ঈশ্বরদীর শেরশাহ রোডে ডাকাতি, নেপথ্যে কি?

- প্রকাশিত সময় ০৫:৫৫:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
- / 1
শনিবার ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা রাতে ঈশ্বরদী শহরের শেরশাহ রোড বেলতলা এলাকার একটি বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় ডাকাতির শিকার ভুক্তভোগী আলপনা খাতুন বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সৌদি আরব প্রবাসী রাকিব করিম বিশ্বাসের স্ত্রী আলপনা খাতুন দুই ছেলে অনুপম আহমেদ গৌরব ও অর্ককে নিয়ে শহরের শেরশাহ রোডের বেলতলা এলাকার এলজিআরডির প্রকৌশলী মশিউর রহমান মজনু সাহেবের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
আলপনা খাতুন বলেন, ডাকাত দল পানি খাওয়ার কথা বলে ভিতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫ লক্ষ টাকা, বিভিন্ন ব্যান্ডের দামি ৪টি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। তিনজন ডাকাতি বেরে হয়ে গেলেও একজন ডাকাতের সাথে আমার দুই ছেলে ধস্তাধস্তি করে এবং বড় ছেলে লোহার রড দিয়ে মাথায় বাড়ি দিয়ে তার কাছ থেকে বিদেশী উদ্ধার করে বাইরে চলে আসি এবং তখন আমরা চিৎকার করলে এলাকাবাসী উপস্থিত হয়। কিন্তু ডাকাত জানালা ভেঙে পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১২ রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগাজিন এবং ডাকাতদের ফেলে যাওয়া নম্বরবিহীন ইয়ামাহা ভি-টু ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেন।
এই ঘটনায় শহর জুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থল শহরের মোটামুটি জনবহুল এলাকা। কারন যে বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে তার পাশেই ‘ঈশ্বরদী আই হসপিটাল এন্ড ফ্যাকো সেন্টার’ এবং রাস্তার বিপরীত পাশে ঈশ্বরদী ‘হেলথ কেয়ার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’, মাত্র দুইশত ফুট দূরে হান্নানের মোড়। এমন জায়াগায় সন্ধ্যা রাতে ডাকাতির ঘটনায় শহরবাসী বিস্মিত হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ডাকাত দলের সদস্যদের একজন দুপুর ৩টার দিকে ঐ বাসায় প্রবেশ করে বাসার সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। পরে তার আরও তিন সঙ্গী ঐ বাসায় প্রবেশ করে। দীর্ঘ ৬ ঘন্টা ডাকাত দল ঐ বাসায় অবস্থান করে ডাকাতি করে চলে যায়। কিন্তু আলমগীর নামের একজন ডাকাত বের হতে গেলে ঐ বাসার ছেলে অনুপম ডাকাতের মাথায় বাড়ি দিলে ডাকাত অস্ত্র ফেলে দেয়। তখন তারা সকলে ডাকাতকে বাসার মধ্যে বন্দি করে বের হয়ে আসেন। পরে ডাকাত আলমগীর জানালা ভেঙে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ডাকাত দলের সদস্য আলমগীর ডাকাতের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের পূর্বপরিচিত। সে পাবনা শহরে শুটার আলমগীর নামে পরিচিত। আলমগীর পাবানা রাইফেলস ক্লাবের সদস্য এবং গত বছর সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অন্যতম আসামী।
এবিষয়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। একটি অবৈধ অস্ত্র মামলা এবং অপরটি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটপাট। এখনো কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি, আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।









