ঢাকা ০৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

জিতেও হেরে যাচ্ছেন মোদী!

মেহেদী হাসান মিশন
  • প্রকাশিত সময় ১০:১১:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
  • / 77



এবারের ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ফল গণনাও প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু ফলাফল প্রায় সব প্রকাশিত হলেও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না কে হতে যাচ্ছেন ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভারতের মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৯৬ কোটি ৯০ লাখ। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায় ভোট দিয়েছেন ৫৯.৫% ভোটার। প্রায় ৭৭ দিন ব্যাপী ৭ টি ধাপে এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৬ মার্চ নির্বাচন কমিশন লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণা দেন। এরপর প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু হয় ১৯ এপ্রিল এবং ১ জুন সপ্তম ধাপে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। ৪ জুন ফল গণনা শুরু হয়।

মূলত ভারতের রাজনৈতিক দল গুলো দুটি জোটে জোটবদ্ধ হয়ে এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। জোটের বাহিরেও অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। জোট দুটি হলো ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স(এনডিএ) এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ এলায়েন্স (আইএনডিআইএ/ইন্ডিয়া)।

এখন প্রর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী এনডিএ জোট জিতেছেন ২৯০ টি আসনে, ইন্ডিয়া জোট জিতেছেন ২৩৩ টি আসনে এবং অন্যান্যরা জিতেছেন ১৭ টি আসনে। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী ২৭২ টি আসন পেলে কোন দল সরকার গঠন করতে পারবে। সে হিসেবে এনডিএ জোট সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। তবে এই ফলাফলের পরে ভারতের সরকার গঠন কিন্তু সৃষ্টি হয়েছে। সে বিষয়ে পরে আলোচনা করছি। তার আগে ভারতের আসন সংখ্যা নিয়ে একটু ধারণা নেওয়া যাক।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মোট আসন সংখ্যা ৫৪৩টি। ভারতের ২৮টি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত ৮ অঞ্চল মিলে মোট ৫৪৩টি আসন। রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের আসন একইরকম নয় একেক অঞ্চলে আসন সংখ্যা একেক রকম।

রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের আসন সংখ্যা নিম্নরূপঃ
উত্তর প্রদেশ ৮০ টি, মহারাষ্ট্র ৪৮ টি, পশ্চিমবঙ্গ ৪২ টি, বিহার ৪০ টি, তামিল নাড়ু ৩৯ টি, মধ্যপ্রদেশ ২৯ টি, কর্নাটক ২৮ টি, গুজরাট ২৬ টি, অন্ধ্রাপ্রদেশ এবং রাজস্থানে ২৫ টি করে, ওড়িশা ২১টি, কেরালা ২০ টি, তেলেঙ্গানা ১৭ টি, ঝাড়খন্ড এবং আসামে ১৪ টি করে, পাঞ্জাব ১৩ টি, ছত্রিশগড় ১১ টি, হরিয়ানা ১০ টি, উত্তরখন্ড ৫ টি, হিমাচল প্রদেশ ৪ টি, অরুনাচল প্রদেশ, গোয়া, মনিপুর, মেঘালয়া এবং ত্রিপুরা রাজ্যে ২ টি করে, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিমে ১ টি করে আসন।

কেন্দ্র শাসিত দিল্লি ৭টি, জম্মু এন্ড কাশ্মীর ৫ টি, দাদরা এন্ড নগর হাভেলি এন্ড দামান এন্ড ডিআইইউ ২ টি, আন্দামান এন্ড নিকারাগুয়া, চন্ডিগড়, লাক্ষ্মাদীপ, পুন্ডেচেরী, লাদাখে ১ টি করে আসন।

এখন আসি কেন নরেদ্র মোদি সরকার গঠনে কিন্তুর সৃষ্টি হলো। যদিও দেখা যাচ্ছে এনডিএ জোট সংখ্যা গরিষ্ঠ আসন লাভ করেছে। যেখানে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ২৭২ টি আসনের সেখানে এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯৩ টি আসন। তাহলেতো কিন্তু থাকার কথা না। তব কিন্তুর কথা আসছে কেন?

