ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সিরাজগঞ্জে একদিনে পৃথক দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১০:০৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০
  • / 115

আমিনুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জঃ পবিত্র ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনে সিরাজগঞ্জে নৌকাডুবিসহ তিনটি পৃথক ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আহত ও নিখোঁজ হয়েছেন অন্তত ১৬ জন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সলঙ্গায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে, চৌহালীতে যমুনায় নৌকাডুবি ও শাহজাদপুর দু’পক্ষের সংঘর্ষে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঈদ উৎসবের মধ্যে দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহতরা হলেন, উল্লাপাড়ার উপজেলার সলঙ্গা থানাধীন ওলিদহ গ্রামের আলতাফ হোসেন নূরীর স্ত্রী সেলিনা বেগম (৫৫), বেলকুচি উপজেলার গয়নাকান্দি গ্রামের মৃত জহির ফকিরের ছেলে পাষান ফকির (৬৫), কলাগাছি গ্রামের শামীম হোসেনের ছেলে নাইমুল ইসলাম (৪), টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার সুবর্ণতলী গ্রামের ব্যবসায়ী মৃত মজিদ মোল্লার ছেলে শেখ কামাল মোল্লা (৪৫), শাহজাদপুর উপজেলার গুটিবাড়ী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে রিপন (২৮) ও আনছার মোল্লার ছেলে আশরাফুল (১৬)।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে উপজেলার গুটিবাড়ী গ্রামে বাহারাম গ্রুপ ও নাজির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হন।

আহতদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে রিপন ও আশরাফুলের মৃত্যু হয়। নিহতরা দুজনেই বাহারাম গ্রুপের সমর্থক। আহতের মধ্যে আবু সামা, আকতার হোসেন, বাহারাম আলী, গাজী, সাহেব আলী ও রাজুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক।

এর আগে দুপুরে চৌহালী উপজেলার স্থলচর এলাকায় যাত্রীবোঝাই নৌকাডুবিতে এক শিশুসহ ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন ১৪ জন নৌযাত্রী।

এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মাসুদ পারভেজ বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে এনায়েতপুর খেয়াঘাট থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা চৌহালী যাচ্ছিল। নৌকাটি স্থলচর নামক এলাকায় পৌঁছলে প্রচন্ড ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা অভিযান চালিয়ে ৫৪ জনকে জীবিত অবস্থায় এবং শিশু নাইমুল ও বৃদ্ধ পাষান আলীর মরদেহ উদ্ধার করে।

এছাড়াও যমুনা নদীর ভাটিতে কুকুরিয়া এলাকা থেকে শেখ কামাল মোল্লা নামে আরও এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এ নৌকাডুবির ঘটনায় ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহম্মেদ বলেন, নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে সকালে ঢাকা থেকে নৌ ডুবুরি দল আমাদের সাথে যুক্ত হবে। এ ঘটনায় হতাহতদের মানবিক সহায়তা প্রদান করা হবে।

এদিকে সকালে সলঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির জানান, ওলিদহ গ্রামে আগুনে পুড়ে মারা গেছে উলে­খ করে সেলিনা বেগম নামে নারীকে দাফন করা হয়। পরিবারের দাবী বাড়ীতে আত্মীয়-স্বজনদের জন্য সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত রান্না করেন সেলিনা। রান্না শেষের দিকে গ্যাসের চুলো থেকে তার পরনের কাপড়ে আগুন ধরে। তিনি সেটা টের না পেয়ে বিছানায় ঘুমোতে যান। ভোররাতে ওই আগুনে পুড়ে মারা যান সেলিনা। তবে এ মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

তদন্তে কোন তথ্য পাওয়া গেলে পরিবারের অভিযোগ না থাকলেও পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে।

সিরাজগঞ্জে একদিনে পৃথক দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত সময় ১০:০৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০

আমিনুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জঃ পবিত্র ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনে সিরাজগঞ্জে নৌকাডুবিসহ তিনটি পৃথক ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আহত ও নিখোঁজ হয়েছেন অন্তত ১৬ জন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সলঙ্গায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে, চৌহালীতে যমুনায় নৌকাডুবি ও শাহজাদপুর দু’পক্ষের সংঘর্ষে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঈদ উৎসবের মধ্যে দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহতরা হলেন, উল্লাপাড়ার উপজেলার সলঙ্গা থানাধীন ওলিদহ গ্রামের আলতাফ হোসেন নূরীর স্ত্রী সেলিনা বেগম (৫৫), বেলকুচি উপজেলার গয়নাকান্দি গ্রামের মৃত জহির ফকিরের ছেলে পাষান ফকির (৬৫), কলাগাছি গ্রামের শামীম হোসেনের ছেলে নাইমুল ইসলাম (৪), টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার সুবর্ণতলী গ্রামের ব্যবসায়ী মৃত মজিদ মোল্লার ছেলে শেখ কামাল মোল্লা (৪৫), শাহজাদপুর উপজেলার গুটিবাড়ী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে রিপন (২৮) ও আনছার মোল্লার ছেলে আশরাফুল (১৬)।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে উপজেলার গুটিবাড়ী গ্রামে বাহারাম গ্রুপ ও নাজির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হন।

আহতদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে রিপন ও আশরাফুলের মৃত্যু হয়। নিহতরা দুজনেই বাহারাম গ্রুপের সমর্থক। আহতের মধ্যে আবু সামা, আকতার হোসেন, বাহারাম আলী, গাজী, সাহেব আলী ও রাজুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক।

এর আগে দুপুরে চৌহালী উপজেলার স্থলচর এলাকায় যাত্রীবোঝাই নৌকাডুবিতে এক শিশুসহ ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন ১৪ জন নৌযাত্রী।

এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মাসুদ পারভেজ বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে এনায়েতপুর খেয়াঘাট থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা চৌহালী যাচ্ছিল। নৌকাটি স্থলচর নামক এলাকায় পৌঁছলে প্রচন্ড ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা অভিযান চালিয়ে ৫৪ জনকে জীবিত অবস্থায় এবং শিশু নাইমুল ও বৃদ্ধ পাষান আলীর মরদেহ উদ্ধার করে।

এছাড়াও যমুনা নদীর ভাটিতে কুকুরিয়া এলাকা থেকে শেখ কামাল মোল্লা নামে আরও এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এ নৌকাডুবির ঘটনায় ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহম্মেদ বলেন, নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে সকালে ঢাকা থেকে নৌ ডুবুরি দল আমাদের সাথে যুক্ত হবে। এ ঘটনায় হতাহতদের মানবিক সহায়তা প্রদান করা হবে।

এদিকে সকালে সলঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির জানান, ওলিদহ গ্রামে আগুনে পুড়ে মারা গেছে উলে­খ করে সেলিনা বেগম নামে নারীকে দাফন করা হয়। পরিবারের দাবী বাড়ীতে আত্মীয়-স্বজনদের জন্য সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত রান্না করেন সেলিনা। রান্না শেষের দিকে গ্যাসের চুলো থেকে তার পরনের কাপড়ে আগুন ধরে। তিনি সেটা টের না পেয়ে বিছানায় ঘুমোতে যান। ভোররাতে ওই আগুনে পুড়ে মারা যান সেলিনা। তবে এ মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

তদন্তে কোন তথ্য পাওয়া গেলে পরিবারের অভিযোগ না থাকলেও পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে।