ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

দিল্লিতে বাসে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় চারজনের ফাঁসি কার্যকর

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০
  • / 98

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ২০১২ সালে দিল্লিতে একটি বাসে ঘটা গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে চারজনের ফাঁসি কার্যকর করেছে।

২০১৩ সালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই চারজনকে তাদের ক্ষমার আবেদন খারিজ হওয়ার পরে তিহার কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল।

শুক্রবার ভোর হওয়ার আগে এই চারজনকে রাজধানীর তিহার কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। কারাগারের প্রধান সন্দীপ গোয়েল জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের পর থেকে ভারতে এই প্রথম মৃত্যুদন্ড কার্যকর হল।

ফাঁসি কার্যকর হওয়া চারজন হলেন জিম প্রশিক্ষক বিনয় শর্মা, বাস ক্লিনার অক্ষয় ঠাকুর, ফল বিক্রেতা পবন গুপ্ত ও মুকেশ সিং। ২০১৩ সালে তাদের সবাইকে একটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেছিল।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, “ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নারীদের মর্যাদা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”

সাধারন মানুষ যারা এই ফাঁসির উদযাপনের অপেক্ষায় ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে কারাগারের বাইরে কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এসময় কারো কারো হাতে “নারীদের জন্য বিচার” এবং “অপরাধীদের ফাঁসি চাই” লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল।

২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর রাতে সংঘটিত এই অপরাধটি ব্যাপক প্রতিবাদ ও বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দেয়। ভারতীয় আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করার অনুমতি না থাকায় মিডিয়া সেসময় তাকে “নির্ভয়া” নামে অভিহিত করেছিল।

ভুক্তভোগীর মা কারাগারের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, “আজ সাত বছর পরে ন্যায়বিচার পেয়েছি আমরা”। “আমি বিচার বিভাগকে সালাম জানাই এবং আমাদের প্রার্থনা শুনেছেন বলে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার মেয়ের আত্মা এখন বিশ্রাম নিতে পারবে।”

নৃশংস এই ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রাম সিং নামে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি, ২০১৩ সালের মার্চ মাসে কারাগারে বন্দী অবস্থায় যাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল, স্পষ্টতই আত্মহত্যা করেছিল বলে ধারণা করা হয়।

অপর একজন, যিনি সেই সময় ১৭ বছর বয়সী ছিলেন, ২০১৫ সালে একটি সংশোধন কেন্দ্রে তিন বছর থাকার পরে মুক্তি পেয়ে যান। এটি অবশ্য ভারতে কিশোরদের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদ।

২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই চার ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। বিচারকরা এই অপরাধের রায় ঘোষনার সময় বলেছিলেন, এটি একটি বিরলতম ঘটনা হওয়া সত্ত্বেও মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব মান পূরণ করে।

সুপ্রিম কোর্ট তাদের মৃত্যুদন্ডাদেশ পর্যালোচনা করার জন্য কৃত আবেদন খারিজ করার পরে ভারতের রাষ্ট্রপতিও তাদের ক্ষমাপ্রার্থনা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

সূত্রঃ আলজাজিরা

দিল্লিতে বাসে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় চারজনের ফাঁসি কার্যকর

প্রকাশিত সময় ০৯:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ২০১২ সালে দিল্লিতে একটি বাসে ঘটা গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে চারজনের ফাঁসি কার্যকর করেছে।

২০১৩ সালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই চারজনকে তাদের ক্ষমার আবেদন খারিজ হওয়ার পরে তিহার কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল।

শুক্রবার ভোর হওয়ার আগে এই চারজনকে রাজধানীর তিহার কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। কারাগারের প্রধান সন্দীপ গোয়েল জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের পর থেকে ভারতে এই প্রথম মৃত্যুদন্ড কার্যকর হল।

ফাঁসি কার্যকর হওয়া চারজন হলেন জিম প্রশিক্ষক বিনয় শর্মা, বাস ক্লিনার অক্ষয় ঠাকুর, ফল বিক্রেতা পবন গুপ্ত ও মুকেশ সিং। ২০১৩ সালে তাদের সবাইকে একটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেছিল।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, “ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নারীদের মর্যাদা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”

সাধারন মানুষ যারা এই ফাঁসির উদযাপনের অপেক্ষায় ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে কারাগারের বাইরে কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এসময় কারো কারো হাতে “নারীদের জন্য বিচার” এবং “অপরাধীদের ফাঁসি চাই” লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল।

২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর রাতে সংঘটিত এই অপরাধটি ব্যাপক প্রতিবাদ ও বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দেয়। ভারতীয় আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করার অনুমতি না থাকায় মিডিয়া সেসময় তাকে “নির্ভয়া” নামে অভিহিত করেছিল।

ভুক্তভোগীর মা কারাগারের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, “আজ সাত বছর পরে ন্যায়বিচার পেয়েছি আমরা”। “আমি বিচার বিভাগকে সালাম জানাই এবং আমাদের প্রার্থনা শুনেছেন বলে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার মেয়ের আত্মা এখন বিশ্রাম নিতে পারবে।”

নৃশংস এই ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রাম সিং নামে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি, ২০১৩ সালের মার্চ মাসে কারাগারে বন্দী অবস্থায় যাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল, স্পষ্টতই আত্মহত্যা করেছিল বলে ধারণা করা হয়।

অপর একজন, যিনি সেই সময় ১৭ বছর বয়সী ছিলেন, ২০১৫ সালে একটি সংশোধন কেন্দ্রে তিন বছর থাকার পরে মুক্তি পেয়ে যান। এটি অবশ্য ভারতে কিশোরদের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদ।

২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই চার ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। বিচারকরা এই অপরাধের রায় ঘোষনার সময় বলেছিলেন, এটি একটি বিরলতম ঘটনা হওয়া সত্ত্বেও মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব মান পূরণ করে।

সুপ্রিম কোর্ট তাদের মৃত্যুদন্ডাদেশ পর্যালোচনা করার জন্য কৃত আবেদন খারিজ করার পরে ভারতের রাষ্ট্রপতিও তাদের ক্ষমাপ্রার্থনা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

সূত্রঃ আলজাজিরা