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন তারা।

নির্মান কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এপথ দিয়ে চলাচলকারী জনগন। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার তিন লক্ষাধিক মানুষ। দ্রুত কাজ শেষ করার আহবান জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।

নড়াইল সড়ক ও জনপথ অফিস সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল-কালিয়া সড়কের ২১ তম কিলোমিটারে নবগঙ্গা নদীর উপর বারইপাড়া সেতু নির্মানের কাজ শুরু হয় ১৮ সালে। প্রায় ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৫১.৮৩ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০.২৫ মিটার প্রস্থ সেতুটির কার্যাদেশ দেয়া হয়েছিল ১৮ সালের ১৮ই মার্চ এবং কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০১৯
সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল।

তখন নির্ধারিত সময় (১৯ সালের ৩০ জুন) পর্যন্ত মাত্র ২৩ ভাগ কাজ সম্পন্ন করায় পরবর্তীতে সওজ আরও এক বছর সময় বাড়িয়ে ২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেন। ২য় মেয়াদেও কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হন। ঐ সময় করোনার কারনে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি পেয়ে ২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ৩য় বারের শর্ত অনুযায়ী চলতি বছরের জুন মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সড়ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী কাজ শেষ হয়েছে ষাট শতাংশ তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ সেতুর কাজ এখনও ৫০ শতাংশও শেষ হয়নি!

আবারও ২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময় বৃদ্ধির জন্য উপর মহলে চিঠি লিখেছে নড়াইল সড়ক বিভাগ। এই নিয়ে ৪র্থ বার সময় দেওয়া হচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। সেতুটি যৌথভাবে নির্মান করছেন যশোরের ঠিকাদার মোঃ মইনুদ্দীন বাসী ও মোঃ জামিল ইকবাল।

এ ঘাট দিয়ে অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে। একটি মটরসাইকেল নৌকায় তুলছেন ৩-৪ জনের সহযোগিতায়। সেতু নির্মানে প্রকল্প এলাকায় ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করছে। নদীর মাঝে বেশ কিছু পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। হাতেগোনা যে কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছেন তারা মাঝ নদীতে একটি পিলারের কাজ করছিলেন। মূল সেতুর কাজের মধ্যে কয়েকটি পিলারের কাজ ছাড়া কোন কাজই করা হয়নি। দুপাশে সংযোগ সড়কের কাজ এখনও শুরুই করেনি!

এলাকাবাসী জানান, ৪ বছর পূর্বে কাজের শুরু থেকেই সামান্য কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে প্রকল্প এলাকায় কাজ করানো হয়। মাঝে মধ্যে কাজ বন্ধ থাকে। এভাবে ধীর গতিতে কাজ চলতে থাকলে এ কাজ শেষ করতে আরও অন্তত তিন বছর সময় লেগে যাবে। দ্রুত কাজ শেষ করার দাবী জানান স্থানীয়রা।

জানাগেছে, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বারইপাড়া ঘাটে একটি সেতু না থাকায় উপজেলাটি দুইভাগে ভাগ হয়ে রয়েছে। নদীর একপাশে রয়েছে ৮ টি অপর প্রান্তে ৬ টি ইউনিয়ন। জেলা সদরের সঙ্গে কালিয়া উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ কোন ব্যবস্থা নেই। কালিয়া উপজেলাকে নড়াইল জেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে এই নদী।

কালিয়া উপজেলার আসলাম শেখ জানান, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বারইপাড়া ঘাট দিয়ে নদী পার হয়ে অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, হাসপাতালে বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করে থাকেন। যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল না হওয়ায় এখানে গড়ে ওঠেনি কোন শিল্প-কলকারখানা। কৃষক তারিকুল ইসলাম জানান, এলাকায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পন্য শহরে আনতে পড়েন চরম দুভোর্গে।

কালিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামীলীগ নেতা মুশফিকুর রহমান লিটন জানান, মারামারি ঘটনা ঘটলে থানা থেকে পুলিশ যথাসময়ে আসতে পারে না। কালিয়ায় আগুন লাগলে দ্রুত পৌছাতে পারে না ফায়ার সাভির্সের গাড়ী। ঘাটে যেয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় নদী পার হওয়ার জন্য।

