ঢাকা ১১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদীতে জামায়াতের প্রার্থীর প্রচারণায় হামলা ও গুলিবর্ষণ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ১১:৪০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / 1



বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলাম পাবনা জেলা শাখার আমির ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া আসনে জামায়াত প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল সংবাদ সম্মেলনে দাবী করে বলেছেন- “ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া আসনে জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষানীত হয়ে বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকরা সুপরিকল্পিতভাবে তাঁর পক্ষে প্রচারনাকারী কর্মীদের উপর দফায় দফায় হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে তিনিসহ জামায়াতের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন।”

বৃহস্পতিবার ২৭ নভেম্বর ঈশ্বরদীর ভেলুপাড়াস্থ নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আবু তালেব মন্ডল এই দাবী করেন।

এর আগে বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি জগির মোড়ে জামায়াতের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা চালায় বিএনপি প্রার্থী হাবিব সমর্থকরা। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৬০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- আমান, সাজেদুল, ময়দুল ইসলাম, হেদায়েত আলী মোল্লা, মাহফুজুর রহমান, ইয়ারুল ইসলাম, সঞ্জুসহ আরো অনেকে। তাদের পাবনা ও ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধেরা হলেন- ময়দুল, সিরাজুল, ইয়ারুল ও শাকিল তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদীর চড়গড়গড়ি এলাকায় গত দুইদিন আগে স্থানীয় জামায়াতের কর্মীদের মারধর করেন কৃষকদলের স্থানীয় বিএনপি নেতা মক্কেল মৃধা ও তার লোকজন। সেই ঘটনার পর আজ ওই এলাকায় প্রচারণা চালাতে যান পাবনা-৪ আসনের জামায়াতের প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল ও তার সমর্থকরা। তারা চরগড়গড়ি আলহাজ্ব মোড়ে পৌঁছালে মক্কেল মৃধার ছেলের নেতৃত্বে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। পরে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ফেরার পথে মৃধাপাড়ায় আবারও তাদের উপর হামলা চালায় মক্কেল মৃধার লোকজন। হামলাকারীরা প্রার্থী আবু তালেব মন্ডলের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তালেব মন্ডলকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়, তবে তিনি সামান্য আহত হন।

এরপরপরই দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ মারাক্তক আকার ধারণ করে। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা মক্কেল মৃধা আহত হলে বিএনপির লোকজন জামায়াত ইসলামের সমর্থকদের অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল ভাংচুর, ৫-৭টি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে জামায়াতকর্মীদের অন্তত ১৫-২০টি মোটর সাইকেল নিয়ে যায় মক্কেল মৃধার লোকজন।

জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেন, আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির আওতায় আজকে সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থক বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমাদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে। আমার গাড়িসহ আমাদের শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। অন্তত ৬০-৭০ জন আহত হয়েছেন।

এবিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.স.ম আব্দুন নুর বলেন, জামায়াত ও বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে। পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এবিষযয়ে পাবনা-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, জামায়াত একটি মিথ্যাবাদী ও ষড়যন্ত্রকারী দল। তারা ঐ এলাকায় গিয়েছিল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে। তারা সেখানে অস্ত্রসহ গিয়ে গোলযোগ শুরু করে। পরে জনরোষের শিকার হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর আগেও জামায়াত আমার নামে মিথ্যাচার করেছে এবং সেগুলো ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এবারো তাদের মিথ্যাচার প্রকাশ্যে আসবে এবং ভুল প্রমাণিত হবে।

এ ঘটনায় জামায়াত-ই-ইসলামের আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলেন- “পাবনার ইশ্বরদীতে আজ যা ঘটে গেল তা হঠাৎ করে হয়নি। বিএনপির দলীয় প্রার্থীর অসহিষ্ণু, অগণতান্ত্রিক ও উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ড বারবার প্রমাণ করছে— এটি ব্যালটের যুদ্ধ নয়; বরং বুলেট দিয়ে তিনি তার সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চান। প্রশাসন যে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে আসছে, জনগণ দেখতে চায় প্রশাসন কী করে। তবে সকল সন্ত্রাসীর ব্যাপারে আমাদের বার্তা হলো— জামায়াত কোনো সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করবে না। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে লড়াই আমাদের আরও জোরদার হবে। সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। ইনশাআল্লাহ আমরা থামব না।”

