ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. শাহরিয়ার কবিরের বিরুদ্ধে রোগিদের হয়রানিসহ নানা অভিযোগ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০২:০১:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / 172
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. শাহরিয়ার কবির ওরফে আকাশ

নিজেস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. শাহরিয়ার কবির ওরফে আকাশ এর বিরুদ্ধে রোগিদের হয়রানি সহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. শাহরিয়ার কবির শুধু রোগীদের হয়রানি করেই খান্ত হন না। রোগিদের কোন আত্বীয় বা নিকটতম লোকজন সহ সাংবাদিকদের সাথেও অশ্লীল আচরণ করে থাকেন।

বৃহস্পতিবার ৮ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার কালিকাপুর আজম পুর গ্রামে ছাগলে জমির ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয় । আহতরা হলেন মোঃ ইমন (২৪) পিতা ফজলুল হক, মোঃ ফজলুল হক জোহা (৫০) পিতা মৃত আমিন‌উদ্দি হায়দার খোকা, সাইফুল ইসলাম (৪৮) পিতা আমিন‌উদ্দিন হায়দার খোকা।

আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করতে গেলে ডাক্তার শাহরিয়ার কবির ওরফে আকাশ প্রথমে আহত রোগিদের ভর্তি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে রোগির নিকট আত্মীয় ঈশ্বরদীর একজন সিনিয়র সাংবাদিকের কাছে শরণাপন্ন হন।

এসময় ঐ সাংবাদিক দ্রুত ছুটে যান। এবং কর্তব্যরত ডাক্তার শাহরিয়ার কবির ওরফে আকাশ কে বলেন আহত রোগিদের ভর্তি করা যাবে কিনা? এসময় কর্তব্যরত ডাক্তার গর্জন দিয়ে মারমুখী হয়ে ওঠেন। তার গর্জন শুনে আশেপাশে থাকা মানুষ জরো হয়ে যায়।

একপর্যায়ে কর্তব্যরত ডাক্তার শাহরিয়ার কবির সাংবাদিক ও রোগীর লোকজনদেরকে শায়েস্তা করার জন্য থানায় ফোন দিয়ে পুলিশ নিয়ে আসে হাসপাতাল অভ্যান্তরে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষের কথা শুনে বলেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না ঘটে এজন্যই আমরা এসেছি।

অপরদিকে এই ঘটনায় অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে এসে উপস্থিতি হয়।

উপস্থিত সাংবাদিকরা ডাক্তারের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে ডাক্তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে বলেন আপনারা কার অনুমতি নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। যান আগে অনুমতি নিয়ে আসেন। এসময় তার জিজ্ঞাসা করলে তিনি নাম পর্যন্ত জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

প্রতিদিনের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তারদের নোটিশ বোর্ডে তার নাম ছিল না। সেখানে ডা. রহিমা ফেরদৌসের নাম ছিল।

এবিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসমা খানকে অবহিত করলে তিনি জানান ঠিক আছে আমি বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

একজন সিনিয়র সাংবাদিকের সংগে এমন দুর্ব্যবহার করার জন্য ঈশ্বরদীর সাংবাদিক মহল অত্যান্ত ব্যথিত হয়েছে। রাষ্ট্রের একজন কর্মচারি রাষ্ট্রের নাগরিকেদের সাথে এমন দুর্ব্যবহার কোন মতেই কাম্য নয় বলে তারা অভিমত প্রকাশ করেছেন।

সাংবাদিক মহল গত ১১ আগস্ট কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসককে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্টের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে বলেন, হাইকোর্ট যেখানে একজন জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিয়েছে জনগণের জন্য দরজা-জানালা খোলা রাখার জন্য, লুঙ্গি পরেও যেন একজন মানুষ আপনার কাছে যেতে পারে এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভালো কাজ করার তাগিদ দিয়েছে, সেখানে একজন ডাক্তার যিনি কিনা জনগণের সেবার জন্য নিয়োজিত তিনি সেবার সাথে সাথে দুর্ব্যবহারও দিচ্ছেন এটা কোন ভাবেই কাম্য নয়।

তারা আরও বলেন, প্রায়ই অসহায় রোগীদের নিকট থেকে শোনা যায় সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার থেকে শুরু করে নার্স, আয়া সকলেই রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যারা ভাতা পান তাদের সাধারণ জনগনের কখনোই খারাপ ব্যবহার করা উচিৎ নয়।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. শাহরিয়ার কবিরের বিরুদ্ধে রোগিদের হয়রানিসহ নানা অভিযোগ

