ঢাকা ১১:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সবকিছুর দাম আকাশচুম্বীঃ এ যেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের উপার্জনকারীদের লড়াই

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৮:২২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০
  • / 75

পাবনা প্রতিনিধিঃ বর্তমানে শাকসব্জির দাম বৃ্দ্ধি পাওয়ায় নিম্ন ও মধ্য আয়ের উপার্জনকারীদের লড়াই আকাশচুম্বী হয়ে দাড়িয়েছে।

পাবনাসহ উত্তরের জেলাগুলোতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের উপার্জনকারীরা শাকসবজির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে যেন লড়াই করে যাচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভাল দাম পাওয়ায় এবং আরও ভাল মুনাফা অর্জন করায় চাষীরা অবশ্য খুশি হয়েছেন। কিন্তু নিম্ন ও মধ্য আয়ের উপার্জনকারীদের চলছে খুবই কঠিন সময়।

কর্মকর্তারা ও কৃষকরা বলেন, এ বছর এই অঞ্চলটিতে বেশ কয়েকবার বন্যার কবলে পড়ে যা সবজির দাম বৃদ্ধির মূল কারণ। তদুপরি বাজারের তদারকি ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণের অভাবে আলু, কাঁচা শাকসব্জীসহ সব কিছুর দাম বেড়েছে অসহনীয় পর্যায়ে। আলু, বেগুন, শিম, বরবটি, কাঁচা কলা, পেঁপে, মূলা, লাউ, মটরশুটি, কাঁচা মরিচ এবং শাকসব্জির দাম অতীতের চেয়ে বর্তমান দামের পার্থক্য এতটাই বেশি; যা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

বাজার সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগে এই অঞ্চলে বাজারে আলুর দাম ছিল প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা, বেগুন ৩০-৩৫ টাকা কেজি, কুমড়া ২০-২৫ টাকা কেজি, করলা ৪০-৫০ টাকা কেজি এবং লাল শাক প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা। উত্তরাঞ্চলীয় জেলা জুড়ে বাজারগুলোতে সবজির পাইকারি দাম এখন প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে এবং অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা সরবরাহের ঘাটতির কারণ উল্লেখ করেছেন।

নিম্ন-আয়ের উপার্জনকারীরা খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। সবজির বাজারের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে বলে জানান বড় বাজারের ভোক্তা আবদুস সালাম, আবদুল খালেক, মোমিন আলী, নাজিম উদ্দিনসহ অনেকে।

ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির জন্য পণ্য সরবরাহে হ্রাসকে দায়ী করছেন।

ব্যবসায়ীদের মতে, এ বছর সবজির সরবরাহ অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কমেছে এবং ফলস্বরূপ তাদের আরো বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এবং বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। যদিও প্রতি শীতে জমিতে আগাম শাকসব্জিতে পূর্ণতার কারণে বাজারে পূর্ণতা আসে।

তবে এবার শাকসব্জিসহ বেশিরভাগ ফসল বন্যার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে এবং ফলস্বরূপ দাম বৃদ্ধি বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

পাবনা শহরের কাঁচা বাজারের আড়ৎদাররা বলেন, গ্রাম থেকে বাজারগুলেতে সবজির সরবরাহ এখন হ্রাস পেয়েছে; ফলে দাম বেড়েছে। তবে সব চেয়ে সমস্যায় পড়েছেন তারা; যাদের আয় একেবারেই সীমিত, যারা পারেন না চাইতে, পারছেন না নির্ধারিত আয় ব্যতীত অন্য কিছু করতে।

 

আরও পড়ুনঃ ভাঙ্গুড়ায় লাগাম হীনভাবে বেড়েছে কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম

 

সবকিছুর দাম আকাশচুম্বীঃ এ যেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের উপার্জনকারীদের লড়াই

প্রকাশিত সময় ০৮:২২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০

পাবনা প্রতিনিধিঃ বর্তমানে শাকসব্জির দাম বৃ্দ্ধি পাওয়ায় নিম্ন ও মধ্য আয়ের উপার্জনকারীদের লড়াই আকাশচুম্বী হয়ে দাড়িয়েছে।

পাবনাসহ উত্তরের জেলাগুলোতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের উপার্জনকারীরা শাকসবজির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে যেন লড়াই করে যাচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভাল দাম পাওয়ায় এবং আরও ভাল মুনাফা অর্জন করায় চাষীরা অবশ্য খুশি হয়েছেন। কিন্তু নিম্ন ও মধ্য আয়ের উপার্জনকারীদের চলছে খুবই কঠিন সময়।

কর্মকর্তারা ও কৃষকরা বলেন, এ বছর এই অঞ্চলটিতে বেশ কয়েকবার বন্যার কবলে পড়ে যা সবজির দাম বৃদ্ধির মূল কারণ। তদুপরি বাজারের তদারকি ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণের অভাবে আলু, কাঁচা শাকসব্জীসহ সব কিছুর দাম বেড়েছে অসহনীয় পর্যায়ে। আলু, বেগুন, শিম, বরবটি, কাঁচা কলা, পেঁপে, মূলা, লাউ, মটরশুটি, কাঁচা মরিচ এবং শাকসব্জির দাম অতীতের চেয়ে বর্তমান দামের পার্থক্য এতটাই বেশি; যা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

বাজার সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগে এই অঞ্চলে বাজারে আলুর দাম ছিল প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা, বেগুন ৩০-৩৫ টাকা কেজি, কুমড়া ২০-২৫ টাকা কেজি, করলা ৪০-৫০ টাকা কেজি এবং লাল শাক প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা। উত্তরাঞ্চলীয় জেলা জুড়ে বাজারগুলোতে সবজির পাইকারি দাম এখন প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে এবং অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা সরবরাহের ঘাটতির কারণ উল্লেখ করেছেন।

নিম্ন-আয়ের উপার্জনকারীরা খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। সবজির বাজারের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে বলে জানান বড় বাজারের ভোক্তা আবদুস সালাম, আবদুল খালেক, মোমিন আলী, নাজিম উদ্দিনসহ অনেকে।

ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির জন্য পণ্য সরবরাহে হ্রাসকে দায়ী করছেন।

ব্যবসায়ীদের মতে, এ বছর সবজির সরবরাহ অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কমেছে এবং ফলস্বরূপ তাদের আরো বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এবং বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। যদিও প্রতি শীতে জমিতে আগাম শাকসব্জিতে পূর্ণতার কারণে বাজারে পূর্ণতা আসে।

তবে এবার শাকসব্জিসহ বেশিরভাগ ফসল বন্যার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে এবং ফলস্বরূপ দাম বৃদ্ধি বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

পাবনা শহরের কাঁচা বাজারের আড়ৎদাররা বলেন, গ্রাম থেকে বাজারগুলেতে সবজির সরবরাহ এখন হ্রাস পেয়েছে; ফলে দাম বেড়েছে। তবে সব চেয়ে সমস্যায় পড়েছেন তারা; যাদের আয় একেবারেই সীমিত, যারা পারেন না চাইতে, পারছেন না নির্ধারিত আয় ব্যতীত অন্য কিছু করতে।

 

আরও পড়ুনঃ ভাঙ্গুড়ায় লাগাম হীনভাবে বেড়েছে কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম