ঢাকা ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ইট বালি রাখতে পাবনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ১৬টি গাছ কাটার নিলাম বিজ্ঞপ্তি !

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৮:১১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০
  • / 116

█ এবিএম ফজলুর রহমান, পাবনা
পাবনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে এবার ৫ তলা ভবন নির্মাণের জন্য ইট বালি সিমেন্ট রাখার জন্য জায়গা তৈরি করতে ১৬ টি গাছ কাটার নিলাম ডাকা হয়েছে। অথচ ঐ প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস পাবনার সবচেয়ে বড় মাঠ হিসেবে পরিচিত। অনেক বড় ফাঁকা মাঠ থাকতেও কেন মালামাল রাখার জন্য ১৬টি গাছ কাটতে হবে এ নিয়ে সজেতন মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ইতোপুর্বে ঐ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের নামে ২২ টি গাছ কেটে ফেলায় এলাকার সুধিজনের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।

সুত্র জানায়, পাবনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জমিদার রহমান ৫ তলা ভবন নির্মাণে ১১ মে স্থানীয় সংবাদপত্রে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫তলা ভবন নির্মাণের ইট, বালি, রড সংরক্ষণের জন্য জায়গা খালি করতে ১৬টি গাছ ও একটি টিনশেড ভবন অপসারন প্রয়োজন। ফলে সব সব গাছ ও টিনশেড বিক্রয় করার কথা উল্লেখ করে দরপত্র আহবান করা হয়।

এ গাছের মধ্যে রয়েছে ৩টি মাঝারী ও ছোট মেহগিনি গাছ, ১টি মাঝারী জাম গাছ ও ১২টি ছোট কাঁঠাল গাছ। দরপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ধরা হয় ১৯ মে। আর একই দিন দরপত্র খোলার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

নির্মাণ সামগ্রী রাখার নামে প্রতিষ্ঠানটির ১৬ টি গাছ কাটার এ নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে সুধিজনের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। সংবাদকর্মীদের কাছে বিভিন্ন ব্যক্তি ফোন করে তীব্র প্রতিবাদ জানান।

এ ব্যাপারে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জমিদার রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গাছ কাঁটার জন্য অনুমতি বন বিভাগের নেয়া হয়েছে। কলেজে এত বড় ফাঁকা মাঠ থাকার পরও কেন আপনাকে গাছ কেটে জায়গামুক্ত করতে হবে এর কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি তিনি।

এ ব্যাপারে পাবনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কমিটি গাছ কাটার অনুমোদন দিয়েছে তাই তার কিছইু করার নেই। গাছ কাঁটার প্রয়োজন আছে কিনা এটা কি আপনি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন এ প্রশ্নের তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।

কয়েকমাস আগেও অধ্যক্ষ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের অজুহাতে ১৯ টি মুল্যবান গাছ বিক্রির দরপত্র প্রচার করে ক্যাম্পাসের ৪৬ টি গাছ কেটে সাবাড় করেন। দরপত্র ছাড়াই তিনি কোয়াটারের মধ্যে অবস্থিত ১টি বেল, ৫টি লিচু, ২টি নিম, ১টি কাঠবাদাম গাছ সহ বেশ কয়েক রকমের গাছ কেটে নেয়া হয়। এনিয়ে ব্যাপক তোলপাড়সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ ছাপা হয়। এরপর ভিটিআই পরিচালক (পাবনা শহরের বাড়ী) এ ব্যাপারে তদন্তে এলে তাকে ম্যানেজ করা হয় বলে চাউড় আছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বর্তমান অধ্যক্ষ মোঃ জমিদার রহমান ২০১৮ সালের মার্চ মাসে যোগদানের পর থেকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। তার আসার পর থেকে জেনারেল ২/১টি ক্লাস নেয়া হলেও কোন প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস নেয়া হয় না।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্র জানান, অধ্যক্ষ অন্য কর্মকর্তাদের সাথে সিন্ডিকেট করে ক্লাস না নিয়ে ইচ্ছা মতো চলছেন। বছরে ৫০ লাখ টাকার উপরে স্পটকোটেশনে দ্রব্যাদি কেনা হলেও তাতে ব্যাপক দুনীতি অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে অনুসন্ধানে জানা গেছে, এলাকার প্রভাবশালীমহলকে খুশি রেখে তিনি সরকারি বিধানেরও অবজ্ঞা করে চলছেন। ক্যাম্পাসের কোয়াটারগুলোর সরকারি বিধানে ভাড়া না কাটারও অভিযোগ রয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল করার নাম ভাঙ্গিয়ে কলেজের প্রাচীন সবুজ বেষ্টনী কেটে সাবাড় করে বিরানভুমিতে পরিণত করেন।

এ ব্যাপারে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ জমিদার রহমান জানান, যা কিছু করা হয়েছে সব নিয়মানুযায়ী করা হয়েছে।

ইট বালি রাখতে পাবনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ১৬টি গাছ কাটার নিলাম বিজ্ঞপ্তি !

