ঢাকা ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বাউৎ উৎসবে মেতেছে সৌখিন মাছ শিকারীরা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৬:২৫:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 59

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বাউৎ উৎসবে মেতেছে বিল রুহুলে সৌখিন মাছ শিকারীরা।

১লা ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিল রুহুলে এই মাছ ধরার উৎসব পালন করেছে বিল রুহুল ভাঙ্গুড়াচাটমোহর উপজেলা কিছু অংশ মিলে অবস্থিত।

ভোর থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে নসিমন, করিমন, ভটভোটি, আটোরিক্সা, মোটর সাইকেল যোগে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে দল বোঁধে মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে তারা এসে হাজির হয়। এবিলে সৌখিন মাছ শিকারীরা প্রতিবছর এই উৎসব পালন করে থাকে।

জানা গেছে, পাবনার চলনবিল বিধৌত এলাকা চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে বেশকিছু বিল। তার মধ্যে বিল রুহুল অন্যতম।

রুহুল বিলের পশ্চিমে চাটমোহর উপজেলার পাশ্বডাঙ্গা টেংগজানি, বোয়ালিয়া, উত্তরে পাটুলিপাড়া রঙ্গালিয়া দক্ষিণে লাউত কান্দি মধুরগাতি, আলম নগর, পূর্বে হাটগ্রাম, কালিকা দহ অবস্থিত। এরই মাঝখানে ঐতিহ্যবাহী রুহুল বিল অবস্থিত।

বন্যার পানি নেমে গেলে বিল এলাকাতে গুলোতে প্রচুর পরিমানে দেশীয় প্রজাতির মাছ বোয়াল, সোল, রুই, কাতলা, গজার, নিচু জলাভুমিতে বিরাজ করে।

আর বিলপাড়ের সৌখন মাছ শিকারীরা অবসরে বা কাজের ফাঁকে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে দল বোঁধে পলো, জালি (ছোট জাল), বাদাই জাল, ঠেলা জাল, ধর্মখরা ইত্যাদি নিয়ে মাছ ধরতে আসে।

তারা আগে থেকেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একে অন্যোর সাথে যোগাযোগ করে এ বিলে মাছ শিকার করতে আসে। গ্রাম অঞ্চলের লোকেরা এই উৎসবকে বাউৎ উৎসব বলে থাকে।

সরেজমিন মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বিল রুহুলে গিয়ে দেখা যায়, ভোর বেলা থেকে পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে দল তীব্র শীত উপেক্ষা করে দল বেঁধে শত শত সৌখিন মাছ শিকারী এসে রুহুল বিলের পাড়ে এসে হাজির হয়।

তারপর দল বেধে যার যার মতো প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে মাছধরার উপকরণ নিয়ে মাছ ধরতে পানিতে নেমে পড়ে। এভাবে বেলা বাড়ার পরপরই যার যার মতো মাছ ধরার পালা সঙ্গে করে আবার নিজ নিজ গন্তব্য স্থানে ফিরে যায়।

পাবনা জেলার সদর উপজেলার মজিদপুর এলাকার রহন বলেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে আমরা একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে মাছ শিকার করতে আসি।

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বাউৎ উৎসবে মেতেছে সৌখিন মাছ শিকারীরা

প্রকাশিত সময় ০৬:২৫:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০২০

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বাউৎ উৎসবে মেতেছে বিল রুহুলে সৌখিন মাছ শিকারীরা।

১লা ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিল রুহুলে এই মাছ ধরার উৎসব পালন করেছে বিল রুহুল ভাঙ্গুড়াচাটমোহর উপজেলা কিছু অংশ মিলে অবস্থিত।

ভোর থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে নসিমন, করিমন, ভটভোটি, আটোরিক্সা, মোটর সাইকেল যোগে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে দল বোঁধে মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে তারা এসে হাজির হয়। এবিলে সৌখিন মাছ শিকারীরা প্রতিবছর এই উৎসব পালন করে থাকে।

জানা গেছে, পাবনার চলনবিল বিধৌত এলাকা চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে বেশকিছু বিল। তার মধ্যে বিল রুহুল অন্যতম।

রুহুল বিলের পশ্চিমে চাটমোহর উপজেলার পাশ্বডাঙ্গা টেংগজানি, বোয়ালিয়া, উত্তরে পাটুলিপাড়া রঙ্গালিয়া দক্ষিণে লাউত কান্দি মধুরগাতি, আলম নগর, পূর্বে হাটগ্রাম, কালিকা দহ অবস্থিত। এরই মাঝখানে ঐতিহ্যবাহী রুহুল বিল অবস্থিত।

বন্যার পানি নেমে গেলে বিল এলাকাতে গুলোতে প্রচুর পরিমানে দেশীয় প্রজাতির মাছ বোয়াল, সোল, রুই, কাতলা, গজার, নিচু জলাভুমিতে বিরাজ করে।

আর বিলপাড়ের সৌখন মাছ শিকারীরা অবসরে বা কাজের ফাঁকে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে দল বোঁধে পলো, জালি (ছোট জাল), বাদাই জাল, ঠেলা জাল, ধর্মখরা ইত্যাদি নিয়ে মাছ ধরতে আসে।

তারা আগে থেকেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একে অন্যোর সাথে যোগাযোগ করে এ বিলে মাছ শিকার করতে আসে। গ্রাম অঞ্চলের লোকেরা এই উৎসবকে বাউৎ উৎসব বলে থাকে।

সরেজমিন মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বিল রুহুলে গিয়ে দেখা যায়, ভোর বেলা থেকে পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে দল তীব্র শীত উপেক্ষা করে দল বেঁধে শত শত সৌখিন মাছ শিকারী এসে রুহুল বিলের পাড়ে এসে হাজির হয়।

তারপর দল বেধে যার যার মতো প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে মাছধরার উপকরণ নিয়ে মাছ ধরতে পানিতে নেমে পড়ে। এভাবে বেলা বাড়ার পরপরই যার যার মতো মাছ ধরার পালা সঙ্গে করে আবার নিজ নিজ গন্তব্য স্থানে ফিরে যায়।

পাবনা জেলার সদর উপজেলার মজিদপুর এলাকার রহন বলেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে আমরা একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে মাছ শিকার করতে আসি।