ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভাঙ্গুড়ায় সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে দফায় দফায় সংষ্কারেও টিকছে না রাস্তা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:৩১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / 61
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে দফায় দফায় সংষ্কারেও টিকছে না রাস্তা !।

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:১৩ অপরাহ্ন, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২


পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দক্ষিণ সারুটিয়া রেল লাইন টু পাটুলীপাড়া চৌরাস্তা মিনি বিশ্বরোড সংযোগ প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের পাটুলীপাড়া কবর স্থান এলাকার সড়ক ভেঙ্গে বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর থেকে অপরিকল্পিতভাবে দফায় দফায় সংস্কার করেও টিকছে না এই রাস্তা। ভেঙ্গে যাচ্ছে অহরহ। দুর্ঘটনাও ঘটছে বার
বার। তবু যেন কিছু করার নেই কর্তৃপক্ষের। কারণ উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব ও পুকুরের পাড় না বাধায় এ রাস্তাটি সংষ্কারের পর বেশী দিন টিকছে না।

ফলে সরকারের ক্ষতি হচ্ছে বড় অংঙ্কের টাকা। বৃহস্প্রতিবার সরেজমিন, উপজেলার পৌর সদরের দক্ষিণ সারুটিয়া রেল লাইন টু পাটুলীপাড়া চৌরাস্তা মিনি বিশ্বরোড সংযোগ প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের পাটুলীপাড়া কবর স্থান এলাকার ঘুরে দেখা গেছে, ওই সড়ক ভেঙ্গে বেহাল দশা তৈরি হয়েছে।

রাস্তার পাশেরই প্রায় ২০/২৫ ফুট গর্তের পুকুরের পাশ দিয়ে খাড়াভাবে বাঁশ, বাঁশের চাটাই ও তার দিয়ে আটকিয়ে রাস্তা সংস্কার করে সেখানে মাঠি ফেলে তা ঠেকিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছে। গাইড ওয়াল গুলো অনেক আগেই ভেঙ্গে দেবে গেছে। হেলে দুলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যান বহন এগিয়ে চলেছে।

এই রাস্তা দিয়ে উপজেলা সদর, হাসপাতাল ও থানায় সেবা নিতে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে থাকে। আর চলাচল করতে দুর্ঘটনাও ঘটছে বার বার তবু যেন কিছুই করার নেই কর্তৃপক্ষের ।

উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের সুষ্ঠু পরিকল্পনার ও দিকনির্দেশনার অভাবে প্রতি বছরই সংষ্কারের পরও কিছুদিন পরপরই ভেঙ্গে যাচ্ছে সড়কের একই স্থান সমুহে। অথচ রাস্তার পাশেরই প্রায় ২০/২৫ ফুট গর্তের পুকুরের পাশ দিয়ে কখনো বাঁশ, বাঁশের চাটাই ও তার দিয়ে রাস্তা সংস্কার করে সেখানে মাঠি ফেলে তা ঠেকিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা রীতিমত হাস্যকর ও সরকারের অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।

অপরদিকে ওই রাস্তাতে মোটা অঙ্কের বরাদ্ধ দিয়ে একাধিকবার উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের অপরিকল্পিত গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হলেও সে গুলিও অল্প দিনেই ভেঙ্গে গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে,উপজেলার পৌর সদরের দক্ষিণ সারুটিয়া রেল লাইন টু পাটুলীপাড়া চৌরাস্তা মিনি বিশ্বরোড সংযোগ সড়কের পাটুলীপাড়া কবর স্থান এলাকার সড়কের পাশেই রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মজনুর রহমান গং ও শহিদ্দুজ্জামান তরুন গংদের,বড় বড় দুই টি পুকুর। তারা পুকুরের পাড় না বেধে বা সংষ্কার না করেই নির্বিগ্নে বছরের পর বছর মাছের চাষ করে যাচ্ছেন।

স্থানীয়দের দাবী, পুকুর মালিক গণ যদি পুকুরের পাড় বেঁধে মাছের চাষ করেন তাহলে হয়তো ওই রাস্তাটি পরিকল্পিত সংষ্কার করলে জনদুর্ভোগ লাঘব হত।

এবিষয়ে ভাঙ্গুড়া টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ মো. বদরুল আলম বলেন, রাস্তাটিতে চলাচলকারী মানুষ বহুদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই দুর্ভোগের দ্রুত সমাধানে উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে পারভাঙ্গুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. হেদয়েতুল হক বলেন, ওই রাস্তা নষ্টের জন্য মূলত রাস্তার পাশের দুইটি পুকুর দায়ী। পুকুরের মালিকদ্বয় যদি পুকুর দুটির পাড় বাধে দিত তাহলে রাস্তাটি এত খারাপ হত না।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোছা. আফরোজা খাতুন বলেন, পুকুরের মালিকরা যদি তাদের পুকুরের পাড় না বাধে তাহলে ওই রাস্তা টেকানো সম্ভব নয়।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


