ঢাকা ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভাঙ্গুড়ায় অবৈধভাবে সড়কের পাশের সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০৬:৫৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / 137

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি ও সড়কের পাশের বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত ৮ থেকে ১০টি সরকারি গাছ অবৈধআবে কেটে নেওয়া হয়েছে।

বুধবার ১০ মে উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের কৈডাঙ্গা ওয়াবদা বাধ সংলগ্ন নিম, কড়ই ও বড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির সরকারি গাছগুলি অবৈধভাবে কাটা হয়েছে।

ভাঙ্গুড়া উপজেলার কৈডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মৃত তোরাপ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম ও তার প্রতিবেশী আবুল হোসেন মিলে বেতুয়ান গ্রামের গাছ ব্যবসায়ী আদম আলীর নিকট বিক্রয়য়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে সরকারি গাছগুলি গোপনে কেটে ফেলেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের মৃত তোরাপ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম কৈডাঙ্গা এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ৩ একর খাল লিজ নিয়ে মাছের চাষ করে আসছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই খালের পাশেই রয়েছে বাওজন রেললাইন থেকে বেতুয়ান সড়ক।

সড়কের উভয় পাশে দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধন ও বাঁধ রক্ষার জন্য সরকারিভাবে নানান প্রজাতির গাছা লাগানো হয়েছিল। কিন্তু ওই খাল লিজ গ্রহণকারি শহিদুল ইসলাম ও আবুল হোসেন সরকারি সম্পত্তির ২৫/৩০ বছর বয়সী নিম, কড়ই, বড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছগুলি মোটা অংকের টাকায় অবৈধভাবে বিক্রয় করেছে।

আর ক্রয়সূত্রে বেতুয়ান গ্রামের গাছ ব্যবসায়ী আদম আলী রাতের আধারে সরকারি গাছগুলি অবৈধভাবে কেটে ফেলেছে।

বুধবার বিকালে সরেজমিন ওই এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ঘটনার বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, সরকারি সম্পত্তি একজন ব্যক্তি কিভাবে বিক্রয় করতে পারেন?

এ ব্যাপারে সরকারি গাছ বিক্রয়কারী শহিদুল ইসলাম বলেন, তার মাছ চাষ করার সমস্যা হচ্ছিল তাই গাছগুলি বিক্রয় করেছেন। সরকারি সম্পত্তির গাছ বিক্রয় করতে পারেন কিনা ? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যা হবার তা হয়েছে এবং তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

ঘটনার বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তার গাছ কাটার বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। তাই তারা কোনো ব্যবস্থা নিলে তাদের সহায়তা দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, সরকারি রাস্তার গাছ কাটার সুযোগ নেই। গাছ কাটার বিষয়টি জেনে স্থানীয় বন কর্মকতাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সরকারি গাছ কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার ভাঙ্গুড়া পাউবি শাখা, ডেমরা পাউবি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আল আমিন হোসাইন বলেন, সরকারি গাছ কাটা অন্যায়। এ বিষয়ে লোক পাঠিয়ে অফিসিয়ালী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভাঙ্গুড়ায় অবৈধভাবে সড়কের পাশের সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

প্রকাশিত সময় ০৬:৫৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি ও সড়কের পাশের বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত ৮ থেকে ১০টি সরকারি গাছ অবৈধআবে কেটে নেওয়া হয়েছে।

বুধবার ১০ মে উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের কৈডাঙ্গা ওয়াবদা বাধ সংলগ্ন নিম, কড়ই ও বড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির সরকারি গাছগুলি অবৈধভাবে কাটা হয়েছে।

ভাঙ্গুড়া উপজেলার কৈডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মৃত তোরাপ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম ও তার প্রতিবেশী আবুল হোসেন মিলে বেতুয়ান গ্রামের গাছ ব্যবসায়ী আদম আলীর নিকট বিক্রয়য়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে সরকারি গাছগুলি গোপনে কেটে ফেলেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের মৃত তোরাপ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম কৈডাঙ্গা এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ৩ একর খাল লিজ নিয়ে মাছের চাষ করে আসছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই খালের পাশেই রয়েছে বাওজন রেললাইন থেকে বেতুয়ান সড়ক।

সড়কের উভয় পাশে দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধন ও বাঁধ রক্ষার জন্য সরকারিভাবে নানান প্রজাতির গাছা লাগানো হয়েছিল। কিন্তু ওই খাল লিজ গ্রহণকারি শহিদুল ইসলাম ও আবুল হোসেন সরকারি সম্পত্তির ২৫/৩০ বছর বয়সী নিম, কড়ই, বড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছগুলি মোটা অংকের টাকায় অবৈধভাবে বিক্রয় করেছে।

আর ক্রয়সূত্রে বেতুয়ান গ্রামের গাছ ব্যবসায়ী আদম আলী রাতের আধারে সরকারি গাছগুলি অবৈধভাবে কেটে ফেলেছে।

বুধবার বিকালে সরেজমিন ওই এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ঘটনার বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, সরকারি সম্পত্তি একজন ব্যক্তি কিভাবে বিক্রয় করতে পারেন?

এ ব্যাপারে সরকারি গাছ বিক্রয়কারী শহিদুল ইসলাম বলেন, তার মাছ চাষ করার সমস্যা হচ্ছিল তাই গাছগুলি বিক্রয় করেছেন। সরকারি সম্পত্তির গাছ বিক্রয় করতে পারেন কিনা ? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যা হবার তা হয়েছে এবং তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

ঘটনার বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তার গাছ কাটার বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। তাই তারা কোনো ব্যবস্থা নিলে তাদের সহায়তা দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, সরকারি রাস্তার গাছ কাটার সুযোগ নেই। গাছ কাটার বিষয়টি জেনে স্থানীয় বন কর্মকতাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সরকারি গাছ কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার ভাঙ্গুড়া পাউবি শাখা, ডেমরা পাউবি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আল আমিন হোসাইন বলেন, সরকারি গাছ কাটা অন্যায়। এ বিষয়ে লোক পাঠিয়ে অফিসিয়ালী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।