স্মরণঃ মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, পাবনার বরেণ্য ব্যবসায়ী, পাবনা পাবনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, পাবনা ডায়বেটিক সমিতি, পাবনা রাইফেলস ক্লাব, পাবনা লায়ন্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ আফজাল হোসেন খোকার আজ (১১ ফেব্রুয়ারী) ৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে পাবনা চেম্বারসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী মরহুম আফজাল হোসেন খোকা ১৯৪১ সালের ৬ মার্চ পাবনা জেলায় জন্মগ্রহন করেন এবং ১৯৮৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী মৃত্যু বরণ করেন।

তিনি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন। ১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে পাবনা সার্কিট হাউসে বেঠক করেন। বৈঠকে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধস্ত পাবনার ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে আফজাল হোসেন খোকাকে নির্দেশ দেন।

পরবর্তিতে ১৯৭৩ সালে পাবনা পাবনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি, পাবনা ডায়বেটিক সমিতি, পাবনা রাইফেলস ক্লাব, পাবনা লায়ন্স ক্লাব প্রতিষ্ঠাতা করেন। তিনি এ সব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সাল থেকে আমৃত্যু পাবনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি পাবনার ব্যবসায়ীদের সংগঠিত করে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দাবী আদায়ে অগ্রনী ভুমিকা ও রাখেন। তার প্রচেষ্টায় পাবনায় আমদানী রফতানী অফিস, তাঁত বোর্ডসহ কয়েকটি গুরুত্বপুর্ন অফিস স্থাপিত হয়।

এ ছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে তিনি ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সঙ্গে কাজ করেন। তার আপন ছোট ভাই ফজলুল হক মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।

পরবর্তিকালে শহরের মুজাহিদ ক্লাব এলাকায় তার নামে ‘শহীদ ফজলুল হক পৌর উচ্চ বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পাবনা সদরের বর্তমান এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্স পিতা মরহুম আবু তালেব খন্দকার পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। ঐ সময় আফজাল হোসেন খোকা জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।

আফজাল হোসেন খোকার বড় ছেলে জাহিদ হোসেন জামিম পাবনা চেম্বারের পরিচালক এবং জাহিদ ইঞ্জিনিয়ারিং এর চেয়ারম্যান। ছোট ছেলে ইফতেখার হোসেন তানভীর জাহিদ ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ ছাড়া অপর ছেলে জোবায়ের হোসেন রাসেল অকালে মৃত্যুবরণ করেন। আফজাল হোসেন খোকার স্ত্রী জালাল্লানজেব আফজাল। একমাত্র মেয়ে রুবিনা আক্তার মিলি বিাহিত এবং ঢাকায় থাকেন। বরেণ্য এই ব্যবসায়ীর মৃত্যু দিবসে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিল এবং পাবনা চেম্বারসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

এবিএম ফজলুর রহমান
পাবনা।