ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সাঁথিয়ায় গমের বাম্পার ফলন উৎপাদন লক্ষমাত্রা ২০হাজার ৫শত মে.টন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:৫২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০২০
  • / 99

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়ায় চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। বৃষ্টির আগে গম ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক পরিবার।

সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি¯প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলায় ৫ হাজার ৮ শত ৮০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় প্রায় ৮ শত হেক্টর বেশি। গমের উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার ৫ শত ৮০ মেট্রিকটন।

উপজেলার নন্দনপুর, ভুলবাড়িয়া, ক্ষেতুপাড়া, কাশিনাথপুর, গৌড়িগ্রাম, আর-আতাইকুলা, ধুলাউড়ি, নাগডেমড়াসহ ১০টি ইউনিয়নে প্রতিটি কৃষকের বাড়ির উঠানে গম আর গম। উপজেলার সবচেয়ে বেশি গম আবাদ হয় ক্ষেতুপাড়া, আর-আতাইকুলা ও ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নে। সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে ইঞ্জিল চালিত আধুনিক যন্ত্র দিয়ে গম মাড়াইয়ের কাজ। জমি ও বাড়ির উঠানে থাকা গম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চাষিরা। চলতি বছর উপজেলায় উন্নত জাতের বারি ৩০,৩১ ও ৩৩ জাতের গম আবাদ করেন কৃষকরা।

গমের আবাদ উপলক্ষে এলাকার মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমান মেশিন তৈরি করে গম মাড়াই করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। তৈরিকৃত আধুনিক ইঞ্জিল চালিত মাড়াই যন্ত্র দিয়ে মুহুর্তের মধ্যে গম ও খড় পৃথক করে দেওয়া যায়। যা থেকে কৃষক বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন।

চলতি বছর গমের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫ হাজার ৮ শত ৫০ হেক্টর। যা লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৩০ হেক্টর বেশি অর্জিত হয়। গত বছর আবাদের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হয়েছিল ৫ হাজার ৫শত হেক্টর। রোগ বালাই বিহীন চলতি বছর হেক্টর প্রতি গমের উৎপাদন ধরা হয়েছে ৩.৫০ মেট্রিকটন। যা মোট আবাদের ভিত্তিতে গমের উৎপাদনের পরিমান দাঁড়াবে ২০ হাজার ৫শত ৮০ মেট্রিক টনে।

রোগ বালাই বিষয়ে অফিস সূত্রে জানাযায় বর্তমানে গমের বড় রোগ ব্লাষ্ট (লাল মরিচা রোগ), যাহা গমের দানা হওয়ার আগে শুকিয়ে যায়, দানা হতে দেয় না। মৌসুমের আগে থেকেই কৃষকদের মাঠ দিবস, উঠোন বৈঠক, কৃষক প্রশিক্ষণ, সভা-সমাবেশ করে বীজ শোধন করা, ব্লাষ্টসহ বিভিন্ন রোগ-বালাই সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। পূর্ব প্রস্তুতির কারনে চলতি বছরে সাঁথিয়ায় গমের ফলন খুব ভাল হয়েছে বলে কৃষি অফিস দাবি করেন। যা অন্য বছর থেকে বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার গোস্বামী জানান, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি, অনুকুল আবহাওয়াতে ফলন বেড়েছে। চলতি বছরে উপজেলার গম কর্তন শুরু করেছে কৃষকরা। কর্তনকৃত গম মাড়াই করে হেক্টর প্রতি ৩.৫০ মেট্রিক টন গম পাওয়া যাচ্ছে। যার গড় ফলন হিসেবে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বাম্পার ফলনের ক্ষেত্রে কৃষক ও কৃষি অফিসের সমন্বিত প্রস্তুতি ছিল। যার কারণে গমে লাল মরিচা রোগ আক্রমণ করতে পারেনি।

কৃষকেরা জানানা, এবছর গম উৎপাদন করতে যে খরচ হয়েছে যদি উৎপাদিত গম সরকারী গুদাদে বিক্রি করতে পারি তা হলে লাভবান হবে।

