ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সিলেটে এখন পানির জন্য হাহাকার

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১০:৩৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০
  • / 79

সিলেট প্রতিনিধিঃ গ্রিডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎহীন সিলেট নগরী। এ অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। বাসা-বাড়িতে দেখা দিয়েছে তীব্র পানির সংকট। পানির জন্য মানুষের মধ্যে হাহাকার চলছে।

অনেকে বাসা-বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। পানির দোকানগুলোতে মানুষের দীর্ঘ লাইন। পানির সন্ধানে মানুষ ছুটছেন হন্তদন্ত হয়ে।

সুবিদবাজার পয়েন্টের মিতালি কমপ্লেক্সের সামনে স্থানীয় একটি পরিবার মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা জেনারেটরের মাধ্যমে পানি তুলে মানুষের মাঝে পানি সরবরাহ করছেন।

গত রাতেও তারা ১ হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে পানি সরবরাহ করছে। নগরের প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লাতেই এখন পানির জন্য হাহাকার চলছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হাওলদারপাড়া, শিবগঞ্জ, রায়নগর, কুমারপাড়া, ঝরনারপাড়, শেখঘাট, চালিবন্দর, লামাবাজার, নগরের বাগবাড়ি, মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা, কালীবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা পানির অভাবে গৃহস্থালি কাজ থেকে শুরু করে গোসল ও নিত্য ক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন না। এসব এলাকায় সুপেয় পানিরও অভাব দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘টানা বিদ্যুৎ না থাকায় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিদ্যুতের অভাবে কোনো পানি সরবরাহ করা যায়নি। আমরা মানুষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে নগরীতে মাইকিং করছি।’

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন দুপুরে জানান, নগরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার চেষ্টা করছি।

প্রায় ৪ শতাধিক কর্মী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র সংস্কারে কাজ করছেন। দ্রুততার সঙ্গে সব এলাকাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।

গতকাল বেলা পৌনে ১১টার দিকে সিলেটের আখালিয়ার কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার দুই ঘণ্টা পর পৌনে একটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও নগরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।

সিলেটে এখন পানির জন্য হাহাকার

প্রকাশিত সময় ১০:৩৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০

সিলেট প্রতিনিধিঃ গ্রিডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎহীন সিলেট নগরী। এ অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। বাসা-বাড়িতে দেখা দিয়েছে তীব্র পানির সংকট। পানির জন্য মানুষের মধ্যে হাহাকার চলছে।

অনেকে বাসা-বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। পানির দোকানগুলোতে মানুষের দীর্ঘ লাইন। পানির সন্ধানে মানুষ ছুটছেন হন্তদন্ত হয়ে।

সুবিদবাজার পয়েন্টের মিতালি কমপ্লেক্সের সামনে স্থানীয় একটি পরিবার মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা জেনারেটরের মাধ্যমে পানি তুলে মানুষের মাঝে পানি সরবরাহ করছেন।

গত রাতেও তারা ১ হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে পানি সরবরাহ করছে। নগরের প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লাতেই এখন পানির জন্য হাহাকার চলছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হাওলদারপাড়া, শিবগঞ্জ, রায়নগর, কুমারপাড়া, ঝরনারপাড়, শেখঘাট, চালিবন্দর, লামাবাজার, নগরের বাগবাড়ি, মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা, কালীবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা পানির অভাবে গৃহস্থালি কাজ থেকে শুরু করে গোসল ও নিত্য ক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন না। এসব এলাকায় সুপেয় পানিরও অভাব দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘টানা বিদ্যুৎ না থাকায় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিদ্যুতের অভাবে কোনো পানি সরবরাহ করা যায়নি। আমরা মানুষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে নগরীতে মাইকিং করছি।’

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন দুপুরে জানান, নগরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার চেষ্টা করছি।

প্রায় ৪ শতাধিক কর্মী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র সংস্কারে কাজ করছেন। দ্রুততার সঙ্গে সব এলাকাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।

গতকাল বেলা পৌনে ১১টার দিকে সিলেটের আখালিয়ার কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার দুই ঘণ্টা পর পৌনে একটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও নগরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।