ঢাকা ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ফেনীতে পুলিশ-ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬৯ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ফেনী প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ০৬:৪৫:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
  • / 126

ফেনী: পুলিশ-ছাত্রদলের সংঘর্ষের পর রাস্তায় ছড়িয়ে থাকা ইট-পাথর। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ


ফেনীতে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের ১৬৯ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। গতকাল (২০ নভেম্বর) রোববার বিকেলে সংঘর্ষের পর ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মোহাম্মদ মহসিন বাদী হয়ে ১৬৯ জনের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় মামলাটি করেন।

এই ব্যাপারে ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া নিহত হওয়ার প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের গ্রিন টাওয়ারের সামনে থেকে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইসলামপুর রোডে প্রবেশ করে। এ সময় পেছন থেকে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে দৌড়ে পালাতে গিয়ে ও গুলিতে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন আহত হন। পুলিশ ছাত্রদলের পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে যায়।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা উসকানিতে পেছন থেকে হামলা করে। এলোপাতাড়ি লাঠিপেটা করে এবং গুলি করে। এতে তাঁদের অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন। গ্রেপ্তারের ভয়ে তাঁদের চিকিৎসাও গোপনে নিতে হচ্ছে। পুলিশের মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দ্রুত মুক্তির দাবি করেন তিনি

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে সড়কে ভাঙচুর শুরু করেন। বাধা দিতে গেলে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

তিনি আরো বলেন, গতকালের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৬৯ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ফেনীতে পুলিশ-ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬৯ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত সময় ০৬:৪৫:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

ফেনীতে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের ১৬৯ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। গতকাল (২০ নভেম্বর) রোববার বিকেলে সংঘর্ষের পর ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মোহাম্মদ মহসিন বাদী হয়ে ১৬৯ জনের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় মামলাটি করেন।

এই ব্যাপারে ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া নিহত হওয়ার প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের গ্রিন টাওয়ারের সামনে থেকে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইসলামপুর রোডে প্রবেশ করে। এ সময় পেছন থেকে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে দৌড়ে পালাতে গিয়ে ও গুলিতে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন আহত হন। পুলিশ ছাত্রদলের পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে যায়।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা উসকানিতে পেছন থেকে হামলা করে। এলোপাতাড়ি লাঠিপেটা করে এবং গুলি করে। এতে তাঁদের অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন। গ্রেপ্তারের ভয়ে তাঁদের চিকিৎসাও গোপনে নিতে হচ্ছে। পুলিশের মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দ্রুত মুক্তির দাবি করেন তিনি

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে সড়কে ভাঙচুর শুরু করেন। বাধা দিতে গেলে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

তিনি আরো বলেন, গতকালের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৬৯ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।