ঈশ্বরদীতে জামায়াতের প্রার্থীর প্রচারণায় হামলা ও গুলিবর্ষণ

প্রকাশিত সময় ১১:৪০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫



বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলাম পাবনা জেলা শাখার আমির ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া আসনে জামায়াত প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল সংবাদ সম্মেলনে দাবী করে বলেছেন- “ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া আসনে জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষানীত হয়ে বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকরা সুপরিকল্পিতভাবে তাঁর পক্ষে প্রচারনাকারী কর্মীদের উপর দফায় দফায় হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে তিনিসহ জামায়াতের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন।”

বৃহস্পতিবার ২৭ নভেম্বর ঈশ্বরদীর ভেলুপাড়াস্থ নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আবু তালেব মন্ডল এই দাবী করেন।

এর আগে বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি জগির মোড়ে জামায়াতের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা চালায় বিএনপি প্রার্থী হাবিব সমর্থকরা। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৬০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- আমান, সাজেদুল, ময়দুল ইসলাম, হেদায়েত আলী মোল্লা, মাহফুজুর রহমান, ইয়ারুল ইসলাম, সঞ্জুসহ আরো অনেকে। তাদের পাবনা ও ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধেরা হলেন- ময়দুল, সিরাজুল, ইয়ারুল ও শাকিল তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদীর চড়গড়গড়ি এলাকায় গত দুইদিন আগে স্থানীয় জামায়াতের কর্মীদের মারধর করেন কৃষকদলের স্থানীয় বিএনপি নেতা মক্কেল মৃধা ও তার লোকজন। সেই ঘটনার পর আজ ওই এলাকায় প্রচারণা চালাতে যান পাবনা-৪ আসনের জামায়াতের প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল ও তার সমর্থকরা। তারা চরগড়গড়ি আলহাজ্ব মোড়ে পৌঁছালে মক্কেল মৃধার ছেলের নেতৃত্বে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। পরে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ফেরার পথে মৃধাপাড়ায় আবারও তাদের উপর হামলা চালায় মক্কেল মৃধার লোকজন। হামলাকারীরা প্রার্থী আবু তালেব মন্ডলের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তালেব মন্ডলকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়, তবে তিনি সামান্য আহত হন।

এরপরপরই দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ মারাক্তক আকার ধারণ করে। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা মক্কেল মৃধা আহত হলে বিএনপির লোকজন জামায়াত ইসলামের সমর্থকদের অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল ভাংচুর, ৫-৭টি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে জামায়াতকর্মীদের অন্তত ১৫-২০টি মোটর সাইকেল নিয়ে যায় মক্কেল মৃধার লোকজন।

জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেন, আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির আওতায় আজকে সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থক বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমাদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে। আমার গাড়িসহ আমাদের শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। অন্তত ৬০-৭০ জন আহত হয়েছেন।

এবিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.স.ম আব্দুন নুর বলেন, জামায়াত ও বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে। পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এবিষযয়ে পাবনা-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, জামায়াত একটি মিথ্যাবাদী ও ষড়যন্ত্রকারী দল। তারা ঐ এলাকায় গিয়েছিল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে। তারা সেখানে অস্ত্রসহ গিয়ে গোলযোগ শুরু করে। পরে জনরোষের শিকার হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর আগেও জামায়াত আমার নামে মিথ্যাচার করেছে এবং সেগুলো ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এবারো তাদের মিথ্যাচার প্রকাশ্যে আসবে এবং ভুল প্রমাণিত হবে।

এ ঘটনায় জামায়াত-ই-ইসলামের আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলেন- “পাবনার ইশ্বরদীতে আজ যা ঘটে গেল তা হঠাৎ করে হয়নি। বিএনপির দলীয় প্রার্থীর অসহিষ্ণু, অগণতান্ত্রিক ও উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ড বারবার প্রমাণ করছে— এটি ব্যালটের যুদ্ধ নয়; বরং বুলেট দিয়ে তিনি তার সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চান। প্রশাসন যে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে আসছে, জনগণ দেখতে চায় প্রশাসন কী করে। তবে সকল সন্ত্রাসীর ব্যাপারে আমাদের বার্তা হলো— জামায়াত কোনো সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করবে না। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে লড়াই আমাদের আরও জোরদার হবে। সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। ইনশাআল্লাহ আমরা থামব না।”