আসছে কারন বিজেপি একক ভাবে জিতেছে ২৪০টি আসনে যা সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ঠ নয়। আর বিজেপির প্রত্যাশা ছিল তারা এবার এককভাবেই সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করবে। সেকারনে জোটের সাথে থাকলেও শরীকদের তেমন মূল্যায়ন করেনি বিজেপি। ফলে একটা অসন্তোষ আছে জোটের মধ্যে।

ইন্ডিয়া জোট তৈরিই করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জনতা দল (জেডি) এর প্রধাণ নিতিশ কুমার। নির্বাচনের আগে নিতিশ কুমার এনডিএ জোটে যোগ দেন। এখন সরকার গঠনের জন্য ইন্ডিয়া জোট তাকে এনডিএ ছেড়ে ইন্ডিয়া জোটে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছে। এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষা চলছে। বলে রাখি নিতিশ কুমারের জনতা দল ১২ টি আসনে জয় লাভ করেছে। আর ইন্ডিয়ার রাজনীতিতে নিতিশ কুমার পল্টিবাজ রাজনেতা হিসেবে পরিচিত। পাল্লা যেদিকে ভারী সুবিধা যেদিকে বেশি থাকে তিনিও সেদিকেই থাকেন।

বিজেপির আরেক শরিক দল তেলেগু দেসাম পার্টি (টিডিপি) এর প্রধাণ নারা চন্দ্রাবাবু নাইডু। তিনিও বিজেপি ছেড়ে ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। ইন্ডিয়া জোট থেকে নাকি তাকেও আহবান করা হয়েছে। টিডিপি আগে ইন্ডিয়া জোটের সাথেই ছিল। নাইডু সাহেবের নামে বিজেপি সরকার দুর্নীতির মামলা দেয় এবং জেলও খাটতে হয়। পরে তিনি বিজেপির এনডিএ জোটে যোগ দেন।

ভারতের রাজনৈতিক মহলে বিজেপির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আছে যে, তারা টাকা দিয়ে হোক অথবা জেল জুলুম অত্যাচার করে হোক যেভাবেই পারে সেভাবেই বিরোধীদের দমন করে। বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে এমন। বিরোধী দলের অনেক নেতা হয় টাকার জন্য অথবা মামলা ও জেল-জুলুমের ভয়ে বিজেপিতে অথবা এনডিএ জোটে যোগদান করেছে। মিস্টার নাইডু ও তার দলও এর ব্যতিক্রম নয় বলেই মনে করেন ভারতের রাজনৈতি বোদ্ধারা।

এখন যে বিজেপি সরকার মিস্টার নাইডুর নামে মামলা দিয়ে জেল খাটালো সেই নাইডুকে ইন্ডিয়া জোট যদি পুনরায় ডাকে তাহলে কি করবেন তিনি। অনেকেই ধারনয়া করছেন তিনি এনডিএ জোট ছেড়ে চলে আসতে পারেন ইন্ডিয়া জোটে। উল্লেখ্য নাইডুর টিডিপি ১৬ টি আসনে জয় লাভ করেছে।

এখন ইন্ডিয়া জোট ২৩৩ টি আসনে জয় লাভ করেছে। অন্যান্যরা জিতেছে ১৭ টি আসনে। এদিকে টিডিপি ও জেডি যদি ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেয় তাহলে ইন্ডিয়া জোটের মোট আসন বেড়ে দাড়ায় ২৭৮টি। অপরদিকে বিজেপির আসন কমে দাড়ায় ২৬৫ টি।

অনেকেই মনে করছেন যেহেতু বিজেপি এককভাবে সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করতে পারেনি, তাই আগামী কয়েক দিন সরকার গঠনের জন্য এনডিএ জোট যেমন তার শরীকদের ধরে রাখতে চাইবে, অপরদিকে ইন্ডিয়া জোটও সরকার গঠনের অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করবেন।

এই রকম আরও টপিক

জিতেও হেরে যাচ্ছেন মোদী!

