আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের নাদুড়িয়া গ্রামের মৃত তফিজ উদ্দিনের ছেলে রকিবুল ইসলাম (২৮) পরকীয়া প্রেমের জেরে খুন হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে আটঘরিয়া থানা পুলিশ মহিলাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হল, নাদুড়িয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাইদুল ইসলাম, ইসলামের ছেলে বাদল এবং পরকীয়ার সাথে জড়িত ফারুকের স্ত্রী শারমিন খাতুন শম্পা।

আটঘরিয়া থানার তদন্তকারী অফিসার এসআই কনক দাস জানান, আসামিরা আদালতে লোমহর্ষক খুনের ঘটনা স্বীকারোক্তিমূলক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নাদুড়িয়া গ্রামের ফারুকের স্ত্রী শারমিন খাতুন শম্পার সাথে বিবাহের পর থেকে প্রায় ১২-১৩ বছর ধরে একই গ্রামের সাইদুল ইসলাম পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে মৃত রকিবুল ইসলাম তাদের অবৈধ কার্যকলাপ দেখে ফেলে। দেখার পর থেকে রকিবুল ইসলাম তাদের অনৈতিক সম্পর্ক সবার কাছে উন্মুক্ত করে দিতে চায় নতুবা তাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হবে। এমনকি শম্পা খাতুন কেও কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। এর একপর্যায়ে শম্পা খাতুন প্রেমিক সাইদুলের সাথে পরামর্শ করে রকিবুল কে চিরতরে বিদায় করে সিদ্ধান্ত নেয়। এই বলে সে বাপের বাড়িতে চলে যায়।

ঘটনার দিন ১৩ জুন শম্পা খাতুন ফোন করে রকিবুলকে তার বাবার বাড়িতে আসতে বলে। অপরদিকে রকিবুলকে হত্যার জন্য শম্পার প্রেমিক সাইদুল ও তার চাচাতো ভাই বাদল বাড়ির রাস্তায় ওত পেতে থাকে। বাদলকে টাকার লোভ দেখিয়ে হাত করে নেয় সাইদুল। যথাসময়ে রকিবুল শম্পার বাড়ির সামনে পৌঁছালে সাইদুল ও বাদল রফিকুল কে ধরে কথা কাটাকাটি একপর্যায়ে গলা টিপে হত্যা করে।

মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য শম্পার পরামর্শ অনুযায়ী রকিবুল কে বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়। মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে গেলে রকিবুল কে নাদুড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার পাশে পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয়।

এ ব্যাপারে আটঘরিয়া থানা একটি হত্যা মামলা হয়েছে।