ঢাকা ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

অপ্রতুল বরাদ্দ: ঈশ্বরদীর উপজেলা পরিষদ, চেয়ারম্যান, মেয়র ও মেম্বারদের ত্রাহি অবস্থা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৪:৩৪:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল ২০২০
  • / 62

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ করোনা পরিস্থিেিত ঈশ্বরদীতে অপ্রতুল বরাদ্দ নিয়ে উপজেলা পরিষদ, পৌর মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও মেম্বারদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বিপুল জনগোষ্ঠি অধ্যুষিত ঈশ্বরদীর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাহায্য প্রার্থিদের তাড়নায় বাড়িতে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে। পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা। সকাল থেকেই নিম্ন আয়ের দুঃস্থ মানুষেরা ভীড় করছেন তাঁদের বাড়িতে। বাড়িতে থেকেও ‘নেই’ বলতে হচ্ছে।

চার দফায় বরাদ্দ বন্টনের পরও পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ড, বহরপুর, নওদাপাড়া, সলিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈশ্বরদী এই চিত্র জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

ঈশ্বরদী পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু জানান, চার দফা সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও নিজেও ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য-সহযোগতা করেছি। প্রতিদিন রাতে ছিন্নমূলদের ব্যক্তিগতভাবে খাবার বিতরণ করছি। এরপরও বাড়িতে টিকতে পারছি না।

তিনি আরো বলেন, ঈশ্বরদীতে কর্মজীবি মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী। কর্মহীন মানুষেরা বেকার হওয়ার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে গেছে।

নদী ভাঙ্গন কবলিত সাঁড়া ইউপি’র চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার জানান, বাড়িতে থেকেও মিথ্যাভাবে ‘নেই’ বলতে হচ্ছে। বরাদ্দ বন্টনের সময় ছাড়া পরিষদে বসে কাজ করার উপায় নেই।

প্রত্যন্ত লক্ষীকুন্ডার চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান শরীফ বলেন, এই অপ্রতুল বরাদ্দ দিয়ে এলাকার গরীব মানুষের ন্যুনতম চাহিদা মেটানো সম্ভব না। সরকারি বরাদ্দ বন্টনের পর প্রতিদিন বাড়িতে রান্না করে ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, চারদফায় ১৬৫.০৭ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৭,৩৪,৫৬০ টাকা এবং ৬২৮ প্যাকেট দুধ জেলা হতে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ১১ মে.টন চাল, নগদ ৩,৪৯,২৮০ টাকা এবং ৪৪ প্যাকেট দুধ পরিষদে রেখে পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে বন্টন করা হয়েছে। পরিষদের জন্য রাখা দ্রব্যাদি ও টাকা উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও সাহেব বন্টন করেছেন। চালের সাথে নগদ টাকার পাশাপশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ওই টাকা দিয়ে কিনে পরিষদ বন্টন করছে।

৩৩৩ এ ফোন দিয়ে যারা সাহায্যের আবেদন করছে, তাদের উপজেলা হতে ইউএনও সাহেব বন্টন করছেন বলে তিনি জানান।

খোঁজ নিযে জানা যায়, ঈশ্বরদীর হতদরিদ্রদের অন্তত: একবার সহযোগিতার জন্য কমপক্ষে ৪০০ মে:টন চাল প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসনের নিকট ঈশ্বরদীর জন্য ২৩৮ মে:টন বরাদ্দ দানের চাহিদা দেয়া হয়েছিল বলে পিআইও জানিয়েছেন।

অপ্রতুল বরাদ্দ: ঈশ্বরদীর উপজেলা পরিষদ, চেয়ারম্যান, মেয়র ও মেম্বারদের ত্রাহি অবস্থা

প্রকাশিত সময় ০৪:৩৪:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল ২০২০

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ করোনা পরিস্থিেিত ঈশ্বরদীতে অপ্রতুল বরাদ্দ নিয়ে উপজেলা পরিষদ, পৌর মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও মেম্বারদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বিপুল জনগোষ্ঠি অধ্যুষিত ঈশ্বরদীর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাহায্য প্রার্থিদের তাড়নায় বাড়িতে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে। পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা। সকাল থেকেই নিম্ন আয়ের দুঃস্থ মানুষেরা ভীড় করছেন তাঁদের বাড়িতে। বাড়িতে থেকেও ‘নেই’ বলতে হচ্ছে।

চার দফায় বরাদ্দ বন্টনের পরও পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ড, বহরপুর, নওদাপাড়া, সলিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈশ্বরদী এই চিত্র জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

ঈশ্বরদী পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু জানান, চার দফা সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও নিজেও ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য-সহযোগতা করেছি। প্রতিদিন রাতে ছিন্নমূলদের ব্যক্তিগতভাবে খাবার বিতরণ করছি। এরপরও বাড়িতে টিকতে পারছি না।

তিনি আরো বলেন, ঈশ্বরদীতে কর্মজীবি মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী। কর্মহীন মানুষেরা বেকার হওয়ার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে গেছে।

নদী ভাঙ্গন কবলিত সাঁড়া ইউপি’র চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার জানান, বাড়িতে থেকেও মিথ্যাভাবে ‘নেই’ বলতে হচ্ছে। বরাদ্দ বন্টনের সময় ছাড়া পরিষদে বসে কাজ করার উপায় নেই।

প্রত্যন্ত লক্ষীকুন্ডার চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান শরীফ বলেন, এই অপ্রতুল বরাদ্দ দিয়ে এলাকার গরীব মানুষের ন্যুনতম চাহিদা মেটানো সম্ভব না। সরকারি বরাদ্দ বন্টনের পর প্রতিদিন বাড়িতে রান্না করে ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, চারদফায় ১৬৫.০৭ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৭,৩৪,৫৬০ টাকা এবং ৬২৮ প্যাকেট দুধ জেলা হতে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ১১ মে.টন চাল, নগদ ৩,৪৯,২৮০ টাকা এবং ৪৪ প্যাকেট দুধ পরিষদে রেখে পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে বন্টন করা হয়েছে। পরিষদের জন্য রাখা দ্রব্যাদি ও টাকা উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও সাহেব বন্টন করেছেন। চালের সাথে নগদ টাকার পাশাপশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ওই টাকা দিয়ে কিনে পরিষদ বন্টন করছে।

৩৩৩ এ ফোন দিয়ে যারা সাহায্যের আবেদন করছে, তাদের উপজেলা হতে ইউএনও সাহেব বন্টন করছেন বলে তিনি জানান।

খোঁজ নিযে জানা যায়, ঈশ্বরদীর হতদরিদ্রদের অন্তত: একবার সহযোগিতার জন্য কমপক্ষে ৪০০ মে:টন চাল প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসনের নিকট ঈশ্বরদীর জন্য ২৩৮ মে:টন বরাদ্দ দানের চাহিদা দেয়া হয়েছিল বলে পিআইও জানিয়েছেন।