ঢাকা ১০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

মাদারীপুরে ছাড়পত্র পাওয়া ৫জন ফের করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে: জনমনে উদ্বেগ উৎকন্ঠা শংকা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০
  • / 169

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধিঃ লকডাউন ঘোষিত মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার একই পরিবারের ৫জনকে আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র দেয়ার পর আবারো আইসোলেশনে নেয়ায় জনমনে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বেড়েছে।

সিভিল সার্জন ক্ষোভের সাথে জানায়, এদের মধ্যে ইটালী প্রবাসীর শশুর ১৫ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনের বাধ্যকতা ভেঙ্গে আয়োজন করে ধর্মীয় অনুষ্ঠান মিলাদ। ওই ব্যক্তিকে আবারো আইসোলেশনে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তার সংস্পর্শে আসা হোম কোয়ারেন্টাইনের পরামর্শ দিয়ে তাদের বাড়ি ঘরে লাল ফ্লাগ টানিয়ে দিয়েছে। যার ফলে উন্নতির পরও আবার লকডাউনে শিবচর।

করোনা ভাইরাসের রুগী সনাক্ত হওয়ায় লকডাউন করা হয়েছে রাজৈর ও কালকিনি উপজেলাকেও।

জনগনকে ঘরে রাখতে মাঠে নেমেছে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীসহ বিপুল পরিমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মোতায়েন করা হয়েছে একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

জেলার শিবচর উপজেলার করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়ায় এক নারীসহ তিনজনকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে ৫ই এপ্রিল। ৮ এপ্রিল ওই নারীর মেয়ে ও ২ নাতীকেও আইসোলেশনে নেয়া হয়। আর প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে নেয়া হয় মেয়ে জামাই ইটালী প্রবাসীকে।

এর আগে গত ২৭ মার্চ এই ৫জনকে আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা ৫ জনের মধ্যে মা তার ২ শিশু সন্তান ও নানা নানী।

এই ইটালী প্রবাসীর স্ত্রী ছেলে মেয়ে শশুর শাশুরী তারা শিবচর উপজেলার পাচ্চর ইউনিয়নের হাজীপুরের বাসিন্দা।

এছাড়াও একই উপজেলার আরো ৫জন আইসোলেশনে ও রাজৈর কালকিনি উপজেলার ১জন করে আইসোলেশনে রয়েছে।

এর আগে শিবচরের ইটালী প্রবাসীর এই পরিবারটির ৮ সদস্য আইসোলেশনে ছিল। প্রবাসীর বাবা করোনা ভাইরাসে মৃত্যুবরন করে। বর্তমানে এদের সংস্পর্শে আসা ৫০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে প্রশাসন। এই ৬ জনের বাড়ি লাল ফ্লাগ দিয়ে চিহিৃত কর্ডন করেছে প্রশাসন।

আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় নিজেরা আক্রান্ত হয় ও অন্যদের সংস্পর্শে গিয়ে তাদেরকেও ঝুকিতে ফেলে। ফলে জরুরী বৈঠক করে কোয়ারেন্টাইন থেকে পুরো উপজেলা লকডাউন করে জেলা প্রশাসন।

রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। ওষুধের দোকান ছাড়া উপজেলার সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেলা জুড়ে টহল দিচ্ছে।

এর আগে গত ১৯ মার্চ থেকে শিবচর উপজেলার ৪টি এলাকা কনটেইনমেন্ট ঘোষনা করলেও কার্যত উপজেলাজুড়ে অচল রয়েছে। এরই সুত্র ধরে সারা জেলা জোড়ালো কোয়ারেন্টাইন ঘোষনা করে প্রশাসন। যদিও স্থানীয় সংসদ সদস্যর উদ্যোগে ঘরে ঘরে খাবার সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় এ উপজেলায় ৩০ হাজার মানুষকে চালসহ খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা রুগী সনাক্ত হওয়ায় জেলার রাজৈর ও কালকিনিও লকডাউন করেছে প্রশাসন।

মাদারীপুর জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ১৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৩২ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যাদের সবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৪৫ জনের নমুনা ঢাকাতে পাঠানো হয়েছে। গত ৩ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৯০ জনের নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে যার মধ্যে ১৩৮ জনের রিপোর্টে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মোট ১১ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে আছে ১১ জন ও কালকিনি এবং রাজৈর হাসপাতালে আছে একজন করে দুই জন।

এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন এড়াতে মাদারীপুরের মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। ক্যাপ্টেন আসিফের নেতৃত্বে জেলার বিভিন্ন বাজারে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি ও নিজ নিজ বাড়ীতে অবস্থান করার পরামর্শ দেন।

