ঢাকা ১২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

আটঘরিয়ার কৃষক আমিরুল বিষমুক্ত সাদা ডোপা বেগুন চাষে লাভবান 

আটঘরিয়া প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ০২:৫৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 123

ডোপা বেগুন হাতে কৃষক আমিরুল ইসলাম। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ


পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার ছাতিয়ানি গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম বিষমৃক্ত নিরাপদ পদ্ধতিতে সাদা ডোপা বেগুন চাষ করে লাভবান। তার দেখা দেখি এলাকার অনেকই এই পদ্ধতিতে কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়াই বেগুন চাষ করছেন অনেক কৃষক। কম খরচে বিষমুক্ত বেগুন উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

কৃষক আমিরুল আটঘরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ এর নিকট থেকে  দেড় বিঘা জমি পাঁচ বছর মেয়াদে লিজ নিয়ে আবাদ করেছেন উন্নত জাতের বেগুন। এর আগে তিনি বেগুনের খেতে ক্ষতিকর পোকা দমনের জন্য প্রতিদিন সকাল-বিকেল কীটনাশক স্প্রে করতেন। এখন তিনি কীটনাশক ছাড়াই পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ পদ্ধতিতে বেগুন আবাদ করছেন।

এ পদ্ধতিতে বেগুন খেতকে সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। বেগুন গাছের মরা ডগা ও পাতা তুলে তা খেতের বাইরে ফেলে দেয়া হয়। পাখির আক্রমণ ঠেকাতে জাল ও পোকা দমনে সেক্স ফেরামোন ফাঁদ ব্যবহার করা হচ্ছে।

বেগুন চাষি আমিরুল বলেন, আগে পোকার আক্রমণ ঠেকাতে প্রতিদিনই বেগুনখেতে কীটনাশক ছিটাতে হতো। এতে বেগুন বিক্রির টাকার বড় অংশই ব্যয় হতো। তবে কীটনাশক ছিটানোর পরও পোকার আক্রমণ থেকে পুরোপুরি নিস্তার মিলত না। পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী বেগুনখেতে পোকা মারার ফাঁদ সেক্স ফেরামোন পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করি।

বেগুনের খেত সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখি। এখন বেগুন খেতে পোকার আক্রমণ আর নেই বলেই চলে। এতে একদিকে যেমন বিষমুক্ত বেগুন ভালো দামে বিক্রি করতে পারছি, তেমনই কীটনাশক কেনার খরচ থেকেও মুক্তি পেয়েছি। 

সপ্তাহে ১০/১২ মন বেগুন ক্ষেত থেকে তোলা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে আমি ২৪ হাজার টাকা মন বেগুন বিক্রি করেছি। বর্তমানে আমি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার বেগুন বিক্রি  করছি। 

আমার এই চাষপদ্ধতি দেখে ওই এলাকার অনেক কৃষক এ পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করছেন। এ পদ্ধতিতে বেগুন চাষের খরচ আগের তুলনায় বিঘাপ্রতি কম লাগছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

তবে এই পদ্বতিতে বেগুনখেতে সেক্স ফেরামোন ফাঁদ ব্যবহার এবং পরিচ্ছন্ন পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করে আমরা লাভবান হচ্ছি। উৎপাদন খরচ অনেক কমে এসছে। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ আরো জনপ্রিয় করে তুলতে স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেয়াসহ নানাভাবে উৎসাহিত করছেন। 

পাশাপাশি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পুরো উপজেলায় নতুন এ পদ্ধতি ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম  জানান, সবজি খেতে পোকা দমনে যেসব কীটনাশক ব্যবহার হয় তা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ কারণে তারা কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করে বিষমুক্ত ও স্বাস্থ্যবান্ধব সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। 

আটঘরিয়া কৃষি অফিসার সজীব আল মারুফ বলেন,  এ বছর ১৭৬ হেক্টর জমিতে বেগুন আবাদ হয়েছে। বেশির ভাগ বেগুনখেতে সেক্স ফেরামোন পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

