ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

চাটমোহরে শ্রমিকদল সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির বিক্ষোভ

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০৪:৪১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • / 13



পাবনার চাটমোহর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোন্তাজ আহমেদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি ও জলাশয় দখলসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের একাংশ।

রবিবার ৯ নভেম্বর সন্ধ্যার পরে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের রেলবাজার এলাকায় এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, শ্রমিক দলের সভাপতি পরিচয় ব্যবহার করে মোন্তাজ আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, এলাকায় সালিশের নামে অর্থ আদায়, জমি ও জলাশয় দখল, থানায় দালালি এবং নিজ দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করে বলেন।

বক্তারা আরও বলেন, বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর থেকে মূলগ্রাম ইউনিয়নসহ উপজেলা বিএনপি সংগঠন কার্যক্রমে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, তার অপকর্মে ক্ষুব্ধ হয়ে অনেক নেতাকর্মী দলীয় কর্মসূচি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। দ্রুত দলীয় শৃঙ্খলার স্বার্থে মোন্তাজের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তাঁরা। সমাবেশ থেকে মূলগ্রাম ইউনিয়নে তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়।

মূলগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাব্বত মল্লিক বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে মোন্তাজ বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদা আদায় ও ভুক্তভোগীদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। অমৃত কুণ্ডা হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়, রেলবাজার এলাকায় শ্রমিকদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হয়। শ্রমিকরা আপত্তি জানালে তাদের ঘরবাড়িতে হামলা করা—এসব অভিযোগ এলাকাবাসীর মুখে মুখে। এসব কারণে অনেকেই দল থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। অনেক বিএনপি কর্মী এদের ওপর অভিমান করে জামায়াতে যোগ দিচ্ছেন।

অভিযোগের বিষয়ে শ্রমিকদল সভাপতি মুনতাজ আহমেদ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং কিছু ব্যক্তি অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন ট্রাক ও যানবাহন থেকে টাকা নিচ্ছিল। বিষয়টি জানার পর আমি তাদের নিষেধ করেছি। এ কারণে তারাই ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের ইজারা নেওয়া হাটের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করছি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের একটি মহল পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

চাটমোহরে শ্রমিকদল সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির বিক্ষোভ

প্রকাশিত সময় ০৪:৪১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫



পাবনার চাটমোহর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোন্তাজ আহমেদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি ও জলাশয় দখলসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের একাংশ।

রবিবার ৯ নভেম্বর সন্ধ্যার পরে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের রেলবাজার এলাকায় এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, শ্রমিক দলের সভাপতি পরিচয় ব্যবহার করে মোন্তাজ আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, এলাকায় সালিশের নামে অর্থ আদায়, জমি ও জলাশয় দখল, থানায় দালালি এবং নিজ দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করে বলেন।

বক্তারা আরও বলেন, বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর থেকে মূলগ্রাম ইউনিয়নসহ উপজেলা বিএনপি সংগঠন কার্যক্রমে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, তার অপকর্মে ক্ষুব্ধ হয়ে অনেক নেতাকর্মী দলীয় কর্মসূচি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। দ্রুত দলীয় শৃঙ্খলার স্বার্থে মোন্তাজের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তাঁরা। সমাবেশ থেকে মূলগ্রাম ইউনিয়নে তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়।

মূলগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাব্বত মল্লিক বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে মোন্তাজ বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদা আদায় ও ভুক্তভোগীদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। অমৃত কুণ্ডা হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়, রেলবাজার এলাকায় শ্রমিকদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হয়। শ্রমিকরা আপত্তি জানালে তাদের ঘরবাড়িতে হামলা করা—এসব অভিযোগ এলাকাবাসীর মুখে মুখে। এসব কারণে অনেকেই দল থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। অনেক বিএনপি কর্মী এদের ওপর অভিমান করে জামায়াতে যোগ দিচ্ছেন।

অভিযোগের বিষয়ে শ্রমিকদল সভাপতি মুনতাজ আহমেদ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং কিছু ব্যক্তি অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন ট্রাক ও যানবাহন থেকে টাকা নিচ্ছিল। বিষয়টি জানার পর আমি তাদের নিষেধ করেছি। এ কারণে তারাই ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের ইজারা নেওয়া হাটের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করছি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের একটি মহল পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।