প্রকাশিত সময় ০৮:১১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০

█ এবিএম ফজলুর রহমান, পাবনা
পাবনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে এবার ৫ তলা ভবন নির্মাণের জন্য ইট বালি সিমেন্ট রাখার জন্য জায়গা তৈরি করতে ১৬ টি গাছ কাটার নিলাম ডাকা হয়েছে। অথচ ঐ প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস পাবনার সবচেয়ে বড় মাঠ হিসেবে পরিচিত। অনেক বড় ফাঁকা মাঠ থাকতেও কেন মালামাল রাখার জন্য ১৬টি গাছ কাটতে হবে এ নিয়ে সজেতন মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ইতোপুর্বে ঐ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের নামে ২২ টি গাছ কেটে ফেলায় এলাকার সুধিজনের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।

সুত্র জানায়, পাবনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জমিদার রহমান ৫ তলা ভবন নির্মাণে ১১ মে স্থানীয় সংবাদপত্রে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫তলা ভবন নির্মাণের ইট, বালি, রড সংরক্ষণের জন্য জায়গা খালি করতে ১৬টি গাছ ও একটি টিনশেড ভবন অপসারন প্রয়োজন। ফলে সব সব গাছ ও টিনশেড বিক্রয় করার কথা উল্লেখ করে দরপত্র আহবান করা হয়।

এ গাছের মধ্যে রয়েছে ৩টি মাঝারী ও ছোট মেহগিনি গাছ, ১টি মাঝারী জাম গাছ ও ১২টি ছোট কাঁঠাল গাছ। দরপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ধরা হয় ১৯ মে। আর একই দিন দরপত্র খোলার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

নির্মাণ সামগ্রী রাখার নামে প্রতিষ্ঠানটির ১৬ টি গাছ কাটার এ নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে সুধিজনের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। সংবাদকর্মীদের কাছে বিভিন্ন ব্যক্তি ফোন করে তীব্র প্রতিবাদ জানান।

এ ব্যাপারে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জমিদার রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গাছ কাঁটার জন্য অনুমতি বন বিভাগের নেয়া হয়েছে। কলেজে এত বড় ফাঁকা মাঠ থাকার পরও কেন আপনাকে গাছ কেটে জায়গামুক্ত করতে হবে এর কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি তিনি।

এ ব্যাপারে পাবনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কমিটি গাছ কাটার অনুমোদন দিয়েছে তাই তার কিছইু করার নেই। গাছ কাঁটার প্রয়োজন আছে কিনা এটা কি আপনি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন এ প্রশ্নের তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।

কয়েকমাস আগেও অধ্যক্ষ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের অজুহাতে ১৯ টি মুল্যবান গাছ বিক্রির দরপত্র প্রচার করে ক্যাম্পাসের ৪৬ টি গাছ কেটে সাবাড় করেন। দরপত্র ছাড়াই তিনি কোয়াটারের মধ্যে অবস্থিত ১টি বেল, ৫টি লিচু, ২টি নিম, ১টি কাঠবাদাম গাছ সহ বেশ কয়েক রকমের গাছ কেটে নেয়া হয়। এনিয়ে ব্যাপক তোলপাড়সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ ছাপা হয়। এরপর ভিটিআই পরিচালক (পাবনা শহরের বাড়ী) এ ব্যাপারে তদন্তে এলে তাকে ম্যানেজ করা হয় বলে চাউড় আছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বর্তমান অধ্যক্ষ মোঃ জমিদার রহমান ২০১৮ সালের মার্চ মাসে যোগদানের পর থেকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। তার আসার পর থেকে জেনারেল ২/১টি ক্লাস নেয়া হলেও কোন প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস নেয়া হয় না।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্র জানান, অধ্যক্ষ অন্য কর্মকর্তাদের সাথে সিন্ডিকেট করে ক্লাস না নিয়ে ইচ্ছা মতো চলছেন। বছরে ৫০ লাখ টাকার উপরে স্পটকোটেশনে দ্রব্যাদি কেনা হলেও তাতে ব্যাপক দুনীতি অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে অনুসন্ধানে জানা গেছে, এলাকার প্রভাবশালীমহলকে খুশি রেখে তিনি সরকারি বিধানেরও অবজ্ঞা করে চলছেন। ক্যাম্পাসের কোয়াটারগুলোর সরকারি বিধানে ভাড়া না কাটারও অভিযোগ রয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল করার নাম ভাঙ্গিয়ে কলেজের প্রাচীন সবুজ বেষ্টনী কেটে সাবাড় করে বিরানভুমিতে পরিণত করেন।

এ ব্যাপারে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ জমিদার রহমান জানান, যা কিছু করা হয়েছে সব নিয়মানুযায়ী করা হয়েছে।