ঢাকা ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সুজানগরে আবুল কাশেম ফাউন্ডেশনের ১০ টাকায় ঈদ বাজার

সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ১১:১৮:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
  • / 153



দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষ ঈদ মার্কেটে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন জামা কাপড় কেনার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। অনেকেরি সাধ আছে, কিন্তু সাধ্য নেই।

নিম্নআয়ের মানুষের সেই স্বপ্ন কিছুটা পূরণে ভূমিকা রেখেছেন আবুল কাশেম ফাউন্ডেশন। মাত্র ১০ টাকায় দরিদ্র অসহায় মানুষদের নতুন জামা কাপড় কেনার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ফাউন্ডেশনটি।

বড়দের পোশাক থেকে শুরু করে ছোটদের শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবী, লুঙ্গি, সালোয়ার সহ মেয়েদের বিভিন্ন রকমের পোশাক কিনছেন ১০ টাকার বাজার থেকে।

মঙ্গলবার সকালে পাবনার সুজানগরের আবুল কাশেম প্লাজার দোতলায় আবুল কাশেম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ১০ টাকার ঈদ বাজার বসেছে।

এমন উদ্যোগে হাসি ফুটেছে অনেক দরিদ্র পরিবারের মুখে।

ঈদ বাজারের উদ্বোধন করেন, ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন।

এ সময় পৌর মেয়র রেজাউল করিম রেজা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মর্জিনা খাতুন, এন এ কলেজের অধ্যাপক আবুল হাশেম, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজ, সুজানগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম মনিরুজ্জামান সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকরা জানান, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এ উদ্যোগ ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত চলমান থাকবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে পোশাক শেষ হওয়া পর্যন্ত চলবে ১০ টাকার বাজার।

স্বল্প আয়ের মানুষ ১০ টাকা দিয়ে তাদের পছন্দমত ঈদের জামা কাপড় কিনতে পেরে বেশ উচ্ছসিত।

গৃহবধু নাজমা বেগম বলেন, আমাগারে তো মার্কেটে যায়া নতুন কাপুড় কিনা সম্ভব লায়। এহেনে ১০ টেকা দিয়ে নতুন কাপুর পায়া খুব ভাল লাইগলো।

আরেক গৃহবধূ বিউটি খাতুন বলেন, ১০ টেকা দিয়ে মিয়ের জন্যি একখান জামা আর ১০ টেকা দিয়ে আমার শুয়ামীর জন্যি একখান লুঙ্গি কিনলেম।

দশ বছরের শিশু শশী জানায়, শুনলেম এখেনে ১০ টেকা দিয়ে নতুন জামা দিবি, তাই আইছি। দশ টেকা দিয়ে একখান নতুন জামা কিনে খুব খুশি।

ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সানজিদা ইয়াসমিন টুম্পা জানান, ঈদ আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং স্বল্প আয়ের মানুষের ১০ টাকার মাধ্যমে নতুন পোশাক দিতে এমন আয়োজন করা হয়।

তিনি আরও জানান, ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে সমাজের অসহায় গবির ও দুস্থ মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে সংগঠনটি।

পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম রেজা বলেন, আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির একটি অংশ যারা ঈদে নতুন পোশাক কিনতে পারেন না। তাদের কথা চিন্তা করে আবুল কাশেম ফাউন্ডেশন যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ। এর মাধ্যমে ১০ টাকা দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সহজেই তাদের ঈদের পোশাক কিনতে পারছেন। সমাজের বিত্তবানদের এমন উদ্যোগে এগিয়ে আসা উচিত।

ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, ঈদ আসলে অবস্থা সম্পন্ন মানুষ মার্কেটে গিয়ে পছন্দমতো ঈদের নতুন পোশাক কিনতে পারেন। কিন্তু দরিদ্র মানুষগুলো তা পারে না। তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না মার্কেটে গিয়ে এক দুই হাজার দিয়ে নতুন পোশাক কেনা। তাদের কথা চিন্তা করে বিগত চার বছরে ধরে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আরেকটি কথা হলো, ১০ টাকা দিয়ে নতুন পোশাক দেয়ার উদ্দেশ্যে হলো- যিনি নিচ্ছেন তিনি যেন মনে না করেন ফ্রি নিচ্ছেন। তিনি যেন মনে করেন তিনি টাকা দিয়েই নিচ্ছেন।

সুজানগরে আবুল কাশেম ফাউন্ডেশনের ১০ টাকায় ঈদ বাজার

প্রকাশিত সময় ১১:১৮:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪



দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষ ঈদ মার্কেটে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন জামা কাপড় কেনার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। অনেকেরি সাধ আছে, কিন্তু সাধ্য নেই।

নিম্নআয়ের মানুষের সেই স্বপ্ন কিছুটা পূরণে ভূমিকা রেখেছেন আবুল কাশেম ফাউন্ডেশন। মাত্র ১০ টাকায় দরিদ্র অসহায় মানুষদের নতুন জামা কাপড় কেনার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ফাউন্ডেশনটি।

বড়দের পোশাক থেকে শুরু করে ছোটদের শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবী, লুঙ্গি, সালোয়ার সহ মেয়েদের বিভিন্ন রকমের পোশাক কিনছেন ১০ টাকার বাজার থেকে।

মঙ্গলবার সকালে পাবনার সুজানগরের আবুল কাশেম প্লাজার দোতলায় আবুল কাশেম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ১০ টাকার ঈদ বাজার বসেছে।

এমন উদ্যোগে হাসি ফুটেছে অনেক দরিদ্র পরিবারের মুখে।

ঈদ বাজারের উদ্বোধন করেন, ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন।

এ সময় পৌর মেয়র রেজাউল করিম রেজা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মর্জিনা খাতুন, এন এ কলেজের অধ্যাপক আবুল হাশেম, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজ, সুজানগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম মনিরুজ্জামান সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকরা জানান, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এ উদ্যোগ ঈদের আগেরদিন পর্যন্ত চলমান থাকবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে পোশাক শেষ হওয়া পর্যন্ত চলবে ১০ টাকার বাজার।

স্বল্প আয়ের মানুষ ১০ টাকা দিয়ে তাদের পছন্দমত ঈদের জামা কাপড় কিনতে পেরে বেশ উচ্ছসিত।

গৃহবধু নাজমা বেগম বলেন, আমাগারে তো মার্কেটে যায়া নতুন কাপুড় কিনা সম্ভব লায়। এহেনে ১০ টেকা দিয়ে নতুন কাপুর পায়া খুব ভাল লাইগলো।

আরেক গৃহবধূ বিউটি খাতুন বলেন, ১০ টেকা দিয়ে মিয়ের জন্যি একখান জামা আর ১০ টেকা দিয়ে আমার শুয়ামীর জন্যি একখান লুঙ্গি কিনলেম।

দশ বছরের শিশু শশী জানায়, শুনলেম এখেনে ১০ টেকা দিয়ে নতুন জামা দিবি, তাই আইছি। দশ টেকা দিয়ে একখান নতুন জামা কিনে খুব খুশি।

ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সানজিদা ইয়াসমিন টুম্পা জানান, ঈদ আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং স্বল্প আয়ের মানুষের ১০ টাকার মাধ্যমে নতুন পোশাক দিতে এমন আয়োজন করা হয়।

তিনি আরও জানান, ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে সমাজের অসহায় গবির ও দুস্থ মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে সংগঠনটি।

পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম রেজা বলেন, আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির একটি অংশ যারা ঈদে নতুন পোশাক কিনতে পারেন না। তাদের কথা চিন্তা করে আবুল কাশেম ফাউন্ডেশন যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ। এর মাধ্যমে ১০ টাকা দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সহজেই তাদের ঈদের পোশাক কিনতে পারছেন। সমাজের বিত্তবানদের এমন উদ্যোগে এগিয়ে আসা উচিত।

ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, ঈদ আসলে অবস্থা সম্পন্ন মানুষ মার্কেটে গিয়ে পছন্দমতো ঈদের নতুন পোশাক কিনতে পারেন। কিন্তু দরিদ্র মানুষগুলো তা পারে না। তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না মার্কেটে গিয়ে এক দুই হাজার দিয়ে নতুন পোশাক কেনা। তাদের কথা চিন্তা করে বিগত চার বছরে ধরে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আরেকটি কথা হলো, ১০ টাকা দিয়ে নতুন পোশাক দেয়ার উদ্দেশ্যে হলো- যিনি নিচ্ছেন তিনি যেন মনে না করেন ফ্রি নিচ্ছেন। তিনি যেন মনে করেন তিনি টাকা দিয়েই নিচ্ছেন।