সাঁথিয়ায় গমের বাম্পার ফলন উৎপাদন লক্ষমাত্রা ২০হাজার ৫শত মে.টন

প্রকাশিত সময় ০১:৫২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০২০

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়ায় চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। বৃষ্টির আগে গম ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক পরিবার।

সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি¯প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলায় ৫ হাজার ৮ শত ৮০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় প্রায় ৮ শত হেক্টর বেশি। গমের উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার ৫ শত ৮০ মেট্রিকটন।

উপজেলার নন্দনপুর, ভুলবাড়িয়া, ক্ষেতুপাড়া, কাশিনাথপুর, গৌড়িগ্রাম, আর-আতাইকুলা, ধুলাউড়ি, নাগডেমড়াসহ ১০টি ইউনিয়নে প্রতিটি কৃষকের বাড়ির উঠানে গম আর গম। উপজেলার সবচেয়ে বেশি গম আবাদ হয় ক্ষেতুপাড়া, আর-আতাইকুলা ও ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নে। সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে ইঞ্জিল চালিত আধুনিক যন্ত্র দিয়ে গম মাড়াইয়ের কাজ। জমি ও বাড়ির উঠানে থাকা গম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চাষিরা। চলতি বছর উপজেলায় উন্নত জাতের বারি ৩০,৩১ ও ৩৩ জাতের গম আবাদ করেন কৃষকরা।

গমের আবাদ উপলক্ষে এলাকার মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমান মেশিন তৈরি করে গম মাড়াই করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। তৈরিকৃত আধুনিক ইঞ্জিল চালিত মাড়াই যন্ত্র দিয়ে মুহুর্তের মধ্যে গম ও খড় পৃথক করে দেওয়া যায়। যা থেকে কৃষক বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন।

চলতি বছর গমের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫ হাজার ৮ শত ৫০ হেক্টর। যা লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৩০ হেক্টর বেশি অর্জিত হয়। গত বছর আবাদের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হয়েছিল ৫ হাজার ৫শত হেক্টর। রোগ বালাই বিহীন চলতি বছর হেক্টর প্রতি গমের উৎপাদন ধরা হয়েছে ৩.৫০ মেট্রিকটন। যা মোট আবাদের ভিত্তিতে গমের উৎপাদনের পরিমান দাঁড়াবে ২০ হাজার ৫শত ৮০ মেট্রিক টনে।

রোগ বালাই বিষয়ে অফিস সূত্রে জানাযায় বর্তমানে গমের বড় রোগ ব্লাষ্ট (লাল মরিচা রোগ), যাহা গমের দানা হওয়ার আগে শুকিয়ে যায়, দানা হতে দেয় না। মৌসুমের আগে থেকেই কৃষকদের মাঠ দিবস, উঠোন বৈঠক, কৃষক প্রশিক্ষণ, সভা-সমাবেশ করে বীজ শোধন করা, ব্লাষ্টসহ বিভিন্ন রোগ-বালাই সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। পূর্ব প্রস্তুতির কারনে চলতি বছরে সাঁথিয়ায় গমের ফলন খুব ভাল হয়েছে বলে কৃষি অফিস দাবি করেন। যা অন্য বছর থেকে বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার গোস্বামী জানান, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি, অনুকুল আবহাওয়াতে ফলন বেড়েছে। চলতি বছরে উপজেলার গম কর্তন শুরু করেছে কৃষকরা। কর্তনকৃত গম মাড়াই করে হেক্টর প্রতি ৩.৫০ মেট্রিক টন গম পাওয়া যাচ্ছে। যার গড় ফলন হিসেবে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বাম্পার ফলনের ক্ষেত্রে কৃষক ও কৃষি অফিসের সমন্বিত প্রস্তুতি ছিল। যার কারণে গমে লাল মরিচা রোগ আক্রমণ করতে পারেনি।

কৃষকেরা জানানা, এবছর গম উৎপাদন করতে যে খরচ হয়েছে যদি উৎপাদিত গম সরকারী গুদাদে বিক্রি করতে পারি তা হলে লাভবান হবে।