ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার একদন্ত-ধানুয়াঘাটা সড়ক সংস্কারের অভাবে জনদুর্ভোগ; দুর্ঘটনাসহ বাড়ছে যানযট

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৬:৩১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০
  • / 99

আটঘরিয়া( পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত, লক্ষীপুর ইউনিয়ন ও চাটমোহর উপজেলার কুয়াবাসী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একদন্ত-ধানুয়াঘাটা সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জনগণের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সড়কের মাঝে মাঝে খানাখন্দ হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে বিপদজনক হয়ে পড়েছে। যানবাহনগুলো হেলেদুলে চলছে। এই রাস্তায় ৮/১০ স্থানে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। এসব রাস্তায় নিত্যনৈমিত্তিক ঘটছে দুর্ঘটনা। এই রাস্তা দিয়ে পাবনা থেকে সরাসরি একদন্ত হয়ে শরৎগঞ্জ ও ধানুয়াঘাটা হাটে যাতায়াত করে জনগণ ও ব্যবসায়ীরা।

এই রাস্তায় একদন্ত বাজার, চান্দাই মোড়, দুবলিয়ার মোড় শরিফের বাড়ির পাশে, নগরচাচকিয়া তোজার বাড়ির পাশে, দুবলিয়া শিথিনাথের পুকুরপাড়, নলগাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন, কাঠগাড়া, ফলিয়া মোজাম্মেলএর বাড়ির পাশে, ফলিয়া খোরশেদ এর বাড়ির পাশে রাস্তাগুলো গর্ত হয়ে পানি জমে থাকে। ফলে প্রায়ই যাত্রীবাহী ও মালবাহী উল্টে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়।

রাস্তাটির ভগ্নদশার কারণে কয়েক বছর ধরে বাস চলাচল বন্ধ আছে। অটোরিকশা, সবুজ সিএনজিই একমাত্র ভরসা। দুর্ভোগের সংগে গুণতে হচ্ছে দিগুণ ভাড়া।

স্থানীয়রা জানান, আমাদের চোখের সামনে প্রায়ই যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। একদন্ত ইউনিয়নের ষাটগাছা গ্রামের আলহাজ হাবিবুর রহমান গত ৭ অক্টোবর ধানুয়াঘাটা হাট থেকে আসার পথে মাল বোঝাই করিমন উল্টে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তার পিঠের শিরদাঁড়া ভেঙে গেছে।

গত ১৪ অক্টোবর নগরচাচকিয়া মোড়ে অটোরিকশা ও পিকাপ গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে চৌবাড়ীয়া গ্রামের হাবিল সরদার গুরুতর আহত হয়।

এব্যাপারে আটঘরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী এ এইচ এম রবিউল আওয়াল রিজভীকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, একদন্ত-ধানুয়াঘাটা সড়ক আটঘরিয়ার অংশে দৈর্ঘ্য ৭.৮৫ কি মি। এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে বন্যা পুর্নবাসন প্রকল্পে পাঠানো হয়েছে। এটা বড় কাজ। বাংলাদেশ সরকারের টাকা দিয়ে করা সম্ভব না।

তিনি আরও বলেন, মোড়ে মোড়ে এলজিইডি এর পক্ষ থেকে সাইন বোর্ড দেয়া হয়েছে ১০ টনের বেশী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ।

তিনি আরো জানান, আইন শৃঙখলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষপের নিকট বিষয়টি বারবার উপস্থাপন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেননি। তবে উল্লেখিত প্রকল্প পাস হলে রাস্তা সংস্কার সম্ভব হবে।

পাবনার একদন্ত-ধানুয়াঘাটা সড়ক সংস্কারের অভাবে জনদুর্ভোগ; দুর্ঘটনাসহ বাড়ছে যানযট

প্রকাশিত সময় ০৬:৩১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০

আটঘরিয়া( পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত, লক্ষীপুর ইউনিয়ন ও চাটমোহর উপজেলার কুয়াবাসী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একদন্ত-ধানুয়াঘাটা সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জনগণের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সড়কের মাঝে মাঝে খানাখন্দ হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে বিপদজনক হয়ে পড়েছে। যানবাহনগুলো হেলেদুলে চলছে। এই রাস্তায় ৮/১০ স্থানে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। এসব রাস্তায় নিত্যনৈমিত্তিক ঘটছে দুর্ঘটনা। এই রাস্তা দিয়ে পাবনা থেকে সরাসরি একদন্ত হয়ে শরৎগঞ্জ ও ধানুয়াঘাটা হাটে যাতায়াত করে জনগণ ও ব্যবসায়ীরা।

এই রাস্তায় একদন্ত বাজার, চান্দাই মোড়, দুবলিয়ার মোড় শরিফের বাড়ির পাশে, নগরচাচকিয়া তোজার বাড়ির পাশে, দুবলিয়া শিথিনাথের পুকুরপাড়, নলগাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন, কাঠগাড়া, ফলিয়া মোজাম্মেলএর বাড়ির পাশে, ফলিয়া খোরশেদ এর বাড়ির পাশে রাস্তাগুলো গর্ত হয়ে পানি জমে থাকে। ফলে প্রায়ই যাত্রীবাহী ও মালবাহী উল্টে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়।

রাস্তাটির ভগ্নদশার কারণে কয়েক বছর ধরে বাস চলাচল বন্ধ আছে। অটোরিকশা, সবুজ সিএনজিই একমাত্র ভরসা। দুর্ভোগের সংগে গুণতে হচ্ছে দিগুণ ভাড়া।

স্থানীয়রা জানান, আমাদের চোখের সামনে প্রায়ই যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। একদন্ত ইউনিয়নের ষাটগাছা গ্রামের আলহাজ হাবিবুর রহমান গত ৭ অক্টোবর ধানুয়াঘাটা হাট থেকে আসার পথে মাল বোঝাই করিমন উল্টে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তার পিঠের শিরদাঁড়া ভেঙে গেছে।

গত ১৪ অক্টোবর নগরচাচকিয়া মোড়ে অটোরিকশা ও পিকাপ গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে চৌবাড়ীয়া গ্রামের হাবিল সরদার গুরুতর আহত হয়।

এব্যাপারে আটঘরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী এ এইচ এম রবিউল আওয়াল রিজভীকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, একদন্ত-ধানুয়াঘাটা সড়ক আটঘরিয়ার অংশে দৈর্ঘ্য ৭.৮৫ কি মি। এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে বন্যা পুর্নবাসন প্রকল্পে পাঠানো হয়েছে। এটা বড় কাজ। বাংলাদেশ সরকারের টাকা দিয়ে করা সম্ভব না।

তিনি আরও বলেন, মোড়ে মোড়ে এলজিইডি এর পক্ষ থেকে সাইন বোর্ড দেয়া হয়েছে ১০ টনের বেশী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ।

তিনি আরো জানান, আইন শৃঙখলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষপের নিকট বিষয়টি বারবার উপস্থাপন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেননি। তবে উল্লেখিত প্রকল্প পাস হলে রাস্তা সংস্কার সম্ভব হবে।