মাদারীপুরে ছাড়পত্র পাওয়া ৫জন ফের করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে: জনমনে উদ্বেগ উৎকন্ঠা শংকা

প্রকাশিত সময় ০৫:০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধিঃ লকডাউন ঘোষিত মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার একই পরিবারের ৫জনকে আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র দেয়ার পর আবারো আইসোলেশনে নেয়ায় জনমনে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বেড়েছে।

সিভিল সার্জন ক্ষোভের সাথে জানায়, এদের মধ্যে ইটালী প্রবাসীর শশুর ১৫ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনের বাধ্যকতা ভেঙ্গে আয়োজন করে ধর্মীয় অনুষ্ঠান মিলাদ। ওই ব্যক্তিকে আবারো আইসোলেশনে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তার সংস্পর্শে আসা হোম কোয়ারেন্টাইনের পরামর্শ দিয়ে তাদের বাড়ি ঘরে লাল ফ্লাগ টানিয়ে দিয়েছে। যার ফলে উন্নতির পরও আবার লকডাউনে শিবচর।

করোনা ভাইরাসের রুগী সনাক্ত হওয়ায় লকডাউন করা হয়েছে রাজৈর ও কালকিনি উপজেলাকেও।

জনগনকে ঘরে রাখতে মাঠে নেমেছে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীসহ বিপুল পরিমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মোতায়েন করা হয়েছে একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

জেলার শিবচর উপজেলার করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়ায় এক নারীসহ তিনজনকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে ৫ই এপ্রিল। ৮ এপ্রিল ওই নারীর মেয়ে ও ২ নাতীকেও আইসোলেশনে নেয়া হয়। আর প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে নেয়া হয় মেয়ে জামাই ইটালী প্রবাসীকে।

এর আগে গত ২৭ মার্চ এই ৫জনকে আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা ৫ জনের মধ্যে মা তার ২ শিশু সন্তান ও নানা নানী।

এই ইটালী প্রবাসীর স্ত্রী ছেলে মেয়ে শশুর শাশুরী তারা শিবচর উপজেলার পাচ্চর ইউনিয়নের হাজীপুরের বাসিন্দা।

এছাড়াও একই উপজেলার আরো ৫জন আইসোলেশনে ও রাজৈর কালকিনি উপজেলার ১জন করে আইসোলেশনে রয়েছে।

এর আগে শিবচরের ইটালী প্রবাসীর এই পরিবারটির ৮ সদস্য আইসোলেশনে ছিল। প্রবাসীর বাবা করোনা ভাইরাসে মৃত্যুবরন করে। বর্তমানে এদের সংস্পর্শে আসা ৫০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে প্রশাসন। এই ৬ জনের বাড়ি লাল ফ্লাগ দিয়ে চিহিৃত কর্ডন করেছে প্রশাসন।

আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় নিজেরা আক্রান্ত হয় ও অন্যদের সংস্পর্শে গিয়ে তাদেরকেও ঝুকিতে ফেলে। ফলে জরুরী বৈঠক করে কোয়ারেন্টাইন থেকে পুরো উপজেলা লকডাউন করে জেলা প্রশাসন।

রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। ওষুধের দোকান ছাড়া উপজেলার সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেলা জুড়ে টহল দিচ্ছে।

এর আগে গত ১৯ মার্চ থেকে শিবচর উপজেলার ৪টি এলাকা কনটেইনমেন্ট ঘোষনা করলেও কার্যত উপজেলাজুড়ে অচল রয়েছে। এরই সুত্র ধরে সারা জেলা জোড়ালো কোয়ারেন্টাইন ঘোষনা করে প্রশাসন। যদিও স্থানীয় সংসদ সদস্যর উদ্যোগে ঘরে ঘরে খাবার সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় এ উপজেলায় ৩০ হাজার মানুষকে চালসহ খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা রুগী সনাক্ত হওয়ায় জেলার রাজৈর ও কালকিনিও লকডাউন করেছে প্রশাসন।

মাদারীপুর জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ১৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৩২ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যাদের সবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৪৫ জনের নমুনা ঢাকাতে পাঠানো হয়েছে। গত ৩ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৯০ জনের নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে যার মধ্যে ১৩৮ জনের রিপোর্টে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মোট ১১ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে আছে ১১ জন ও কালকিনি এবং রাজৈর হাসপাতালে আছে একজন করে দুই জন।

এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন এড়াতে মাদারীপুরের মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। ক্যাপ্টেন আসিফের নেতৃত্বে জেলার বিভিন্ন বাজারে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি ও নিজ নিজ বাড়ীতে অবস্থান করার পরামর্শ দেন।