ঢাকা ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সিরাজগঞ্জের পাঁচঠাকুরী গ্রামের শেষ চিহ্ন মসজিদটিও চলে গেলে যমুনার পেটে

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:১৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 85

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি আবারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একদিকে নিম্নাঞ্চল যেমন প্লাবিত হচ্ছে অন্যদিকে দেখা দিয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙন।

বিশেষ করে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরী, এনায়েতপুর থানার দক্ষিণাঞ্চলসহ কাজিপুরের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙন। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলা পাঁচঠাকুরী গ্রামের শেষ চিহ্ন মসজিটি বিলীন হয়েছে।

এতে আতংকিত হয়ে পরেছে যমুনা পাড়ের মানুষ। অপরদিকে জেলার এনায়েতপুর থানার দক্ষিনে গত কয়েকদিনে প্রায় অর্ধশত বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরী এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায় একদিকে যমুনায় হানারো মানুষের বিলাপ অন্য দিকে পাউবোর নির্বাক ব্যবস্থাপনা।

এলাকাবাসির অভিযোগ গতকাল থেকে এখানে ভাঙ্গন শুরু হলেও পাউবো কোন পদক্ষেপ নেয়নি। যদি নৌকাযোগে বালির বস্তা ফেলা হতো তাহলে আজ মসজিদটি রক্ষা হতো।

গ্রামের একমাত্র স্মৃতিচিহ্ন মসজিদটি বিলীনের পর থেকে মানুষ শুধু চোখের পানি ফেলছে। তাদের দাবি এই মুহুর্তে সরকার যদি এখানে দ্রুত ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে যেটুকু সম্বল আছে সেটাও যমুনার পেটে চলে যাবে।

এলাকাবাসীর দাবি তারা ত্রাণ চাননা, চান নিশ্চিন্তে ঘুমানোর গ্যারান্টি। এজন্য তারা স্থায়ী বাঁধ নির্মানের জোর দাবি জানান।

এসময় ঘটনাস্থলে থাাকা পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য গত ২৪ জুলাই দুপুরে পাঁচঠাকুরী গ্রামে আকস্মিক ভাবে ভাঙ্গন দেখা দেয়। সেই ভয়াবহ ভাঙ্গনে মানুষ তাদের সহায় সম্বল হারিয়ে এখনও বাঁধের ওপর জীবন যাপন করছে। নতুন করে ভাঙ্গনের দৃশ্য দেখে পুরো এলাকার মানুষ এখন আতংকিত।

সিরাজগঞ্জের পাঁচঠাকুরী গ্রামের শেষ চিহ্ন মসজিদটিও চলে গেলে যমুনার পেটে

প্রকাশিত সময় ০৯:১৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি আবারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একদিকে নিম্নাঞ্চল যেমন প্লাবিত হচ্ছে অন্যদিকে দেখা দিয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙন।

বিশেষ করে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরী, এনায়েতপুর থানার দক্ষিণাঞ্চলসহ কাজিপুরের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙন। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলা পাঁচঠাকুরী গ্রামের শেষ চিহ্ন মসজিটি বিলীন হয়েছে।

এতে আতংকিত হয়ে পরেছে যমুনা পাড়ের মানুষ। অপরদিকে জেলার এনায়েতপুর থানার দক্ষিনে গত কয়েকদিনে প্রায় অর্ধশত বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরী এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায় একদিকে যমুনায় হানারো মানুষের বিলাপ অন্য দিকে পাউবোর নির্বাক ব্যবস্থাপনা।

এলাকাবাসির অভিযোগ গতকাল থেকে এখানে ভাঙ্গন শুরু হলেও পাউবো কোন পদক্ষেপ নেয়নি। যদি নৌকাযোগে বালির বস্তা ফেলা হতো তাহলে আজ মসজিদটি রক্ষা হতো।

গ্রামের একমাত্র স্মৃতিচিহ্ন মসজিদটি বিলীনের পর থেকে মানুষ শুধু চোখের পানি ফেলছে। তাদের দাবি এই মুহুর্তে সরকার যদি এখানে দ্রুত ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে যেটুকু সম্বল আছে সেটাও যমুনার পেটে চলে যাবে।

এলাকাবাসীর দাবি তারা ত্রাণ চাননা, চান নিশ্চিন্তে ঘুমানোর গ্যারান্টি। এজন্য তারা স্থায়ী বাঁধ নির্মানের জোর দাবি জানান।

এসময় ঘটনাস্থলে থাাকা পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য গত ২৪ জুলাই দুপুরে পাঁচঠাকুরী গ্রামে আকস্মিক ভাবে ভাঙ্গন দেখা দেয়। সেই ভয়াবহ ভাঙ্গনে মানুষ তাদের সহায় সম্বল হারিয়ে এখনও বাঁধের ওপর জীবন যাপন করছে। নতুন করে ভাঙ্গনের দৃশ্য দেখে পুরো এলাকার মানুষ এখন আতংকিত।