আটঘরিয়ার কৃষক আমিরুল বিষমুক্ত সাদা ডোপা বেগুন চাষে লাভবান 

প্রকাশিত সময় ০২:৫৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার ছাতিয়ানি গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম বিষমৃক্ত নিরাপদ পদ্ধতিতে সাদা ডোপা বেগুন চাষ করে লাভবান। তার দেখা দেখি এলাকার অনেকই এই পদ্ধতিতে কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়াই বেগুন চাষ করছেন অনেক কৃষক। কম খরচে বিষমুক্ত বেগুন উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

কৃষক আমিরুল আটঘরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ এর নিকট থেকে  দেড় বিঘা জমি পাঁচ বছর মেয়াদে লিজ নিয়ে আবাদ করেছেন উন্নত জাতের বেগুন। এর আগে তিনি বেগুনের খেতে ক্ষতিকর পোকা দমনের জন্য প্রতিদিন সকাল-বিকেল কীটনাশক স্প্রে করতেন। এখন তিনি কীটনাশক ছাড়াই পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ পদ্ধতিতে বেগুন আবাদ করছেন।

এ পদ্ধতিতে বেগুন খেতকে সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। বেগুন গাছের মরা ডগা ও পাতা তুলে তা খেতের বাইরে ফেলে দেয়া হয়। পাখির আক্রমণ ঠেকাতে জাল ও পোকা দমনে সেক্স ফেরামোন ফাঁদ ব্যবহার করা হচ্ছে।

বেগুন চাষি আমিরুল বলেন, আগে পোকার আক্রমণ ঠেকাতে প্রতিদিনই বেগুনখেতে কীটনাশক ছিটাতে হতো। এতে বেগুন বিক্রির টাকার বড় অংশই ব্যয় হতো। তবে কীটনাশক ছিটানোর পরও পোকার আক্রমণ থেকে পুরোপুরি নিস্তার মিলত না। পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী বেগুনখেতে পোকা মারার ফাঁদ সেক্স ফেরামোন পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করি।

বেগুনের খেত সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখি। এখন বেগুন খেতে পোকার আক্রমণ আর নেই বলেই চলে। এতে একদিকে যেমন বিষমুক্ত বেগুন ভালো দামে বিক্রি করতে পারছি, তেমনই কীটনাশক কেনার খরচ থেকেও মুক্তি পেয়েছি। 

সপ্তাহে ১০/১২ মন বেগুন ক্ষেত থেকে তোলা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে আমি ২৪ হাজার টাকা মন বেগুন বিক্রি করেছি। বর্তমানে আমি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার বেগুন বিক্রি  করছি। 

আমার এই চাষপদ্ধতি দেখে ওই এলাকার অনেক কৃষক এ পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করছেন। এ পদ্ধতিতে বেগুন চাষের খরচ আগের তুলনায় বিঘাপ্রতি কম লাগছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

তবে এই পদ্বতিতে বেগুনখেতে সেক্স ফেরামোন ফাঁদ ব্যবহার এবং পরিচ্ছন্ন পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করে আমরা লাভবান হচ্ছি। উৎপাদন খরচ অনেক কমে এসছে। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ আরো জনপ্রিয় করে তুলতে স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেয়াসহ নানাভাবে উৎসাহিত করছেন। 

পাশাপাশি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পুরো উপজেলায় নতুন এ পদ্ধতি ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম  জানান, সবজি খেতে পোকা দমনে যেসব কীটনাশক ব্যবহার হয় তা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ কারণে তারা কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করে বিষমুক্ত ও স্বাস্থ্যবান্ধব সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। 

আটঘরিয়া কৃষি অফিসার সজীব আল মারুফ বলেন,  এ বছর ১৭৬ হেক্টর জমিতে বেগুন আবাদ হয়েছে। বেশির ভাগ বেগুনখেতে সেক্স ফেরামোন পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে।