ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সাঁথিয়ায় এনামুল হত্যা মামলার বাদীকে হুমকী; লুটপাটের আশংকায় মেয়রের নিকট ৪৫ গরু জিম্মা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:৫১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০
  • / 69

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভার আমোশ গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত এনামুলের পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী দেওয়ার অভিযোগ বাদীর পক্ষের।

নিহত এনামুলের স্ত্রী সীমা (৩৮) জানান, আসামী পক্ষের লোকজন ফোনে ও লোক মারফৎ আমার পরিবারকে দেখে নেবার হুমকী দিয়ে আসছে। তারা টাকার বিনিময়ে মিমাংসা করে মামলা থেকে রক্ষা পাবে বলে হুমকী দেন। এমন কি প্রয়োজনে আসামী পক্ষের আহত ব্যক্তিকে হত্যা করে পাল্টা হত্যা মামলা করবে বলে ফোনে সীমার ভাই মোজামকে হুমকী দিয়েছে আসামী পক্ষে লোকজন।

পাবনা এ্যাডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র ও নিহত এনামুলের ছেলে হুমায়ন কবির বলেন, পুলিশ আমাদের খবর রাখলেও এ পর্যন্ত নামীয় আসামীদের আটক করতে পারেনি। আসামীরা নিজেদের মালামাল অন্যত্র হস্তান্তরের সময় মেয়র মিরাজুল ইসলাম তা নিজের দায়িত্বে নেন।

এদিকে হত্যার ঘটনায় ১১ আগস্ট সাঁথিয়া থানায় মামলা হলে (মামলা নং ১৩) আসামীরা ঘর বাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। বাড়িতে পালনকৃত গরু ও আসবাবপত্র নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে তারা। লুটপাটের আশংকায় আসামীরা লোক মারফেৎ নিজেদের গরু সাঁথিয়া পৌর মেয়রের জিম্মায় দেন। মেয়র মিরাজুল ইসলাম তাদের ১৫টি বাচ্চুরসহ ৪৫টি গরু বাড়িতে শ্রমিক দ্বারা দেখাশোনা করছেন।

হত্যা মামলার প্রধান আসামী বাবলু মেয়ে সুলতানা খাতুন বলেন, মামলার পরে বাড়ির সবাই পালালে আমি গরু নিয়ে লুটপাটের আশংকা করি। পরে মেয়রকে ডেকে আমাদেরসহ অন্য আসামীদের গরু তার জিম্মায় দিয়ে দেই। গত শনিবার মেয়রের বাড়িতে গিয়ে আমাদের ৯টি গরু দেখে এসেছি।

সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল আমোশ গ্রামে গেলে দেখা যায়, আসামীরা বাড়িতে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে। তাদের আত্বীয় স্বজনরা এসে বাড়ি পাহারা দিচ্ছে।

সাঁথিয়া পৌর মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রামানিক জানান, আসামীদের আত্বীয় স্বজনরা লুটপাটের ভয়ে তাদের রেখে যাওয়া গরু আমার জিম্মায় দেন। এলাকার পরিবেশ শান্ত হলে স্ব-স্ব ব্যক্তিকে তাদের গরু বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। আসামীদের আটকের জোর চেষ্টা চলছে। এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।

প্রকাশ উপজেলার আমোশ গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ১ আগস্ট রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনায় রাজশাহী হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় গত ১১ আগস্ট মৃত তফিজ শেখের ছেলে আহত এনামুলের মৃত্যু হয়। এঘটনায় তার ভাই কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাাঁথিয়া থানায় মামলা করেন।

সাঁথিয়ায় এনামুল হত্যা মামলার বাদীকে হুমকী; লুটপাটের আশংকায় মেয়রের নিকট ৪৫ গরু জিম্মা

প্রকাশিত সময় ০৭:৫১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভার আমোশ গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত এনামুলের পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী দেওয়ার অভিযোগ বাদীর পক্ষের।

নিহত এনামুলের স্ত্রী সীমা (৩৮) জানান, আসামী পক্ষের লোকজন ফোনে ও লোক মারফৎ আমার পরিবারকে দেখে নেবার হুমকী দিয়ে আসছে। তারা টাকার বিনিময়ে মিমাংসা করে মামলা থেকে রক্ষা পাবে বলে হুমকী দেন। এমন কি প্রয়োজনে আসামী পক্ষের আহত ব্যক্তিকে হত্যা করে পাল্টা হত্যা মামলা করবে বলে ফোনে সীমার ভাই মোজামকে হুমকী দিয়েছে আসামী পক্ষে লোকজন।

পাবনা এ্যাডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র ও নিহত এনামুলের ছেলে হুমায়ন কবির বলেন, পুলিশ আমাদের খবর রাখলেও এ পর্যন্ত নামীয় আসামীদের আটক করতে পারেনি। আসামীরা নিজেদের মালামাল অন্যত্র হস্তান্তরের সময় মেয়র মিরাজুল ইসলাম তা নিজের দায়িত্বে নেন।

এদিকে হত্যার ঘটনায় ১১ আগস্ট সাঁথিয়া থানায় মামলা হলে (মামলা নং ১৩) আসামীরা ঘর বাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। বাড়িতে পালনকৃত গরু ও আসবাবপত্র নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে তারা। লুটপাটের আশংকায় আসামীরা লোক মারফেৎ নিজেদের গরু সাঁথিয়া পৌর মেয়রের জিম্মায় দেন। মেয়র মিরাজুল ইসলাম তাদের ১৫টি বাচ্চুরসহ ৪৫টি গরু বাড়িতে শ্রমিক দ্বারা দেখাশোনা করছেন।

হত্যা মামলার প্রধান আসামী বাবলু মেয়ে সুলতানা খাতুন বলেন, মামলার পরে বাড়ির সবাই পালালে আমি গরু নিয়ে লুটপাটের আশংকা করি। পরে মেয়রকে ডেকে আমাদেরসহ অন্য আসামীদের গরু তার জিম্মায় দিয়ে দেই। গত শনিবার মেয়রের বাড়িতে গিয়ে আমাদের ৯টি গরু দেখে এসেছি।

সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল আমোশ গ্রামে গেলে দেখা যায়, আসামীরা বাড়িতে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে। তাদের আত্বীয় স্বজনরা এসে বাড়ি পাহারা দিচ্ছে।

সাঁথিয়া পৌর মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রামানিক জানান, আসামীদের আত্বীয় স্বজনরা লুটপাটের ভয়ে তাদের রেখে যাওয়া গরু আমার জিম্মায় দেন। এলাকার পরিবেশ শান্ত হলে স্ব-স্ব ব্যক্তিকে তাদের গরু বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। আসামীদের আটকের জোর চেষ্টা চলছে। এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।

প্রকাশ উপজেলার আমোশ গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ১ আগস্ট রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনায় রাজশাহী হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় গত ১১ আগস্ট মৃত তফিজ শেখের ছেলে আহত এনামুলের মৃত্যু হয়। এঘটনায় তার ভাই কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাাঁথিয়া থানায় মামলা করেন।