ঢাকা ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সমিতির বৈধ লাইসেন্স পেতে মৎস্যজীবিদের সংবাদ সম্মেলন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মার্চ ২০২০
  • / 99

বার্তা সংস্থা পিপঃ সমিতির লাইসেন্স নিজেদের নামে পাওয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে অর্ধশত বৈধ মৎস্যজীবি। রবিবার ২২ মার্চ পাবনার একটি পত্রিকা অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈধ মৎস্যজীবি আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, চাটমোহর থানার ফৈলজানা ইউনিয়নের দিকশাইল বিল। ১৮ বিঘা জুরে এই বিলে ১২ মাস পানি থাকে। পবাখালী মৎস্য জীবির নামে ২ টি এবং সোহাগবাড়ী মৎস্যজীবি সিিমতর নামে একটি সমিতি সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে আসছে দীর্ঘদিন। এই সব সমিতির অধিকাংশ সদস্য মৎস্যজীবি নন। তারা প্রকৃত মৎস্যজীবির কাছে চড়া দামে বিক্রি করে অতিরিক্ত মুনাফা করছে।

এর মধ্যে একটি সমিতির সভাপতি আব্দুর খালেক গ্রামের মাতব্বর। তিনি কৃষিকাজের সাথে জড়িত। তিনি কখনো মৎস্যজীবি নন।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ। তিনি পবাখালী হিরিন্দা বাজার স্বাস্থ্য কম্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত। তিনি কখনো মৎস্য জীবি নন।

সমিতির সদস্য আপা। যার প্রকৃত ব্যবসা তাঁত। সমিতির সদস্য আলতাফ যিনি পাখা ব্যবসায়ী। সমিতির সদস্য জাফর যিনি হ্যারো গাড়ীর ড্রাইভার। সমিতির সদস্য আমিরুল যিনি শ্যালো মেশিন চালক। সমিতির সদস্য ইয়াকুব যিনি মুরগীর খামারী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভূয়া মৎস্যজীবি সমিতি অবৈধভাবে লাইসেন্স করে বৈধ মৎস্যজীবিদের কাছে চড়া মূল্যে বিক্রি করে আসছে। সমিতির আরও অনেক সদস্য রয়েছেন যারা আদৌ মৎস্য শিকারের সাথে জড়িত নন। এমনকি বৈধ মৎস্যজীবীদের অনেকের কার্ডে ভূয়া মৎস্যজীবির ছবি সংযুক্ত করে সমিতির লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে।

সংশ্লিস্ট দপ্তরকে ম্যানেজ করে অবৈধ এবং ভূয়া সমিতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি অবগত হওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না অবৈধ সমিতির বিরুদ্ধে। বৈধ মৎস্যজীবিরা দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

কয়েক জন মৎস্যজীবি কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, চড়া মূল্য দিয়ে অবৈধ সমিতির কাছ থেকে মাছ ধরার অনুমতি নিয়ে সারা বছর তাদের সংসার চালানো দায় হয়ে পড়ে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সর্ব মৎস্যজীবি কার্ডধারী রিয়াজুল হক, আমিন উদ্দিন, দুলাল হোসেন, নুর মিয়া, মোসাব আলী, শহিদ, আঃ কুদ্দুস, শফি উদ্দিন, জাবেদ আলী, শফিকুল ইসলাম, রোকনুজ্জামান, আশরাফ আলী সহ অর্ধশত কার্ডধারী মৎস্যজীবী।

তারা জানান, তার “পবাখালি সমবায় সমিতি” নামে একটি সমিতির রেজিস্ট্রেশনের জন্য ২৭ জানুয়ারি চাটমোহর উপজেলা সমবায় অফিসারের কাছে আবেদন করেছেন। যার সভাপতি পবাখালীবাসী আব্দুল রাজ্জাক। সদস্য সংখ্যা ৪০। একই দিন তারা জেলা সমবায় অফিসার বরাবর আরও একটি আবেদন করেন।

জেলা সমবায় অফিসার তাৎক্ষণিক বিষয়টি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য চাটমোহর উপজেলা সমবায় অফিসারের নিদের্শ দেন। উপজেলা সমবায় অফিসার কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় আব্দুর রাজ্জাক গং দিশেহারা। তারা নিরূপায় হয়ে বিষয়টি সুরাহার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেছেন। তারা প্রকৃত মৎস্যজীবীদের নামে সমবায় সমিতির রেজিস্ট্রেশন এবং পবাখালী বিল লিজ দেয়ার দাবী জানান।