প্রকাশিত সময় ০২:০১:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. শাহরিয়ার কবির ওরফে আকাশ

নিজেস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. শাহরিয়ার কবির ওরফে আকাশ এর বিরুদ্ধে রোগিদের হয়রানি সহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. শাহরিয়ার কবির শুধু রোগীদের হয়রানি করেই খান্ত হন না। রোগিদের কোন আত্বীয় বা নিকটতম লোকজন সহ সাংবাদিকদের সাথেও অশ্লীল আচরণ করে থাকেন।

বৃহস্পতিবার ৮ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার কালিকাপুর আজম পুর গ্রামে ছাগলে জমির ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয় । আহতরা হলেন মোঃ ইমন (২৪) পিতা ফজলুল হক, মোঃ ফজলুল হক জোহা (৫০) পিতা মৃত আমিন‌উদ্দি হায়দার খোকা, সাইফুল ইসলাম (৪৮) পিতা আমিন‌উদ্দিন হায়দার খোকা।

আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করতে গেলে ডাক্তার শাহরিয়ার কবির ওরফে আকাশ প্রথমে আহত রোগিদের ভর্তি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে রোগির নিকট আত্মীয় ঈশ্বরদীর একজন সিনিয়র সাংবাদিকের কাছে শরণাপন্ন হন।

এসময় ঐ সাংবাদিক দ্রুত ছুটে যান। এবং কর্তব্যরত ডাক্তার শাহরিয়ার কবির ওরফে আকাশ কে বলেন আহত রোগিদের ভর্তি করা যাবে কিনা? এসময় কর্তব্যরত ডাক্তার গর্জন দিয়ে মারমুখী হয়ে ওঠেন। তার গর্জন শুনে আশেপাশে থাকা মানুষ জরো হয়ে যায়।

একপর্যায়ে কর্তব্যরত ডাক্তার শাহরিয়ার কবির সাংবাদিক ও রোগীর লোকজনদেরকে শায়েস্তা করার জন্য থানায় ফোন দিয়ে পুলিশ নিয়ে আসে হাসপাতাল অভ্যান্তরে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষের কথা শুনে বলেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না ঘটে এজন্যই আমরা এসেছি।

অপরদিকে এই ঘটনায় অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে এসে উপস্থিতি হয়।

উপস্থিত সাংবাদিকরা ডাক্তারের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে ডাক্তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে বলেন আপনারা কার অনুমতি নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। যান আগে অনুমতি নিয়ে আসেন। এসময় তার জিজ্ঞাসা করলে তিনি নাম পর্যন্ত জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

প্রতিদিনের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তারদের নোটিশ বোর্ডে তার নাম ছিল না। সেখানে ডা. রহিমা ফেরদৌসের নাম ছিল।

এবিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসমা খানকে অবহিত করলে তিনি জানান ঠিক আছে আমি বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

একজন সিনিয়র সাংবাদিকের সংগে এমন দুর্ব্যবহার করার জন্য ঈশ্বরদীর সাংবাদিক মহল অত্যান্ত ব্যথিত হয়েছে। রাষ্ট্রের একজন কর্মচারি রাষ্ট্রের নাগরিকেদের সাথে এমন দুর্ব্যবহার কোন মতেই কাম্য নয় বলে তারা অভিমত প্রকাশ করেছেন।

সাংবাদিক মহল গত ১১ আগস্ট কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসককে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্টের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে বলেন, হাইকোর্ট যেখানে একজন জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিয়েছে জনগণের জন্য দরজা-জানালা খোলা রাখার জন্য, লুঙ্গি পরেও যেন একজন মানুষ আপনার কাছে যেতে পারে এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভালো কাজ করার তাগিদ দিয়েছে, সেখানে একজন ডাক্তার যিনি কিনা জনগণের সেবার জন্য নিয়োজিত তিনি সেবার সাথে সাথে দুর্ব্যবহারও দিচ্ছেন এটা কোন ভাবেই কাম্য নয়।

তারা আরও বলেন, প্রায়ই অসহায় রোগীদের নিকট থেকে শোনা যায় সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার থেকে শুরু করে নার্স, আয়া সকলেই রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যারা ভাতা পান তাদের সাধারণ জনগনের কখনোই খারাপ ব্যবহার করা উচিৎ নয়।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