ঢাকা ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৬:১৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 85

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ বাঙালি জাতির জীবনে ২১ ফেব্রুয়ারি এক গৌরবোজ্জল দিন। আজ থেকে ৬৮ বছর আগে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করার অভ‚তপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন বাংলামায়ের অকুতোভয় সন্তানেরা। এই অনন্য ইতিহাসকে স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেসকো ১৯৯৯ সালে দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে দিনটিকে পালন করলো পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। একুশের প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. রোস্তম আলীর নেতৃত্বে অস্থায়ী শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এসময় শহিদদের স্মৃতির প্রতি আরো শ্রদ্ধা জানান- বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদ, শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রশাসন, শেখ হাসিনা হল প্রশাসন, প্রক্টর অফিস, কর্মচারী পরিষদ, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর, প্রকৌশল দপ্তর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন মহোদয়, বিভাগসমূহসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। শেষে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

এদিকে আজ শুক্রবার ২১ ফেব্রæয়ারির সকালে মাননীয় উপাচার্য মহোদয় নব নির্মিত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর গ্যালারী-২ এ মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের ডাকা ধর্মঘট থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেক ছাত্র নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু। মাতৃভাষা আন্দোলন ছিল মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্তা, স্বকীয়তা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার আন্দোলন। একুশের চেতনা আমাদের যুগিয়েছে স্বাধীকার, মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অফুরন্ত প্রেরণা ও অসীম সাহস। ফেব্রæয়ারির রক্তঝরা পথ বেয়েই অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। যার নেতৃত্বে ছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান।

বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশ ভাগের পরপরই পাকিস্তান পরিকল্পনা করেছিল বাঙালিদের উপর উর্দু চাপিয়ে ভাষার সাম্রাজ্যবাদ সৃষ্টি করে বাঙালিকে দাবিয়ে রেখে শোষণ করা। কিন্তু বাঙালি বিশেষ করে ছাত্র সমাজের প্রতিবাদে পশ্চিম পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা মেনে নিতে বাধ্য হয়।

বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আনোয়ার খসরু পারভেজ বলেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির জাতীয়তাবাদ তৈরী হয় এবং সেই ফেব্রæয়ারির পথ ধরেই দেশ স্বাধীন হয়।

বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ এর স ালনায় আরো বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ন আহবায়ক ড. হাসিবুর রহমান, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. খায়রুল আলম, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহমুদ চৌধুরী আসিফ ,কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার পাভেল। বাদ জুম্মা কেন্দ্রীয় মসজিদে শহিদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

প্রকাশিত সময় ০৬:১৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ বাঙালি জাতির জীবনে ২১ ফেব্রুয়ারি এক গৌরবোজ্জল দিন। আজ থেকে ৬৮ বছর আগে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করার অভ‚তপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন বাংলামায়ের অকুতোভয় সন্তানেরা। এই অনন্য ইতিহাসকে স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেসকো ১৯৯৯ সালে দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে দিনটিকে পালন করলো পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। একুশের প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. রোস্তম আলীর নেতৃত্বে অস্থায়ী শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এসময় শহিদদের স্মৃতির প্রতি আরো শ্রদ্ধা জানান- বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদ, শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রশাসন, শেখ হাসিনা হল প্রশাসন, প্রক্টর অফিস, কর্মচারী পরিষদ, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর, প্রকৌশল দপ্তর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন মহোদয়, বিভাগসমূহসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। শেষে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

এদিকে আজ শুক্রবার ২১ ফেব্রæয়ারির সকালে মাননীয় উপাচার্য মহোদয় নব নির্মিত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর গ্যালারী-২ এ মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের ডাকা ধর্মঘট থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেক ছাত্র নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু। মাতৃভাষা আন্দোলন ছিল মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্তা, স্বকীয়তা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার আন্দোলন। একুশের চেতনা আমাদের যুগিয়েছে স্বাধীকার, মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অফুরন্ত প্রেরণা ও অসীম সাহস। ফেব্রæয়ারির রক্তঝরা পথ বেয়েই অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। যার নেতৃত্বে ছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান।

বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশ ভাগের পরপরই পাকিস্তান পরিকল্পনা করেছিল বাঙালিদের উপর উর্দু চাপিয়ে ভাষার সাম্রাজ্যবাদ সৃষ্টি করে বাঙালিকে দাবিয়ে রেখে শোষণ করা। কিন্তু বাঙালি বিশেষ করে ছাত্র সমাজের প্রতিবাদে পশ্চিম পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা মেনে নিতে বাধ্য হয়।

বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আনোয়ার খসরু পারভেজ বলেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির জাতীয়তাবাদ তৈরী হয় এবং সেই ফেব্রæয়ারির পথ ধরেই দেশ স্বাধীন হয়।

বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ এর স ালনায় আরো বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ন আহবায়ক ড. হাসিবুর রহমান, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. খায়রুল আলম, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহমুদ চৌধুরী আসিফ ,কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার পাভেল। বাদ জুম্মা কেন্দ্রীয় মসজিদে শহিদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।