সমিতির বৈধ লাইসেন্স পেতে মৎস্যজীবিদের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত সময় ০১:০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মার্চ ২০২০

বার্তা সংস্থা পিপঃ সমিতির লাইসেন্স নিজেদের নামে পাওয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে অর্ধশত বৈধ মৎস্যজীবি। রবিবার ২২ মার্চ পাবনার একটি পত্রিকা অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈধ মৎস্যজীবি আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, চাটমোহর থানার ফৈলজানা ইউনিয়নের দিকশাইল বিল। ১৮ বিঘা জুরে এই বিলে ১২ মাস পানি থাকে। পবাখালী মৎস্য জীবির নামে ২ টি এবং সোহাগবাড়ী মৎস্যজীবি সিিমতর নামে একটি সমিতি সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে আসছে দীর্ঘদিন। এই সব সমিতির অধিকাংশ সদস্য মৎস্যজীবি নন। তারা প্রকৃত মৎস্যজীবির কাছে চড়া দামে বিক্রি করে অতিরিক্ত মুনাফা করছে।

এর মধ্যে একটি সমিতির সভাপতি আব্দুর খালেক গ্রামের মাতব্বর। তিনি কৃষিকাজের সাথে জড়িত। তিনি কখনো মৎস্যজীবি নন।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ। তিনি পবাখালী হিরিন্দা বাজার স্বাস্থ্য কম্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত। তিনি কখনো মৎস্য জীবি নন।

সমিতির সদস্য আপা। যার প্রকৃত ব্যবসা তাঁত। সমিতির সদস্য আলতাফ যিনি পাখা ব্যবসায়ী। সমিতির সদস্য জাফর যিনি হ্যারো গাড়ীর ড্রাইভার। সমিতির সদস্য আমিরুল যিনি শ্যালো মেশিন চালক। সমিতির সদস্য ইয়াকুব যিনি মুরগীর খামারী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভূয়া মৎস্যজীবি সমিতি অবৈধভাবে লাইসেন্স করে বৈধ মৎস্যজীবিদের কাছে চড়া মূল্যে বিক্রি করে আসছে। সমিতির আরও অনেক সদস্য রয়েছেন যারা আদৌ মৎস্য শিকারের সাথে জড়িত নন। এমনকি বৈধ মৎস্যজীবীদের অনেকের কার্ডে ভূয়া মৎস্যজীবির ছবি সংযুক্ত করে সমিতির লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে।

সংশ্লিস্ট দপ্তরকে ম্যানেজ করে অবৈধ এবং ভূয়া সমিতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি অবগত হওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না অবৈধ সমিতির বিরুদ্ধে। বৈধ মৎস্যজীবিরা দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

কয়েক জন মৎস্যজীবি কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, চড়া মূল্য দিয়ে অবৈধ সমিতির কাছ থেকে মাছ ধরার অনুমতি নিয়ে সারা বছর তাদের সংসার চালানো দায় হয়ে পড়ে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সর্ব মৎস্যজীবি কার্ডধারী রিয়াজুল হক, আমিন উদ্দিন, দুলাল হোসেন, নুর মিয়া, মোসাব আলী, শহিদ, আঃ কুদ্দুস, শফি উদ্দিন, জাবেদ আলী, শফিকুল ইসলাম, রোকনুজ্জামান, আশরাফ আলী সহ অর্ধশত কার্ডধারী মৎস্যজীবী।

তারা জানান, তার “পবাখালি সমবায় সমিতি” নামে একটি সমিতির রেজিস্ট্রেশনের জন্য ২৭ জানুয়ারি চাটমোহর উপজেলা সমবায় অফিসারের কাছে আবেদন করেছেন। যার সভাপতি পবাখালীবাসী আব্দুল রাজ্জাক। সদস্য সংখ্যা ৪০। একই দিন তারা জেলা সমবায় অফিসার বরাবর আরও একটি আবেদন করেন।

জেলা সমবায় অফিসার তাৎক্ষণিক বিষয়টি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য চাটমোহর উপজেলা সমবায় অফিসারের নিদের্শ দেন। উপজেলা সমবায় অফিসার কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় আব্দুর রাজ্জাক গং দিশেহারা। তারা নিরূপায় হয়ে বিষয়টি সুরাহার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেছেন। তারা প্রকৃত মৎস্যজীবীদের নামে সমবায় সমিতির রেজিস্ট্রেশন এবং পবাখালী বিল লিজ দেয়ার দাবী জানান।