ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঢাকায় ঝাঁজ বাড়ছে পেঁয়াজের, ‘কলকাঠি’ নাড়ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৪:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
  • / 117

রাজধানীর বাজারে ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম। প্রতিকেজিতে ক্রেতাদের বাড়তি ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে। এদিকে শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বাড়ার পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

লঙ্কাকাণ্ড বাধানো কাঁচা মরিচের দাম ঠিক না হতেই আবারও পেঁয়াজের দামের ঝাঁজ বেড়েছে। চোখের জল-নাকের জল এক করে যারা পেঁয়াজ কিনতে আসছেন, তাদের বাড়তি দরেই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে।

বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি দেশি পাবনা জাতের পেঁয়াজ ৮০ টাকা, পাবনা কিং ৭৫ টাকা থেকে ৭৬ টাকা, ফরিদপুর ৭০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা থেকে ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের বাড়তি দামে নাভিশ্বাস এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সব পণ্যের দামই এক-দুদিনের ব্যবধানে বাড়ছে। সরকার যদি যথাযথভাবে মনিটরিং করে, তাহলে আশা করি বাজার স্থিতিশীল হবে।

এদিকে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব বলছে, গত বছর এই দিনে যে মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে, বর্তমানে এর দাম বেড়েছে ৭৬ শতাংশেরও বেশি। এ ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৬ শতাংশেও বেশি।

পেঁয়াজের এমন অতিরিক্ত দাম বাড়ার পেছনে খুচরা ও পাইকারি বাজারে সরবরাহ সংকটকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা। এক পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, ‘মোকামেও পেঁয়াজের দাম বেশি। আমার পেঁয়াজ লাগবে ৫০ বস্তা, কিন্তু সরবরাহ পাচ্ছি মাত্র ১৫ বস্তা। বাজারে পাবনার পেঁয়াজের সরবরাহ কম।’

আরেক বিক্রেতা বলেন, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজি কিনেছি ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে আর বিক্রি করছি ৪৬ টাকা দরে। গতকালের তুলনায় দাম আজ ৩ থেকে ৪ টাকা বেশি।

সরবরাহ সংকটের কারণ জানতে রাজধানীতে পেঁয়াজের খুচরা বাজার নিয়ন্ত্রণকারী শ্যামবাজারে সরেজমিন জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়ায় ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতিটনে বেড়েছে ৬০ ডলার। এরই প্রভাব পড়েছে দেশি পেঁয়াজের বাজারে।

এ বিষয়ে এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, বন্যা ও বৃষ্টির কারণে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। আগে যেখানে ১ টন পেঁয়াজের দাম ছিল ১৮০ ডলার, সেখানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা ২৪০ ডলারে উঠে গেছে।

ভারতের পেঁয়াজের বাজারের ওপর দেশের পেঁয়াজের বাজার নির্ভরশীল উল্লেখ করে আরেক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, ভারতে প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম ১/২ টাকা করে বাড়ছে। এখন মূলত দেশের পেঁয়াজের বাজার ভারতের ওপর নির্ভর করছে। যদি ভারতের বাজারে দাম বাড়তে থাকে, তাহলে এখানেও দাম বাড়তে থাকবে।

শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি প্রক্রিয়াধীন থাকা পেঁয়াজে আরও ২ থেকে ৩ সপ্তাহে তেমন সমস্যা না হলেও ভারত কলকাঠি নাড়লেই অস্থিরতা বাড়বে ঢাকায়।

এই রকম আরও টপিক

ঢাকায় ঝাঁজ বাড়ছে পেঁয়াজের, ‘কলকাঠি’ নাড়ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত সময় ০৪:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

রাজধানীর বাজারে ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম। প্রতিকেজিতে ক্রেতাদের বাড়তি ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে। এদিকে শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বাড়ার পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

লঙ্কাকাণ্ড বাধানো কাঁচা মরিচের দাম ঠিক না হতেই আবারও পেঁয়াজের দামের ঝাঁজ বেড়েছে। চোখের জল-নাকের জল এক করে যারা পেঁয়াজ কিনতে আসছেন, তাদের বাড়তি দরেই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে।

বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি দেশি পাবনা জাতের পেঁয়াজ ৮০ টাকা, পাবনা কিং ৭৫ টাকা থেকে ৭৬ টাকা, ফরিদপুর ৭০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা থেকে ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের বাড়তি দামে নাভিশ্বাস এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সব পণ্যের দামই এক-দুদিনের ব্যবধানে বাড়ছে। সরকার যদি যথাযথভাবে মনিটরিং করে, তাহলে আশা করি বাজার স্থিতিশীল হবে।

এদিকে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব বলছে, গত বছর এই দিনে যে মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে, বর্তমানে এর দাম বেড়েছে ৭৬ শতাংশেরও বেশি। এ ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৬ শতাংশেও বেশি।

পেঁয়াজের এমন অতিরিক্ত দাম বাড়ার পেছনে খুচরা ও পাইকারি বাজারে সরবরাহ সংকটকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা। এক পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, ‘মোকামেও পেঁয়াজের দাম বেশি। আমার পেঁয়াজ লাগবে ৫০ বস্তা, কিন্তু সরবরাহ পাচ্ছি মাত্র ১৫ বস্তা। বাজারে পাবনার পেঁয়াজের সরবরাহ কম।’

আরেক বিক্রেতা বলেন, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজি কিনেছি ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে আর বিক্রি করছি ৪৬ টাকা দরে। গতকালের তুলনায় দাম আজ ৩ থেকে ৪ টাকা বেশি।

সরবরাহ সংকটের কারণ জানতে রাজধানীতে পেঁয়াজের খুচরা বাজার নিয়ন্ত্রণকারী শ্যামবাজারে সরেজমিন জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়ায় ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতিটনে বেড়েছে ৬০ ডলার। এরই প্রভাব পড়েছে দেশি পেঁয়াজের বাজারে।

এ বিষয়ে এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, বন্যা ও বৃষ্টির কারণে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। আগে যেখানে ১ টন পেঁয়াজের দাম ছিল ১৮০ ডলার, সেখানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা ২৪০ ডলারে উঠে গেছে।

ভারতের পেঁয়াজের বাজারের ওপর দেশের পেঁয়াজের বাজার নির্ভরশীল উল্লেখ করে আরেক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, ভারতে প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম ১/২ টাকা করে বাড়ছে। এখন মূলত দেশের পেঁয়াজের বাজার ভারতের ওপর নির্ভর করছে। যদি ভারতের বাজারে দাম বাড়তে থাকে, তাহলে এখানেও দাম বাড়তে থাকবে।

শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি প্রক্রিয়াধীন থাকা পেঁয়াজে আরও ২ থেকে ৩ সপ্তাহে তেমন সমস্যা না হলেও ভারত কলকাঠি নাড়লেই অস্থিরতা বাড়বে ঢাকায়।