ঢাকা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

রাশিয়ার তেল আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাধা নেই’: জ্বালানি উপদেষ্টা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৬:১৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
  • / 103
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম)

স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:১৯ অপরাহ্ন, আগষ্ট ৩১, ২০২২


রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করতে গেলে যুক্তরাষ্ট্র আপত্তি করবে না বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম)।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে আায়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করে এসেছেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ফার্নান্দেজের সঙ্গে আলাপে তার ওই ‘উপলব্ধি’ হয়েছে।

তৌফিক ই ইলাহী বলেন, খাদ্যপণ্য, সার ও জ্বালানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি। তাই রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করলে ওয়াশিংটনের আপত্তি থাকার কথা নয়। কাজেই আমি তার কথা ধরে বলছি, বাংলাদেশের আমদানির ক্ষেত্রে আপত্তি থাকবে না।

তিনি বলেন, ‌এ ক্ষেত্রে কিছু কূটনৈতিক শিষ্টাচার (ডিপলোমেটিক নরমস) থাকে। কিন্তু সরলভাবে আমি যেটা বুঝি, একজন মন্ত্রী পর্যায়ে যখন এটা বলা হলো, তার একটি গুরুত্ব রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বলেও জানান উপদেষ্টা। ওই প্রশংসার সূত্র ধরেই তিনি রাশিয়া থেকে তেল আমদানির সুযোগ আছে কিনা জানতে চান।

উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্জনকে একটা উদাহারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন তিনি। আমি বললাম- উন্নয়নশীল দেশের উদাহরণ যদি হয়, তাহলে তো আমাদেরকে আপনাদের সমর্থন দেওয়া দরকার। আমাদের জ্বালানির দাম বেড়ে আকাশচুম্বি হয়ে গেছে। এটা কেনার ক্ষমতা আমাদের নেই।

তখন কথায় কথায় ফার্নান্দেজ বললেন, ফার্টিলাইজার, ফুড ও তেলের ওপর কোনো স্যাংশনন নেই। আমি তখন সরাসরি প্রশ্ন করলাম, তাহলে আমরা কি অন্য জায়গা (রাশিয়া) থেকে ডিজেল আনতে পারব? কিন্তু তিনি কোনো উত্তর দিলেন না। হ্যাঁও বললেন না, নাও বললেন না। আমি সাধারণ মানুষ। আমি এটাকে হ্যাঁ ধরে নিয়েছি। এখন ডিপ্লোম্যাটরা বিস্তারিত বলতে পারবেন।

গত সপ্তাহে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক থেকে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে। তখন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি সম্ভব নয়।

সরকারের ওই বৈঠকের এক সপ্তাহ না পেরোতেই জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা এমন কথা বললেন।

সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি সচিব মাহবুব হোসেন জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের জ্বালানি রিজার্ভের ক্যাপাসিটি ৪৫ দিনের। টার্গেট ৬০ দিনের। এ নিয়ে কাজ চলছে। আর বাংলাদেশের তেলের রিফাইনারি ক্যাপাসিটি ১৫ লাখ মেট্রিকটন, এটা ৩০ লাখ মেট্রিকটনে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


রাশিয়ার তেল আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাধা নেই’: জ্বালানি উপদেষ্টা

প্রকাশিত সময় ০৬:১৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম)

স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:১৯ অপরাহ্ন, আগষ্ট ৩১, ২০২২


রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করতে গেলে যুক্তরাষ্ট্র আপত্তি করবে না বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম)।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে আায়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করে এসেছেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ফার্নান্দেজের সঙ্গে আলাপে তার ওই ‘উপলব্ধি’ হয়েছে।

তৌফিক ই ইলাহী বলেন, খাদ্যপণ্য, সার ও জ্বালানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি। তাই রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করলে ওয়াশিংটনের আপত্তি থাকার কথা নয়। কাজেই আমি তার কথা ধরে বলছি, বাংলাদেশের আমদানির ক্ষেত্রে আপত্তি থাকবে না।

তিনি বলেন, ‌এ ক্ষেত্রে কিছু কূটনৈতিক শিষ্টাচার (ডিপলোমেটিক নরমস) থাকে। কিন্তু সরলভাবে আমি যেটা বুঝি, একজন মন্ত্রী পর্যায়ে যখন এটা বলা হলো, তার একটি গুরুত্ব রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বলেও জানান উপদেষ্টা। ওই প্রশংসার সূত্র ধরেই তিনি রাশিয়া থেকে তেল আমদানির সুযোগ আছে কিনা জানতে চান।

উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্জনকে একটা উদাহারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন তিনি। আমি বললাম- উন্নয়নশীল দেশের উদাহরণ যদি হয়, তাহলে তো আমাদেরকে আপনাদের সমর্থন দেওয়া দরকার। আমাদের জ্বালানির দাম বেড়ে আকাশচুম্বি হয়ে গেছে। এটা কেনার ক্ষমতা আমাদের নেই।

তখন কথায় কথায় ফার্নান্দেজ বললেন, ফার্টিলাইজার, ফুড ও তেলের ওপর কোনো স্যাংশনন নেই। আমি তখন সরাসরি প্রশ্ন করলাম, তাহলে আমরা কি অন্য জায়গা (রাশিয়া) থেকে ডিজেল আনতে পারব? কিন্তু তিনি কোনো উত্তর দিলেন না। হ্যাঁও বললেন না, নাও বললেন না। আমি সাধারণ মানুষ। আমি এটাকে হ্যাঁ ধরে নিয়েছি। এখন ডিপ্লোম্যাটরা বিস্তারিত বলতে পারবেন।

গত সপ্তাহে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক থেকে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে। তখন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি সম্ভব নয়।

সরকারের ওই বৈঠকের এক সপ্তাহ না পেরোতেই জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা এমন কথা বললেন।

সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি সচিব মাহবুব হোসেন জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের জ্বালানি রিজার্ভের ক্যাপাসিটি ৪৫ দিনের। টার্গেট ৬০ দিনের। এ নিয়ে কাজ চলছে। আর বাংলাদেশের তেলের রিফাইনারি ক্যাপাসিটি ১৫ লাখ মেট্রিকটন, এটা ৩০ লাখ মেট্রিকটনে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