ঢাকা ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

হিমোফিলিয়া রোগকে জাতীয়ভাবে চিহ্নিত করার দাবিতে ঈশ্বরদীতে সচেতনামুলক কর্মসূচি পালন

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০১:৩৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / 120



দুরারোগ্য রোগ হিমোফিলিয়া সম্পর্কে সচেতনা বৃদ্ধিতে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস উপলক্ষ্যে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো ঈশ্বরদীতে কর্মসুচি পালন করা হয়েছে।

বুধবার ১৭ এপ্রিল সকালে হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ পাবনার উদ্যোগে ও ডাব্লুএফএইচ সহযোগিতায় ঈশ্বরদীর বাজারের ১ নং গেটে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসুচিতে এই রোগ সম্পর্কে সচেতনা বৃদ্ধির পাশাপাশি সকল রক্তক্ষরণজনিত রোগকে জাতীয়ভাবে চিহ্নিত করা এবং সকলের জন্য সমান অধিকার ভিত্তিক চিকিৎসার দাবি করা হয়।

হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ রাজশাহী বিভাগীয় স্বেচ্ছাসেবি প্রধান মোঃ মেহেদী হাসানের দিক নির্দেশনায় পালিত কর্মসুচিতে হিমোফিলিয়া রোগিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ রানা হোসেন, মোঃ সজিব মন্ডল, মোঃ আহমেদ, মোঃ সৌরভ হোসেন প্রমুখ। কর্মসুচিতে একাত্বতা ঘোষণা করে অংশ গ্রহন করেন সাংবাদিক মোঃ লাবলু বিশ্বাস, সৌরভ কুমার দেবনাথ, মোঃ ইয়াসিন শেখ, মুশফিকুর রহমান মিশন, মোঃ ইউসুফ হোসেন, নারী সাংবাদিক মুনমুন আক্তার, পল্লি চিকিৎসক মাসুম আহমেদ প্রমুখ।

সমাবেশে রোগিরা বলেন, হিমোফিলিয়া এক ধরণের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা যা সাধারণত পুরুষদের হয়ে থাকে। যা মহিলাদের মাধ্যমে বংশানুক্রমে বিস্তার লাভ করে। বিশ্বে প্রতি ১০ হাজার জনে একজন এ রোগ নিয়ে জন্মগ্রহন করে। হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই দেশে ৩ হাজার ৪০০ জনকে এই রোগে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করতে পেরেছে। তবে বাংলাদেশে এ রোগের আনুমানিক সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার হতে পারে।

তারা আরও বলেন, হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত হলে রোগীদের শরীরের কোন অংশ কেটে গেলে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় না। দাঁতে রক্তক্ষরণ ও হাত-পায়ের জয়েন্ট ফুলে যায়। ফলে রোগিরা অস্থিসন্ধিতে রক্তক্ষরণে সময়মতো চিকিৎসা না করানো হলে আক্রান্ত স্থান ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে রোগি পঙ্গুত্ব বরণ করতে পারে।

মস্তিষ্কে এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে সময়মতো চিকিৎসা গ্রহন না করলে রোগির মৃত্যু হতে পারে। এই কারণে হিমোফিলিয়া রোগিদের যেকোন ধরণের অস্ত্রোপাচারের আগে অবশ্যই হেমাটোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

হিমোফিলিয়া রোগকে জাতীয়ভাবে চিহ্নিত করার দাবিতে ঈশ্বরদীতে সচেতনামুলক কর্মসূচি পালন

প্রকাশিত সময় ০১:৩৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪



দুরারোগ্য রোগ হিমোফিলিয়া সম্পর্কে সচেতনা বৃদ্ধিতে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস উপলক্ষ্যে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো ঈশ্বরদীতে কর্মসুচি পালন করা হয়েছে।

বুধবার ১৭ এপ্রিল সকালে হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ পাবনার উদ্যোগে ও ডাব্লুএফএইচ সহযোগিতায় ঈশ্বরদীর বাজারের ১ নং গেটে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসুচিতে এই রোগ সম্পর্কে সচেতনা বৃদ্ধির পাশাপাশি সকল রক্তক্ষরণজনিত রোগকে জাতীয়ভাবে চিহ্নিত করা এবং সকলের জন্য সমান অধিকার ভিত্তিক চিকিৎসার দাবি করা হয়।

হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ রাজশাহী বিভাগীয় স্বেচ্ছাসেবি প্রধান মোঃ মেহেদী হাসানের দিক নির্দেশনায় পালিত কর্মসুচিতে হিমোফিলিয়া রোগিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ রানা হোসেন, মোঃ সজিব মন্ডল, মোঃ আহমেদ, মোঃ সৌরভ হোসেন প্রমুখ। কর্মসুচিতে একাত্বতা ঘোষণা করে অংশ গ্রহন করেন সাংবাদিক মোঃ লাবলু বিশ্বাস, সৌরভ কুমার দেবনাথ, মোঃ ইয়াসিন শেখ, মুশফিকুর রহমান মিশন, মোঃ ইউসুফ হোসেন, নারী সাংবাদিক মুনমুন আক্তার, পল্লি চিকিৎসক মাসুম আহমেদ প্রমুখ।

সমাবেশে রোগিরা বলেন, হিমোফিলিয়া এক ধরণের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা যা সাধারণত পুরুষদের হয়ে থাকে। যা মহিলাদের মাধ্যমে বংশানুক্রমে বিস্তার লাভ করে। বিশ্বে প্রতি ১০ হাজার জনে একজন এ রোগ নিয়ে জন্মগ্রহন করে। হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই দেশে ৩ হাজার ৪০০ জনকে এই রোগে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করতে পেরেছে। তবে বাংলাদেশে এ রোগের আনুমানিক সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার হতে পারে।

তারা আরও বলেন, হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত হলে রোগীদের শরীরের কোন অংশ কেটে গেলে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় না। দাঁতে রক্তক্ষরণ ও হাত-পায়ের জয়েন্ট ফুলে যায়। ফলে রোগিরা অস্থিসন্ধিতে রক্তক্ষরণে সময়মতো চিকিৎসা না করানো হলে আক্রান্ত স্থান ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে রোগি পঙ্গুত্ব বরণ করতে পারে।

মস্তিষ্কে এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে সময়মতো চিকিৎসা গ্রহন না করলে রোগির মৃত্যু হতে পারে। এই কারণে হিমোফিলিয়া রোগিদের যেকোন ধরণের অস্ত্রোপাচারের আগে অবশ্যই হেমাটোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।