ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ, নারীর সংখ্যা বেশি

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:২৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২
  • / 104

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:২৮ অপরাহ্ন, ২৭ জুলাই ২০২২


আদমশুমারি
বাংলাদেশে আদমশুমারির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সংখ্যায় পুরুষদের ছাড়িয়ে গেছে নারীরা। জনসংখ্যা ও আবাসন শুমারি-২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে প্রতি ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা প্রায় ৯৯ জন।

আজ বুধবার রাজধানীতে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের ষষ্ঠ আদমশুমারি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, প্রবাসীরা বাদে দেশের জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। সেই হিসাবে ২০১১ সালের আদমশুমারির পর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ।

২০২১ সালে আদমশুমারি পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সেটা পিছিয়ে যায়। জাতিসংঘের বিশ্ব জনসংখ্যার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিশ্বে নারী-পুরুষের অনুপাত হওয়ার কথা ১০০:১০১.৬৮। গত আদমশুমারিতে বাংলাদেশে নারী-পুরুষের অনুপাত ছিল ১০০.৩ এবং এর আগে ২০০১ সালের আদমশুমারিতে এই অনুপাত ছিল ১০৬.৪।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নারীদের গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ার কারণে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি হতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম বলেন, ‘নারী-পুরুষের বর্তমান আনুপাতিক হারের আরেকটা কারণ হতে পারে বহু সংখ্যক মানুষের বিদেশ যাওয়া।’

বাংলাদেশের সবশেষ আদমশুমারিতে আরও দেখা গেছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বর্তমানে কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশের নিচে। যা এর আগের আদমশুমারিতে ছিল ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৪ কোটি ৪০ লাখ। যা ২০০১ সালের আদমশুমারিতে পাওয়া সংখ্যার তুলনায় প্রায় ১ কোটি ৮ লাখ বেশি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতি আদমশুমারিতে সাধারণত ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ যোগ হয়। তবে, এবার জনসংখ্যা বৃদ্ধি কমেছে।

গত ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ব্যাপক পরিসরে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সারাদেশে ৬ষ্ঠ আদমশুমারি পরিচালিত হয়েছিল।

আদমশুমারি জনসংখ্যার সামগ্রিক ধারণা, এর গঠন, কর্মশক্তি, ঘনত্ব, আবাসন ও অন্যান্য আর্থ-সামাজিক সূচকগুলো সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রদান করে। যা অর্থনৈতিক ও অন্যান্য নীতি সঠিকভাবে প্রণয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬, বেড়েছে ২২.৮৯ শতাংশ

দেশে সাত বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ২০১১ সালের আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী, এই হার ছিল ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এই হিসাবে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

বুধবার (২৭ জুলাই) জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রাথমিক তথ্যে এ কথা জানানো হয়। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ তথ্য উপস্থাপন করেন জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১’ প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, জনমিতিক তথ্য আমরা মাঠ থেকে যা পেয়েছি, তাই উপস্থাপন করা হল। এটি প্রাথমিক প্রতিবেদন।

তথ্যে আরও বলা হয়, সাক্ষরতার দিক থেকে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং নারী ৭২ দশমিক ৮২ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।

আরও উপস্থিত আছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ, নারীর সংখ্যা বেশি

প্রকাশিত সময় ১১:২৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:২৮ অপরাহ্ন, ২৭ জুলাই ২০২২


আদমশুমারি
বাংলাদেশে আদমশুমারির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সংখ্যায় পুরুষদের ছাড়িয়ে গেছে নারীরা। জনসংখ্যা ও আবাসন শুমারি-২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে প্রতি ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা প্রায় ৯৯ জন।

আজ বুধবার রাজধানীতে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের ষষ্ঠ আদমশুমারি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, প্রবাসীরা বাদে দেশের জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। সেই হিসাবে ২০১১ সালের আদমশুমারির পর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ।

২০২১ সালে আদমশুমারি পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সেটা পিছিয়ে যায়। জাতিসংঘের বিশ্ব জনসংখ্যার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিশ্বে নারী-পুরুষের অনুপাত হওয়ার কথা ১০০:১০১.৬৮। গত আদমশুমারিতে বাংলাদেশে নারী-পুরুষের অনুপাত ছিল ১০০.৩ এবং এর আগে ২০০১ সালের আদমশুমারিতে এই অনুপাত ছিল ১০৬.৪।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নারীদের গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ার কারণে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি হতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম বলেন, ‘নারী-পুরুষের বর্তমান আনুপাতিক হারের আরেকটা কারণ হতে পারে বহু সংখ্যক মানুষের বিদেশ যাওয়া।’

বাংলাদেশের সবশেষ আদমশুমারিতে আরও দেখা গেছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বর্তমানে কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশের নিচে। যা এর আগের আদমশুমারিতে ছিল ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৪ কোটি ৪০ লাখ। যা ২০০১ সালের আদমশুমারিতে পাওয়া সংখ্যার তুলনায় প্রায় ১ কোটি ৮ লাখ বেশি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতি আদমশুমারিতে সাধারণত ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ যোগ হয়। তবে, এবার জনসংখ্যা বৃদ্ধি কমেছে।

গত ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ব্যাপক পরিসরে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সারাদেশে ৬ষ্ঠ আদমশুমারি পরিচালিত হয়েছিল।

আদমশুমারি জনসংখ্যার সামগ্রিক ধারণা, এর গঠন, কর্মশক্তি, ঘনত্ব, আবাসন ও অন্যান্য আর্থ-সামাজিক সূচকগুলো সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রদান করে। যা অর্থনৈতিক ও অন্যান্য নীতি সঠিকভাবে প্রণয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬, বেড়েছে ২২.৮৯ শতাংশ

দেশে সাত বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ২০১১ সালের আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী, এই হার ছিল ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এই হিসাবে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

বুধবার (২৭ জুলাই) জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রাথমিক তথ্যে এ কথা জানানো হয়। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ তথ্য উপস্থাপন করেন জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১’ প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, জনমিতিক তথ্য আমরা মাঠ থেকে যা পেয়েছি, তাই উপস্থাপন করা হল। এটি প্রাথমিক প্রতিবেদন।

তথ্যে আরও বলা হয়, সাক্ষরতার দিক থেকে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং নারী ৭২ দশমিক ৮২ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।

আরও উপস্থিত আছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