ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ইছামতি পাড়ের বাসিন্দারা কেমন আছেন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:৪৭:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
  • / 83

পাবনা শহর ও ইছামতি নদীর মানচিত্র


বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, ১৬ জুন ২০২২

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার নদী উদ্ধার প্রকল্পের অংশ হিসেবে পাবনার ইছামতি নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করেছে পাবনা জেলা প্রশাসন।

নদী পাড়ের বাসিন্দারা সরকার ও আদালতে শরণাপন্ন হয়েও কোন প্রতিকার পাননি। শেষ পর্যন্ত তাদের উচ্ছেদ করেছে পাবনা জেলা প্রশাসন।

বাসস্থান হারিয়ে নদী পাড়ের বাসিন্দারা এখন শোকে মুহ্যমান। বাসস্থান হারিয়ে দিশেহারা সকলেই। অনেকেই হারিয়ে ফেলেছেন কর্মসংস্থান।

অনেক পরিবারের আয়ের উৎস ছিল শুধু বাড়ি ভাড়া। তারা এখন আয়হীন হয়ে পড়েছেন। সারাজীবনের উপার্জন দিয়ে বাড়ি করে এখন নিঃস্ব।

শোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আবার অনেকে মারাও গেছেন।

বাড়ি থেকে উচ্ছেদের প্রভাব আবাল বৃদ্ধ বণিতা সকলের উপরই পড়েছে। এই গভীর চাপের ফলে বয়স্করা অসুস্থ হচ্ছেন। কিন্তু শিশু, কিশোর ও যুবকদের মনস্তত্ত্বে কী ধরনের প্রভাব পড়ছে তা অবশ্যই গভীর উদ্বেগের বিষয়। যেখানে একজন অবসরপ্রাপ্ত কলেজের অধ্যাপক বলতে পারেন এদেশ আমাদের চায় না। বাড়ি থেকে যখন কোন ব্যবস্থা না করেই উচ্ছেদ করছে সরকার, তখন আমরা কি আর প্রত্যাশা করতে পারি। দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া সম্ভব হলে তাই যেতাম। কিন্তু আমাদের তো আর অঢেল টাকা নাই যে যা ইচ্ছা তাই করবো।

দরিদ্র পরিবার গুলো নিজের বাড়িতে থাকায় বাড়ি ভাড়ার চিন্তা করতে হতো না। এখন স্বল্প আয়ে তাদের জীবনে নাভিশ্বাস অবস্থা।

নদী পাড়ের বাসিন্দাদের সকলেরই একই কথা – আমরা নগদ টাকা দিয়ে সরকারি কোষাগারে রাজস্ব জমা দিয়ে জমি কিনেছি, পৌরসভা থেকে নকশার অনুমোদন নিয়ে বাড়ি করেছি, এতদিন যাবত নিয়মিত খাজনা ও পৌর কর পরিশোধ করেছি। এখন আমাদের কোন প্রকারের ক্ষতিপুরণ না দিয়ে উচ্ছেদ করাটা কতটুকু যৌক্তিক আর কতটুকুই বা মানবিক!

আমরা মানববন্ধন করেছি, জেলা প্রশাসক ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছি। কিন্তু আমাদের শোচনীয় অবস্থা দেখা, শোনা, বা হৃদয়জ্ঞম করছে না কেউই। আমরা এখন কোথায় যাব, কি করব? বাসস্থান জনগণের মৌলিক অধিকার গুলোর মধ্যে অন্যতম। অথচ আমরা বাস্তুহারা হয়ে যাচ্ছি। আমরা কি এদেশের জনগণ নই? আমাদের মধ্যে অনেকেই বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যও আছেন; যাদের পূর্ব-পুরুষ এদেশের জন্য যুদ্ধ করেছে, জীবন দিয়েছে – তাদেরই উত্তরসূরীদের আজ ভিটেছাড়া হতে হচ্ছে!