ভাঙ্গুড়ায় সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে দফায় দফায় সংষ্কারেও টিকছে না রাস্তা

প্রকাশিত সময় ১১:৩১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে দফায় দফায় সংষ্কারেও টিকছে না রাস্তা !।

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:১৩ অপরাহ্ন, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২


পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দক্ষিণ সারুটিয়া রেল লাইন টু পাটুলীপাড়া চৌরাস্তা মিনি বিশ্বরোড সংযোগ প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের পাটুলীপাড়া কবর স্থান এলাকার সড়ক ভেঙ্গে বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর থেকে অপরিকল্পিতভাবে দফায় দফায় সংস্কার করেও টিকছে না এই রাস্তা। ভেঙ্গে যাচ্ছে অহরহ। দুর্ঘটনাও ঘটছে বার
বার। তবু যেন কিছু করার নেই কর্তৃপক্ষের। কারণ উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব ও পুকুরের পাড় না বাধায় এ রাস্তাটি সংষ্কারের পর বেশী দিন টিকছে না।

ফলে সরকারের ক্ষতি হচ্ছে বড় অংঙ্কের টাকা। বৃহস্প্রতিবার সরেজমিন, উপজেলার পৌর সদরের দক্ষিণ সারুটিয়া রেল লাইন টু পাটুলীপাড়া চৌরাস্তা মিনি বিশ্বরোড সংযোগ প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের পাটুলীপাড়া কবর স্থান এলাকার ঘুরে দেখা গেছে, ওই সড়ক ভেঙ্গে বেহাল দশা তৈরি হয়েছে।

রাস্তার পাশেরই প্রায় ২০/২৫ ফুট গর্তের পুকুরের পাশ দিয়ে খাড়াভাবে বাঁশ, বাঁশের চাটাই ও তার দিয়ে আটকিয়ে রাস্তা সংস্কার করে সেখানে মাঠি ফেলে তা ঠেকিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছে। গাইড ওয়াল গুলো অনেক আগেই ভেঙ্গে দেবে গেছে। হেলে দুলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যান বহন এগিয়ে চলেছে।

এই রাস্তা দিয়ে উপজেলা সদর, হাসপাতাল ও থানায় সেবা নিতে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে থাকে। আর চলাচল করতে দুর্ঘটনাও ঘটছে বার বার তবু যেন কিছুই করার নেই কর্তৃপক্ষের ।

উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের সুষ্ঠু পরিকল্পনার ও দিকনির্দেশনার অভাবে প্রতি বছরই সংষ্কারের পরও কিছুদিন পরপরই ভেঙ্গে যাচ্ছে সড়কের একই স্থান সমুহে। অথচ রাস্তার পাশেরই প্রায় ২০/২৫ ফুট গর্তের পুকুরের পাশ দিয়ে কখনো বাঁশ, বাঁশের চাটাই ও তার দিয়ে রাস্তা সংস্কার করে সেখানে মাঠি ফেলে তা ঠেকিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা রীতিমত হাস্যকর ও সরকারের অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।

অপরদিকে ওই রাস্তাতে মোটা অঙ্কের বরাদ্ধ দিয়ে একাধিকবার উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের অপরিকল্পিত গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হলেও সে গুলিও অল্প দিনেই ভেঙ্গে গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে,উপজেলার পৌর সদরের দক্ষিণ সারুটিয়া রেল লাইন টু পাটুলীপাড়া চৌরাস্তা মিনি বিশ্বরোড সংযোগ সড়কের পাটুলীপাড়া কবর স্থান এলাকার সড়কের পাশেই রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মজনুর রহমান গং ও শহিদ্দুজ্জামান তরুন গংদের,বড় বড় দুই টি পুকুর। তারা পুকুরের পাড় না বেধে বা সংষ্কার না করেই নির্বিগ্নে বছরের পর বছর মাছের চাষ করে যাচ্ছেন।

স্থানীয়দের দাবী, পুকুর মালিক গণ যদি পুকুরের পাড় বেঁধে মাছের চাষ করেন তাহলে হয়তো ওই রাস্তাটি পরিকল্পিত সংষ্কার করলে জনদুর্ভোগ লাঘব হত।

এবিষয়ে ভাঙ্গুড়া টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ মো. বদরুল আলম বলেন, রাস্তাটিতে চলাচলকারী মানুষ বহুদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই দুর্ভোগের দ্রুত সমাধানে উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে পারভাঙ্গুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. হেদয়েতুল হক বলেন, ওই রাস্তা নষ্টের জন্য মূলত রাস্তার পাশের দুইটি পুকুর দায়ী। পুকুরের মালিকদ্বয় যদি পুকুর দুটির পাড় বাধে দিত তাহলে রাস্তাটি এত খারাপ হত না।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোছা. আফরোজা খাতুন বলেন, পুকুরের মালিকরা যদি তাদের পুকুরের পাড় না বাধে তাহলে ওই রাস্তা টেকানো সম্ভব নয়।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