ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সাঁথিয়ার কল্যাণপুর গ্রাম এখন করোনা ভাইরাস গুজবে তোলপাড়

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১২:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল ২০২০
  • / 54

আবু আল সাইদ, সাঁথিয়াঃ পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের মোঃ মজিবরের ছেলে বক্কার (৩৫) দীর্ঘদিন হার্টের সমস্যা’সহ জটিল ও কঠিণ রোগে আক্রান্ত হয়ে ভুগিতে ছিল।

এমতাবস্থায় গত-৮ এপ্রিল রাত ১২ঘটিকার সময় তিনি নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুর খবর মূহুর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় নানা রকম জল্পনা-কল্পনা।

কেউ কেউ বলে এতো কম বয়সী ছেলে কিভাবে হার্টের সমস্যায় মারা যাবে! আবার কেউ কেউ বলে ওর দীর্ঘদিন ঠান্ডা, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত ছিল এবং গোপনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

গভীর রাত থেকে শুরু করে আজ সকাল ৯ঘটিকা পর্যন্ত চলতে থাকে এমন গুজব আর আতংক। ফলে গভীর রাতেই উক্ত থানার ওসি সাহেবকে অবহিত করা হয় খবরটি, তিনি থানা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করতে বলেন।

তাৎক্ষণিক খবরটি এ প্রতিবেদককে অবহিত করলে সকাল ৮.৩০মিনিটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে এ প্রতিবেদককের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে বলেন।

পরে চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি অবহিত হবার পর জরুরি সেবায় নিয়োজিত উপজেলা স্বাস্থ্য ক্যাম্পকে অবহিত করেন। স্বাস্থ্য ক্যাম্প ঘটনাস্থলে গিয়ে সনাক্ত করেন রোগীটি হার্ট-অ্যাটার্কে মারা গেছে করোনা ভাইরাসে নয়।

চেয়ারম্যান সাহেব আরও জানান হুইখালী-কল্যাণপুরে রাজনৈতিক গ্রুপিং থাকার কারণে গুজবটি এতো বেশি ছড়িয়েছে। তারপরও সতর্কতা অবলম্বনের স্বার্থে উক্ত বাড়ি লকডাউন ও পরিবারের সকলকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আছে কিনা তা পরিক্ষা নিরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।

করোনা ভাইরাসে কল্যাণপুরে রোগী মারা গেছে এমন গুজব মুহূর্তের মধ্যে সাঁথিয়া উপজেলার তিন/চারটি ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়লে অত্র এলাকা তোলপাড় হয়ে পড়লে মৃত ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া তো দুরের কথা! এলাকার লোকজন বাড়ি থেকে বের হতেই ভয় পাচ্ছে। বর্তমানে অত্রএলাকাবাসী এখন ভীষণ ভয় এবং আতংকে উৎদিগ্ন্য হয়ে পড়েছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তুলনামূলক খুব কম সংখ্যক নিকটবর্তী আত্মীয় স্বজন উপস্থিত হয়ে উক্ত মৃত ব্যক্তির দাফন কাফনের ব্যবস্থা করছে বলে জানা যায়।

সাঁথিয়ার কল্যাণপুর গ্রাম এখন করোনা ভাইরাস গুজবে তোলপাড়

প্রকাশিত সময় ১২:২৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল ২০২০

আবু আল সাইদ, সাঁথিয়াঃ পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের মোঃ মজিবরের ছেলে বক্কার (৩৫) দীর্ঘদিন হার্টের সমস্যা’সহ জটিল ও কঠিণ রোগে আক্রান্ত হয়ে ভুগিতে ছিল।

এমতাবস্থায় গত-৮ এপ্রিল রাত ১২ঘটিকার সময় তিনি নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুর খবর মূহুর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় নানা রকম জল্পনা-কল্পনা।

কেউ কেউ বলে এতো কম বয়সী ছেলে কিভাবে হার্টের সমস্যায় মারা যাবে! আবার কেউ কেউ বলে ওর দীর্ঘদিন ঠান্ডা, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত ছিল এবং গোপনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

গভীর রাত থেকে শুরু করে আজ সকাল ৯ঘটিকা পর্যন্ত চলতে থাকে এমন গুজব আর আতংক। ফলে গভীর রাতেই উক্ত থানার ওসি সাহেবকে অবহিত করা হয় খবরটি, তিনি থানা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করতে বলেন।

তাৎক্ষণিক খবরটি এ প্রতিবেদককে অবহিত করলে সকাল ৮.৩০মিনিটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে এ প্রতিবেদককের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে বলেন।

পরে চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি অবহিত হবার পর জরুরি সেবায় নিয়োজিত উপজেলা স্বাস্থ্য ক্যাম্পকে অবহিত করেন। স্বাস্থ্য ক্যাম্প ঘটনাস্থলে গিয়ে সনাক্ত করেন রোগীটি হার্ট-অ্যাটার্কে মারা গেছে করোনা ভাইরাসে নয়।

চেয়ারম্যান সাহেব আরও জানান হুইখালী-কল্যাণপুরে রাজনৈতিক গ্রুপিং থাকার কারণে গুজবটি এতো বেশি ছড়িয়েছে। তারপরও সতর্কতা অবলম্বনের স্বার্থে উক্ত বাড়ি লকডাউন ও পরিবারের সকলকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আছে কিনা তা পরিক্ষা নিরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।

করোনা ভাইরাসে কল্যাণপুরে রোগী মারা গেছে এমন গুজব মুহূর্তের মধ্যে সাঁথিয়া উপজেলার তিন/চারটি ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়লে অত্র এলাকা তোলপাড় হয়ে পড়লে মৃত ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া তো দুরের কথা! এলাকার লোকজন বাড়ি থেকে বের হতেই ভয় পাচ্ছে। বর্তমানে অত্রএলাকাবাসী এখন ভীষণ ভয় এবং আতংকে উৎদিগ্ন্য হয়ে পড়েছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তুলনামূলক খুব কম সংখ্যক নিকটবর্তী আত্মীয় স্বজন উপস্থিত হয়ে উক্ত মৃত ব্যক্তির দাফন কাফনের ব্যবস্থা করছে বলে জানা যায়।