প্রকাশিত সময় ১০:১১:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪



এবারের ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ফল গণনাও প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু ফলাফল প্রায় সব প্রকাশিত হলেও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না কে হতে যাচ্ছেন ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভারতের মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৯৬ কোটি ৯০ লাখ। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায় ভোট দিয়েছেন ৫৯.৫% ভোটার। প্রায় ৭৭ দিন ব্যাপী ৭ টি ধাপে এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৬ মার্চ নির্বাচন কমিশন লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণা দেন। এরপর প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু হয় ১৯ এপ্রিল এবং ১ জুন সপ্তম ধাপে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। ৪ জুন ফল গণনা শুরু হয়।

মূলত ভারতের রাজনৈতিক দল গুলো দুটি জোটে জোটবদ্ধ হয়ে এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। জোটের বাহিরেও অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। জোট দুটি হলো ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স(এনডিএ) এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ এলায়েন্স (আইএনডিআইএ/ইন্ডিয়া)।

এখন প্রর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী এনডিএ জোট জিতেছেন ২৯০ টি আসনে, ইন্ডিয়া জোট জিতেছেন ২৩৩ টি আসনে এবং অন্যান্যরা জিতেছেন ১৭ টি আসনে। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী ২৭২ টি আসন পেলে কোন দল সরকার গঠন করতে পারবে। সে হিসেবে এনডিএ জোট সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। তবে এই ফলাফলের পরে ভারতের সরকার গঠন কিন্তু সৃষ্টি হয়েছে। সে বিষয়ে পরে আলোচনা করছি। তার আগে ভারতের আসন সংখ্যা নিয়ে একটু ধারণা নেওয়া যাক।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মোট আসন সংখ্যা ৫৪৩টি। ভারতের ২৮টি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত ৮ অঞ্চল মিলে মোট ৫৪৩টি আসন। রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের আসন একইরকম নয় একেক অঞ্চলে আসন সংখ্যা একেক রকম।

রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের আসন সংখ্যা নিম্নরূপঃ
উত্তর প্রদেশ ৮০ টি, মহারাষ্ট্র ৪৮ টি, পশ্চিমবঙ্গ ৪২ টি, বিহার ৪০ টি, তামিল নাড়ু ৩৯ টি, মধ্যপ্রদেশ ২৯ টি, কর্নাটক ২৮ টি, গুজরাট ২৬ টি, অন্ধ্রাপ্রদেশ এবং রাজস্থানে ২৫ টি করে, ওড়িশা ২১টি, কেরালা ২০ টি, তেলেঙ্গানা ১৭ টি, ঝাড়খন্ড এবং আসামে ১৪ টি করে, পাঞ্জাব ১৩ টি, ছত্রিশগড় ১১ টি, হরিয়ানা ১০ টি, উত্তরখন্ড ৫ টি, হিমাচল প্রদেশ ৪ টি, অরুনাচল প্রদেশ, গোয়া, মনিপুর, মেঘালয়া এবং ত্রিপুরা রাজ্যে ২ টি করে, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিমে ১ টি করে আসন।

কেন্দ্র শাসিত দিল্লি ৭টি, জম্মু এন্ড কাশ্মীর ৫ টি, দাদরা এন্ড নগর হাভেলি এন্ড দামান এন্ড ডিআইইউ ২ টি, আন্দামান এন্ড নিকারাগুয়া, চন্ডিগড়, লাক্ষ্মাদীপ, পুন্ডেচেরী, লাদাখে ১ টি করে আসন।

এখন আসি কেন নরেদ্র মোদি সরকার গঠনে কিন্তুর সৃষ্টি হলো। যদিও দেখা যাচ্ছে এনডিএ জোট সংখ্যা গরিষ্ঠ আসন লাভ করেছে। যেখানে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ২৭২ টি আসনের সেখানে এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯৩ টি আসন। তাহলেতো কিন্তু থাকার কথা না। তব কিন্তুর কথা আসছে কেন?

