ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

হিলির মোরব্বা কারখানায় শতাধিক নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৪:৪১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
  • / 121

মিষ্টিতে ভরপুর ও গ্রামবাংলার সুস্বাদু মোরব্বা তৈরি হচ্ছে দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হিলিতে। এসব মোরব্বা চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায়। চাহিদা মেটাচ্ছে মুখরোচক খাবারের।

চিনির দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হলেও বাপ-দাদার ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছেন এসব কারখানার মালিকরা। হিলিতে এমন মোরব্বা তৈরির কারখানা আছে ৫-৭টি। যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে এসব কারখানা। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে শতাধিক নারী-পুরুষের। ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে এসব শ্রমিকের।


মোরব্বা তৈরির মূল উপাদান চালকুমড়া ও চিনি। প্রতিদিন বিভিন্ন হাটবাজার ও জমি থেকে চালকুমড়া সংগ্রহ করেন কারখানার শ্রমিকরা। এরপর সেই কুমড়া কেটে এবং ভালোভাবে পরিষ্কার করে সাদা পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। তারপর মোরব্বা তৈরির উপযোগী চালকুমড়া চিনি এবং বিভিন্ন মসলার সংমিশ্রণে তৈরি রসে চুবিয়ে আগুনে উত্তপ্ত করা হয় আরও ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা। এভাবেই তৈরি হচ্ছে গ্রামবাংলার অতি পরিচিত এই মোরব্বা।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে হিলি পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি মোরব্বা তৈরির কারখানা ঘুরে দেখা যায়, সেখানে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা। কেউ চালকুমড়া পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করছে। কেউবা পরিষ্কার করা এসব কুমড়া কাটতে ব্যস্ত। কারখানার মূল কারিগররা ব্যস্ত মোরব্বা তৈরির উপকরণ তৈরি এবং তা আগুনে গরম করতে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে কাজ করেন শ্রমিকরা।

এসব কারখানায় তৈরি করা মোরব্বা পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে। খোলা দোকানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে।


কারখানার শ্রমিক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমি অনেক দিন থেকে মোরব্বা তৈরির সঙ্গে জড়িত। দিন হিসেবে মজুরি পাই। তা দিয়েই আমার সংসার চলছে। আগের চেয়ে অনেক ভালো আছি এখন।’


আরেক শ্রমিক শান্তি রানী বলেন, ‘আমার স্বামী বন্দরে শ্রমিকের কাজ করছে। আমিও বাড়িতে বসে না থেকে মোরব্বা কারখানায় কাজ করছি। প্রতিমাসে এখান থেকে আমি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা বেতন পাই।’

মোরব্বা কারখানার মালিক প্রতাব সাহা বলেন, ‘আমার বাবা এই পেশায় জড়িত ছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর আমি ব্যবসার হাল ধরেছি। এ দিয়ে আমার সংসার বেশ ভালোই চলছে। আমার কারখানায় কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয় যুবসমাজের।’


আরেক মালিক খরুম ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় তৈরি মোরব্বার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী আমরা তৈরি করতে পারি না। কারণ, বর্তমানে চিনিসহ মসলার যে দাম, তাতে পুষিয়ে ওঠা কষ্টকর। তবুও আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।’

এই রকম আরও টপিক

হিলির মোরব্বা কারখানায় শতাধিক নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান

প্রকাশিত সময় ০৪:৪১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

মিষ্টিতে ভরপুর ও গ্রামবাংলার সুস্বাদু মোরব্বা তৈরি হচ্ছে দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হিলিতে। এসব মোরব্বা চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায়। চাহিদা মেটাচ্ছে মুখরোচক খাবারের।

চিনির দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হলেও বাপ-দাদার ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছেন এসব কারখানার মালিকরা। হিলিতে এমন মোরব্বা তৈরির কারখানা আছে ৫-৭টি। যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে এসব কারখানা। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে শতাধিক নারী-পুরুষের। ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে এসব শ্রমিকের।


মোরব্বা তৈরির মূল উপাদান চালকুমড়া ও চিনি। প্রতিদিন বিভিন্ন হাটবাজার ও জমি থেকে চালকুমড়া সংগ্রহ করেন কারখানার শ্রমিকরা। এরপর সেই কুমড়া কেটে এবং ভালোভাবে পরিষ্কার করে সাদা পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। তারপর মোরব্বা তৈরির উপযোগী চালকুমড়া চিনি এবং বিভিন্ন মসলার সংমিশ্রণে তৈরি রসে চুবিয়ে আগুনে উত্তপ্ত করা হয় আরও ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা। এভাবেই তৈরি হচ্ছে গ্রামবাংলার অতি পরিচিত এই মোরব্বা।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে হিলি পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি মোরব্বা তৈরির কারখানা ঘুরে দেখা যায়, সেখানে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা। কেউ চালকুমড়া পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করছে। কেউবা পরিষ্কার করা এসব কুমড়া কাটতে ব্যস্ত। কারখানার মূল কারিগররা ব্যস্ত মোরব্বা তৈরির উপকরণ তৈরি এবং তা আগুনে গরম করতে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে কাজ করেন শ্রমিকরা।

এসব কারখানায় তৈরি করা মোরব্বা পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে। খোলা দোকানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে।


কারখানার শ্রমিক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমি অনেক দিন থেকে মোরব্বা তৈরির সঙ্গে জড়িত। দিন হিসেবে মজুরি পাই। তা দিয়েই আমার সংসার চলছে। আগের চেয়ে অনেক ভালো আছি এখন।’


আরেক শ্রমিক শান্তি রানী বলেন, ‘আমার স্বামী বন্দরে শ্রমিকের কাজ করছে। আমিও বাড়িতে বসে না থেকে মোরব্বা কারখানায় কাজ করছি। প্রতিমাসে এখান থেকে আমি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা বেতন পাই।’

মোরব্বা কারখানার মালিক প্রতাব সাহা বলেন, ‘আমার বাবা এই পেশায় জড়িত ছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর আমি ব্যবসার হাল ধরেছি। এ দিয়ে আমার সংসার বেশ ভালোই চলছে। আমার কারখানায় কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয় যুবসমাজের।’


আরেক মালিক খরুম ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় তৈরি মোরব্বার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী আমরা তৈরি করতে পারি না। কারণ, বর্তমানে চিনিসহ মসলার যে দাম, তাতে পুষিয়ে ওঠা কষ্টকর। তবুও আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।’