ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার বেড়ায় লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ

বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০১:৩৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
  • / 35



পাবনার বেড়ায় পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয় করা হচ্ছে। প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ না থাকাতে জনজীবন অতিষ্ঠ উঠেছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসা ও কৃষি কাজ।

বেড়ায় ২৪ ঘন্টায় ৪ থেকে ৫ বার লোডশেডিং ১ থেকে ২ ঘন্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। ফলে দিন-রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছে না গ্রাহকরা।

উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কাশিনাথপুর বেড়া জোনাল অফিসের আওতায় প্রায় ৬৫ হাজার গ্রাহক আছে। বাঘাবাড়ি সাব স্টেশন ও আমাইকোলা সাব স্টেশন থেকে এসকল গ্রাহকদের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিন থেকে বেড়া উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে প্রচন্ড তাপদাহ, ভেপসা গরম আবার সেই সাথে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের হাজার হাজার গ্রাহক। আর ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম, চালকলে চাল উৎপাদন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। এছাড়া কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে বিশ্রাম বা শান্তি মত ঘুমাতেও পাড়ছে না মানুষ। এ লোডশেডিংয়ে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ্য ব্যক্তি এবং হাসপাতালে ভর্তিরত ব্যক্তিদের কষ্ট সবচেয়ে বেশি।

পল্লী বিদ্যুতের বেশ কয়েকজন গ্রাহকরা বলছেন, গ্রামা লে একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আসার কোন সময় থাকে না। এক-দেড় ঘন্টা পর আসলেও কিছু সময় পর আবার লোডশেডিং করা হচ্ছে।

গ্রামের গ্রাহকরা বলেছেন, দিনের বেলা লোডশেডিং কম হলেও রাতে ঘন ঘন লোডশেডিং করা হয়। ফলে চড়ম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গভীর নলকূপের অপারেটর ও অগভীর নলকূপের মালিকরা জানান, বর্তমানে ইরি-রোবো মৌসুম চলছে। ধানের জমিতে পানি সেচ দিতে হচ্ছে। দিন-রাতে ঘন ঘন পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমত বিদ্যুৎ না পাওয়ায় সময় মত জমিতে পানি সেচ দিতে পারছি না। ফলে ফলন নিয়ে কৃষকরা দুচ্ছিন্তায় আছি।

এ ব্যাপারে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কাশিনাথপুরের বেড়া জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম সাইফুল আহমেদ বলেন, আমাদের উপজেলা পিক আওয়ারে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তু আমাদেরকে চাহিদার তুলনা গ্রিড থেকে ৮ থেকে ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। যার কারনে প্রয়োজনের থেকে ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকছে। ফলে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

পাবনার বেড়ায় লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ

প্রকাশিত সময় ০১:৩৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪



পাবনার বেড়ায় পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয় করা হচ্ছে। প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ না থাকাতে জনজীবন অতিষ্ঠ উঠেছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসা ও কৃষি কাজ।

বেড়ায় ২৪ ঘন্টায় ৪ থেকে ৫ বার লোডশেডিং ১ থেকে ২ ঘন্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। ফলে দিন-রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছে না গ্রাহকরা।

উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কাশিনাথপুর বেড়া জোনাল অফিসের আওতায় প্রায় ৬৫ হাজার গ্রাহক আছে। বাঘাবাড়ি সাব স্টেশন ও আমাইকোলা সাব স্টেশন থেকে এসকল গ্রাহকদের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিন থেকে বেড়া উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে প্রচন্ড তাপদাহ, ভেপসা গরম আবার সেই সাথে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের হাজার হাজার গ্রাহক। আর ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম, চালকলে চাল উৎপাদন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। এছাড়া কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে বিশ্রাম বা শান্তি মত ঘুমাতেও পাড়ছে না মানুষ। এ লোডশেডিংয়ে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ্য ব্যক্তি এবং হাসপাতালে ভর্তিরত ব্যক্তিদের কষ্ট সবচেয়ে বেশি।

পল্লী বিদ্যুতের বেশ কয়েকজন গ্রাহকরা বলছেন, গ্রামা লে একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আসার কোন সময় থাকে না। এক-দেড় ঘন্টা পর আসলেও কিছু সময় পর আবার লোডশেডিং করা হচ্ছে।

গ্রামের গ্রাহকরা বলেছেন, দিনের বেলা লোডশেডিং কম হলেও রাতে ঘন ঘন লোডশেডিং করা হয়। ফলে চড়ম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গভীর নলকূপের অপারেটর ও অগভীর নলকূপের মালিকরা জানান, বর্তমানে ইরি-রোবো মৌসুম চলছে। ধানের জমিতে পানি সেচ দিতে হচ্ছে। দিন-রাতে ঘন ঘন পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমত বিদ্যুৎ না পাওয়ায় সময় মত জমিতে পানি সেচ দিতে পারছি না। ফলে ফলন নিয়ে কৃষকরা দুচ্ছিন্তায় আছি।

এ ব্যাপারে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কাশিনাথপুরের বেড়া জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম সাইফুল আহমেদ বলেন, আমাদের উপজেলা পিক আওয়ারে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তু আমাদেরকে চাহিদার তুলনা গ্রিড থেকে ৮ থেকে ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। যার কারনে প্রয়োজনের থেকে ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকছে। ফলে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।