আসছে কারন বিজেপি একক ভাবে জিতেছে ২৪০টি আসনে যা সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ঠ নয়। আর বিজেপির প্রত্যাশা ছিল তারা এবার এককভাবেই সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করবে। সেকারনে জোটের সাথে থাকলেও শরীকদের তেমন মূল্যায়ন করেনি বিজেপি। ফলে একটা অসন্তোষ আছে জোটের মধ্যে।

ইন্ডিয়া জোট তৈরিই করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জনতা দল (জেডি) এর প্রধাণ নিতিশ কুমার। নির্বাচনের আগে নিতিশ কুমার এনডিএ জোটে যোগ দেন। এখন সরকার গঠনের জন্য ইন্ডিয়া জোট তাকে এনডিএ ছেড়ে ইন্ডিয়া জোটে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছে। এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষা চলছে। বলে রাখি নিতিশ কুমারের জনতা দল ১২ টি আসনে জয় লাভ করেছে। আর ইন্ডিয়ার রাজনীতিতে নিতিশ কুমার পল্টিবাজ রাজনেতা হিসেবে পরিচিত। পাল্লা যেদিকে ভারী সুবিধা যেদিকে বেশি থাকে তিনিও সেদিকেই থাকেন।

বিজেপির আরেক শরিক দল তেলেগু দেসাম পার্টি (টিডিপি) এর প্রধাণ নারা চন্দ্রাবাবু নাইডু। তিনিও বিজেপি ছেড়ে ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। ইন্ডিয়া জোট থেকে নাকি তাকেও আহবান করা হয়েছে। টিডিপি আগে ইন্ডিয়া জোটের সাথেই ছিল। নাইডু সাহেবের নামে বিজেপি সরকার দুর্নীতির মামলা দেয় এবং জেলও খাটতে হয়। পরে তিনি বিজেপির এনডিএ জোটে যোগ দেন।

ভারতের রাজনৈতিক মহলে বিজেপির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আছে যে, তারা টাকা দিয়ে হোক অথবা জেল জুলুম অত্যাচার করে হোক যেভাবেই পারে সেভাবেই বিরোধীদের দমন করে। বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে এমন। বিরোধী দলের অনেক নেতা হয় টাকার জন্য অথবা মামলা ও জেল-জুলুমের ভয়ে বিজেপিতে অথবা এনডিএ জোটে যোগদান করেছে। মিস্টার নাইডু ও তার দলও এর ব্যতিক্রম নয় বলেই মনে করেন ভারতের রাজনৈতি বোদ্ধারা।

এখন যে বিজেপি সরকার মিস্টার নাইডুর নামে মামলা দিয়ে জেল খাটালো সেই নাইডুকে ইন্ডিয়া জোট যদি পুনরায় ডাকে তাহলে কি করবেন তিনি। অনেকেই ধারনয়া করছেন তিনি এনডিএ জোট ছেড়ে চলে আসতে পারেন ইন্ডিয়া জোটে। উল্লেখ্য নাইডুর টিডিপি ১৬ টি আসনে জয় লাভ করেছে।

এখন ইন্ডিয়া জোট ২৩৩ টি আসনে জয় লাভ করেছে। অন্যান্যরা জিতেছে ১৭ টি আসনে। এদিকে টিডিপি ও জেডি যদি ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেয় তাহলে ইন্ডিয়া জোটের মোট আসন বেড়ে দাড়ায় ২৭৮টি। অপরদিকে বিজেপির আসন কমে দাড়ায় ২৬৫ টি।

অনেকেই মনে করছেন যেহেতু বিজেপি এককভাবে সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করতে পারেনি, তাই আগামী কয়েক দিন সরকার গঠনের জন্য এনডিএ জোট যেমন তার শরীকদের ধরে রাখতে চাইবে, অপরদিকে ইন্ডিয়া জোটও সরকার গঠনের অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করবেন।