ঈশ্বরদীতে সাবেক দুই ছাত্রদল নেতার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সমাবেশ বয়কট

- প্রকাশিত সময় ০৩:২১:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
- / 124
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে আলোচনা সভা ও কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এই সমাবেশকে কেন্দ্র করেই উপজেলাব্যাপী বিতর্ক ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কারন ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক দুই নেতা উক্ত আলোচনা সভা ও কর্মী সমাবেশ বয়কট করেন এবং প্রতিবাদ মিছিল করে সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন।
সাবেক ঐ দুই ছাত্রদল নেতা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরুল কায়েস সুমন ও ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি (২০১৭) তানভীর হাসান সুমন।
সাবেক এই দুই ছাত্র নেতা প্রশ্ন তোলেন, জুবায়ের হোসেন বাপ্পী কোন রাজনৈতিক প্রটোকলের ভিত্তিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় প্রোগ্রামের ব্যানারে তার নাম স্থান পেল।
এবিষয় বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপির নেতাকর্মীরা সমালোচনা করে বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭৫ সালে এদিন সিপাহী জনতার বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। এই দিনটি বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য অত্যন্ত গৌরব ও আবেগের দিন। দিবসটি উপলক্ষে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে আলোচনা সভা ও কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ব্যানারে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, সদ্য পাবনা-৪ আসনের মনোনয়ন প্রাপ্ত ও পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, সদ্য পাবনা-৫ আসনের মনোনয়ন প্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম তুহিনসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের নাম ছিল। কিন্তু ব্যানারে বিএনপির বর্তমান সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও অনেক সাবেক নেতৃবৃন্দের নাম না দিয়ে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন ও একজন বিতর্কিত ব্যক্তি জুবায়ের হোসেন বাপ্পীর নাম বিশেষ অতিথি হিসেবে ব্যানারে থাকায় তারা ব্যথিত হয়েছেন বলে জানান।
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সুমন বলেন, গতকাল (৬ নভেম্বর) একটি ফেসবুক পোস্টে প্রোগ্রামের একটি ব্যানার দেখতে পাই, আমরা তখনি জুবায়ের হোসেন বাপ্পীকে বিশেষ অতিথি করে ব্যানারে নাম রাখার বিষয়ে হাবিবুর রহমান হাবিব ভাই ও শরিফুল ইসলাম তুহিন ভাইয়ের কাছে আপত্তি জানাই। কিন্তু আজ প্রোগ্রামে গিয়ে দেখি ঈশ্বরদী বিএনপির ঐক্য বিনষ্টকারী জুবায়ের হোসেন বাপ্পীর নাম বহাল রাখা হয়েছে এবং সে বিশেষ অতিথির আসনে উপবিষ্ট। তাৎক্ষণিক আমরা আমরা প্রতিবান জানালে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সুলভ মালিথা জানায় বাপ্পী বিশেষ অতিথি হিসেবেই থাকবেন। ফলে আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে উক্ত সমাবেশ বয়কট করি।
তিনি আরো বলেন, জুবায়ের হোসেন বাপ্পী আওয়ামীলীগ আমলে পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন। হাবিব ভাই মনোনয়ন পাওয়ার পর জাকারিয়া পিন্টু ভাই তাকে শুভেচ্ছা বার্তা দেন ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা দেন। কিন্তু এই বাপ্পি সংবাদ সম্মেলন করে বিভেদ সৃষ্টি করেন। আমরা মনেকরি সে বিএনপির ঐক্য বিনষ্টের জন্য ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করছে।
তিনি আরও জানান, এখন ফেসবুকে দেখছি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে সেখানে অশ্লীল গানবাজনা হচ্ছে। এই দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের ও সন্মানের। এদিনে এমন কর্মকান্ডের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও পৌর বিএনপির সাবে সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরুল কায়েস সুমন বলেন, আমরা বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি কিন্তু বাপ্পিকে কখনোই দেখি নাই। সে তুহিন ভাইয়ের মামলার বিষয়ে ভূমিকা পালন করেছে। সেজন্য তুহিন ভাই তাকে ব্যক্তিগতভাবে সন্মানিত করতে পারেন। কিন্তু দলীয় প্রটকল ভেঙে তাকে উচ্চাসনে বসানোর কারনে আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে সমাবেশ বয়কট করেছি।
এবিষয়ে উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম তুহিনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।









