ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

হুমকির মুখে ৭০০ বিঘা জমির আমন আবাদ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:৫১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / 63

পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিল চলন ইউনিয়নের চরসেন গ্রামের বিলে এখন বর্ষার পানি। তার মাঝেই উঁকি দিচ্ছে সবুজ আমন ধান। এমন দৃশ্য চোখ জুড়ালেও এর পেছনে রয়েছে হাজারো কৃষকের কান্না।

কৃষকরা জানান, বিলের একপাশে দুটি ব্রিজের মুখ বাঁশ, বাঁশের তালাই, বাদাই জাল দিয়ে আটকিয়ে জোরপূর্বক সেখানে মাছ চাষ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বিলের একপাশের কিছু কৃষকের খাল লিজ নেয়ার নামে তারা পুরো বিলই দখলে নিয়ে মাছ চাষে নেমেছেন।

কৃষকদের অভিযোগ, ৭০০ বিঘা আয়তনের ওই বিলে সরকারি কোনো জলাশয় বা জলকর নেই। বিলচলন ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ আলী, আজমত আলী ও তাদের সহযোগীরা জোরপূর্বক অবৈধভাবে মাছ চাষ করছেন। কেউ কিছু বললে তাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনজন কৃষককে মারধর করেছে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী।

ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, ব্রিজের মুখ আটকিয়ে মাছ চাষ করায় কৃষকের অন্তত সাতশ’ বিঘা জমির আমন আবাদ ক্ষতির মুখে পড়েছে। নৌকা চলাচল করতে না পারায় ব্যাহত হচ্ছে পাট জাগ দেয়ার কাজ। বর্ষার শেষে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ার সাথে বিলম্বিত হবে রবি শস্য আবাদ। এমন পরিস্থিতিতে গত ১০ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষকরা। তাদের দাবি, দ্রুত বাঁশ জালের বাধা অপসারণ করার।


কৃষকদের মারধরে অভিযুক্ত আজমত আলী মারধরের বিষয় অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি। এমনি কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলাম বাড়ি থেকে। তবে তাদের মারধর করা হয়নি।


এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ আলী বলেন, আমরা কারো থেকে জোর করে জমি দখল করে নেইনি। আমরা অনেকের অনুমতি নিয়েই এই ৭০০ বিঘা জমিতে মাছ চাষ  করছি। এখানে যদি দশ বাপের দশ ছেলে উপকৃত হয় তাহলে দোষের কী। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে বিল চলন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, কারো জায়গা দখল করে কোনো কিছু করা হচ্ছে না। সবার অনুমতি নিয়েই এলাকার কিছু ছেলে জমিতে মাছ আবাদ করছে। আর মারধরের বিষয়টি মিথ্যা। আমার জানামতে কাউকে মারধর করা হয়নি।


এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিম বলেন, পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করা এবং কৃষকের জমি জোর করে দখলে নিয়ে মাছ চাষের সুযোগ নেই। কারা এসব করছে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

হুমকির মুখে ৭০০ বিঘা জমির আমন আবাদ

প্রকাশিত সময় ০১:৫১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিল চলন ইউনিয়নের চরসেন গ্রামের বিলে এখন বর্ষার পানি। তার মাঝেই উঁকি দিচ্ছে সবুজ আমন ধান। এমন দৃশ্য চোখ জুড়ালেও এর পেছনে রয়েছে হাজারো কৃষকের কান্না।

কৃষকরা জানান, বিলের একপাশে দুটি ব্রিজের মুখ বাঁশ, বাঁশের তালাই, বাদাই জাল দিয়ে আটকিয়ে জোরপূর্বক সেখানে মাছ চাষ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বিলের একপাশের কিছু কৃষকের খাল লিজ নেয়ার নামে তারা পুরো বিলই দখলে নিয়ে মাছ চাষে নেমেছেন।

কৃষকদের অভিযোগ, ৭০০ বিঘা আয়তনের ওই বিলে সরকারি কোনো জলাশয় বা জলকর নেই। বিলচলন ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ আলী, আজমত আলী ও তাদের সহযোগীরা জোরপূর্বক অবৈধভাবে মাছ চাষ করছেন। কেউ কিছু বললে তাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনজন কৃষককে মারধর করেছে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী।

ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, ব্রিজের মুখ আটকিয়ে মাছ চাষ করায় কৃষকের অন্তত সাতশ’ বিঘা জমির আমন আবাদ ক্ষতির মুখে পড়েছে। নৌকা চলাচল করতে না পারায় ব্যাহত হচ্ছে পাট জাগ দেয়ার কাজ। বর্ষার শেষে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ার সাথে বিলম্বিত হবে রবি শস্য আবাদ। এমন পরিস্থিতিতে গত ১০ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষকরা। তাদের দাবি, দ্রুত বাঁশ জালের বাধা অপসারণ করার।


কৃষকদের মারধরে অভিযুক্ত আজমত আলী মারধরের বিষয় অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি। এমনি কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলাম বাড়ি থেকে। তবে তাদের মারধর করা হয়নি।


এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ আলী বলেন, আমরা কারো থেকে জোর করে জমি দখল করে নেইনি। আমরা অনেকের অনুমতি নিয়েই এই ৭০০ বিঘা জমিতে মাছ চাষ  করছি। এখানে যদি দশ বাপের দশ ছেলে উপকৃত হয় তাহলে দোষের কী। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে বিল চলন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, কারো জায়গা দখল করে কোনো কিছু করা হচ্ছে না। সবার অনুমতি নিয়েই এলাকার কিছু ছেলে জমিতে মাছ আবাদ করছে। আর মারধরের বিষয়টি মিথ্যা। আমার জানামতে কাউকে মারধর করা হয়নি।


এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিম বলেন, পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করা এবং কৃষকের জমি জোর করে দখলে নিয়ে মাছ চাষের সুযোগ নেই। কারা এসব করছে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।