অবশেষে নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির প্রচেষ্টায় কালিয়াবাসীর চলাচলের জন্য সেই কাঙ্খীত সেতুটির নির্মান কাজ শুরু হয়। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারনে কাজ চলছে ধীর গতিতে। বার বার সময় পেলেও কাজ শেষ করতে ব্যার্থ হচ্ছে ঠিকাদার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানান, শুরুর দিকে সেতুর নকশা জটিলতার কারনে সেতুটির নির্মান কাজ ২-৩ মাস বিলম্ব হয়েছে। সেতুর অর্ধেকের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নতুন করে এক বছর সময় বাড়ানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করেন তিনি।

নড়াইল সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ এম আতিকুল্লাহ বলেন, নতুন করে ২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করার জন্য উপর মহলে চিঠি দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেতুটির কাজ ৫৫-৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আশা করছি আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের মহাসড়কের অংশ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় বারইপাড়া সেতুটির নির্মান কাজ শুরু হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলেও সত্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীরগতির কারনে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি। আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট অফিসসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি দ্রত সেতুর কাজ শেষ করার জন্য। আশা করছি দ্রত এই কাজ শেষ করে নড়াইল ও কালিয়া উপজেলার পথচারীদের পারাপার সহজ করে দেয়া হবে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

আরও পড়ুনঃ পাবনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা : আসামীদের বাড়িতে আগুন

নড়াইলের সেতুর নির্মান কাজ বন্ধ চরম দুর্ভোগে তিন লক্ষাধিক মানুষ

প্রকাশিত সময় ০৮:৩২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১

(জেলা প্রতিনিধি) নড়াইল থেকে: নড়াইলের বারইপাড়া সেতুর নির্মান কাজে ধীর গতি হয়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে তিন লক্ষাধিক মানুষ।

নড়াইলের কালিয়ায় নবগঙ্গা নদীতে ৬৫১.৮৩ মিটার সেতুর নির্মান কাজ শুরু থেকেই ধীর গতির। কার্যাদেশ অনুযায়ী ১৯ সালের জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তখন নির্দিষ্ট সময় শেষে কাজের অগ্রগতি ছিল মাত্র ২৩ শতাংশ।

পরবর্তীতে আরও দুই বার সময় পেয়েও নির্দিষ্ট সময়ে অর্ধেক কাজ শেষ করতে পারেনি। তবে অফিস বলছে ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আবারও ২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময় বৃদ্ধির জন্য উপর মহলে চিঠি লেখা হয়েছে। নতুন সময়কালের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন তারা।

নির্মান কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এপথ দিয়ে চলাচলকারী জনগন। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার তিন লক্ষাধিক মানুষ। দ্রুত কাজ শেষ করার আহবান জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।

নড়াইল সড়ক ও জনপথ অফিস সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল-কালিয়া সড়কের ২১ তম কিলোমিটারে নবগঙ্গা নদীর উপর বারইপাড়া সেতু নির্মানের কাজ শুরু হয় ১৮ সালে। প্রায় ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৫১.৮৩ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০.২৫ মিটার প্রস্থ সেতুটির কার্যাদেশ দেয়া হয়েছিল ১৮ সালের ১৮ই মার্চ এবং কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০১৯
সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল।

তখন নির্ধারিত সময় (১৯ সালের ৩০ জুন) পর্যন্ত মাত্র ২৩ ভাগ কাজ সম্পন্ন করায় পরবর্তীতে সওজ আরও এক বছর সময় বাড়িয়ে ২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেন। ২য় মেয়াদেও কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হন। ঐ সময় করোনার কারনে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি পেয়ে ২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ৩য় বারের শর্ত অনুযায়ী চলতি বছরের জুন মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সড়ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী কাজ শেষ হয়েছে ষাট শতাংশ তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ সেতুর কাজ এখনও ৫০ শতাংশও শেষ হয়নি!

আবারও ২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময় বৃদ্ধির জন্য উপর মহলে চিঠি লিখেছে নড়াইল সড়ক বিভাগ। এই নিয়ে ৪র্থ বার সময় দেওয়া হচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। সেতুটি যৌথভাবে নির্মান করছেন যশোরের ঠিকাদার মোঃ মইনুদ্দীন বাসী ও মোঃ জামিল ইকবাল।

এ ঘাট দিয়ে অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে। একটি মটরসাইকেল নৌকায় তুলছেন ৩-৪ জনের সহযোগিতায়। সেতু নির্মানে প্রকল্প এলাকায় ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করছে। নদীর মাঝে বেশ কিছু পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। হাতেগোনা যে কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছেন তারা মাঝ নদীতে একটি পিলারের কাজ করছিলেন। মূল সেতুর কাজের মধ্যে কয়েকটি পিলারের কাজ ছাড়া কোন কাজই করা হয়নি। দুপাশে সংযোগ সড়কের কাজ এখনও শুরুই করেনি!

এলাকাবাসী জানান, ৪ বছর পূর্বে কাজের শুরু থেকেই সামান্য কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে প্রকল্প এলাকায় কাজ করানো হয়। মাঝে মধ্যে কাজ বন্ধ থাকে। এভাবে ধীর গতিতে কাজ চলতে থাকলে এ কাজ শেষ করতে আরও অন্তত তিন বছর সময় লেগে যাবে। দ্রুত কাজ শেষ করার দাবী জানান স্থানীয়রা।

জানাগেছে, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বারইপাড়া ঘাটে একটি সেতু না থাকায় উপজেলাটি দুইভাগে ভাগ হয়ে রয়েছে। নদীর একপাশে রয়েছে ৮ টি অপর প্রান্তে ৬ টি ইউনিয়ন। জেলা সদরের সঙ্গে কালিয়া উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ কোন ব্যবস্থা নেই। কালিয়া উপজেলাকে নড়াইল জেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে এই নদী।

কালিয়া উপজেলার আসলাম শেখ জানান, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বারইপাড়া ঘাট দিয়ে নদী পার হয়ে অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, হাসপাতালে বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করে থাকেন। যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল না হওয়ায় এখানে গড়ে ওঠেনি কোন শিল্প-কলকারখানা। কৃষক তারিকুল ইসলাম জানান, এলাকায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পন্য শহরে আনতে পড়েন চরম দুভোর্গে।

কালিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামীলীগ নেতা মুশফিকুর রহমান লিটন জানান, মারামারি ঘটনা ঘটলে থানা থেকে পুলিশ যথাসময়ে আসতে পারে না। কালিয়ায় আগুন লাগলে দ্রুত পৌছাতে পারে না ফায়ার সাভির্সের গাড়ী। ঘাটে যেয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় নদী পার হওয়ার জন্য।

অবশেষে নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির প্রচেষ্টায় কালিয়াবাসীর চলাচলের জন্য সেই কাঙ্খীত সেতুটির নির্মান কাজ শুরু হয়। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারনে কাজ চলছে ধীর গতিতে। বার বার সময় পেলেও কাজ শেষ করতে ব্যার্থ হচ্ছে ঠিকাদার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানান, শুরুর দিকে সেতুর নকশা জটিলতার কারনে সেতুটির নির্মান কাজ ২-৩ মাস বিলম্ব হয়েছে। সেতুর অর্ধেকের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নতুন করে এক বছর সময় বাড়ানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করেন তিনি।

নড়াইল সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ এম আতিকুল্লাহ বলেন, নতুন করে ২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করার জন্য উপর মহলে চিঠি দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেতুটির কাজ ৫৫-৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আশা করছি আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের মহাসড়কের অংশ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় বারইপাড়া সেতুটির নির্মান কাজ শুরু হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলেও সত্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীরগতির কারনে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি। আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট অফিসসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি দ্রত সেতুর কাজ শেষ করার জন্য। আশা করছি দ্রত এই কাজ শেষ করে নড়াইল ও কালিয়া উপজেলার পথচারীদের পারাপার সহজ করে দেয়া হবে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

আরও পড়ুনঃ পাবনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা : আসামীদের বাড়িতে আগুন