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ

ইছামতি পাড়ের বাসিন্দারা কেমন আছেন

প্রকাশিত সময় ০৭:৪৭:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২

পাবনা শহর ও ইছামতি নদীর মানচিত্র


বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, ১৬ জুন ২০২২

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার নদী উদ্ধার প্রকল্পের অংশ হিসেবে পাবনার ইছামতি নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করেছে পাবনা জেলা প্রশাসন।

নদী পাড়ের বাসিন্দারা সরকার ও আদালতে শরণাপন্ন হয়েও কোন প্রতিকার পাননি। শেষ পর্যন্ত তাদের উচ্ছেদ করেছে পাবনা জেলা প্রশাসন।

বাসস্থান হারিয়ে নদী পাড়ের বাসিন্দারা এখন শোকে মুহ্যমান। বাসস্থান হারিয়ে দিশেহারা সকলেই। অনেকেই হারিয়ে ফেলেছেন কর্মসংস্থান।

অনেক পরিবারের আয়ের উৎস ছিল শুধু বাড়ি ভাড়া। তারা এখন আয়হীন হয়ে পড়েছেন। সারাজীবনের উপার্জন দিয়ে বাড়ি করে এখন নিঃস্ব।

শোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আবার অনেকে মারাও গেছেন।

বাড়ি থেকে উচ্ছেদের প্রভাব আবাল বৃদ্ধ বণিতা সকলের উপরই পড়েছে। এই গভীর চাপের ফলে বয়স্করা অসুস্থ হচ্ছেন। কিন্তু শিশু, কিশোর ও যুবকদের মনস্তত্ত্বে কী ধরনের প্রভাব পড়ছে তা অবশ্যই গভীর উদ্বেগের বিষয়। যেখানে একজন অবসরপ্রাপ্ত কলেজের অধ্যাপক বলতে পারেন এদেশ আমাদের চায় না। বাড়ি থেকে যখন কোন ব্যবস্থা না করেই উচ্ছেদ করছে সরকার, তখন আমরা কি আর প্রত্যাশা করতে পারি। দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া সম্ভব হলে তাই যেতাম। কিন্তু আমাদের তো আর অঢেল টাকা নাই যে যা ইচ্ছা তাই করবো।

দরিদ্র পরিবার গুলো নিজের বাড়িতে থাকায় বাড়ি ভাড়ার চিন্তা করতে হতো না। এখন স্বল্প আয়ে তাদের জীবনে নাভিশ্বাস অবস্থা।

নদী পাড়ের বাসিন্দাদের সকলেরই একই কথা – আমরা নগদ টাকা দিয়ে সরকারি কোষাগারে রাজস্ব জমা দিয়ে জমি কিনেছি, পৌরসভা থেকে নকশার অনুমোদন নিয়ে বাড়ি করেছি, এতদিন যাবত নিয়মিত খাজনা ও পৌর কর পরিশোধ করেছি। এখন আমাদের কোন প্রকারের ক্ষতিপুরণ না দিয়ে উচ্ছেদ করাটা কতটুকু যৌক্তিক আর কতটুকুই বা মানবিক!

আমরা মানববন্ধন করেছি, জেলা প্রশাসক ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছি। কিন্তু আমাদের শোচনীয় অবস্থা দেখা, শোনা, বা হৃদয়জ্ঞম করছে না কেউই। আমরা এখন কোথায় যাব, কি করব? বাসস্থান জনগণের মৌলিক অধিকার গুলোর মধ্যে অন্যতম। অথচ আমরা বাস্তুহারা হয়ে যাচ্ছি। আমরা কি এদেশের জনগণ নই? আমাদের মধ্যে অনেকেই বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যও আছেন; যাদের পূর্ব-পুরুষ এদেশের জন্য যুদ্ধ করেছে, জীবন দিয়েছে – তাদেরই উত্তরসূরীদের আজ ভিটেছাড়া হতে হচ্ছে!

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