ঢাকা ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

গাইবান্ধায় কচুরিপানার তৈরি জিনিস দেশের গন্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে বিদেশে

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১
  • / 111

গাইবান্ধা  প্রতিনিধিঃ উত্তরের জেলা গাইবান্ধায় খাল-বিলে অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানা থেকে নারীদের তৈরি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে।

গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার মদনেপাড়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।

বন্যার ভাঙনে শত শত পরিবারের নিঃস্ব গৃহিনী আর স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীরা এবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে কচুরিপানার ওপর ভর করে। শুকনো কচুরিপানা দিয়ে তৈরি করা এসব সামগ্রী রপ্তানি করা  হচ্ছে বিদেশে।

আগে কচুরীপানাকে অপ্রয়োজনীয়, পচনশীল এবং আবর্জনা, যা  মশা উৎপাদনের কেন্দ্র বলেই মনে করা হতো।

এখন সেই কচুরিপানা দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে  নানারকম বাহারি পণ্য।

উদ্যোক্তাদের  উদ্দোগে অপ্রয়োজনীয় উদ্ভিদ কচুরিপানাকে অর্থকরী পণ্যে রূপান্তর করেছে এই উপজেলার নারীরা।  এখন তারা কচুরিপানাকে নিয়ে স্বনির্ভর জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখছেন।

তারা কচুরিপানা দিয়ে তৈরি করছেন ব্যাগ, বালতি, ফুলের টবসহ নিত্য নতুন বাহারি সৌখিন পণ্য।

স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের অবসর সময়টা কাটছে এসব পন্য তৈরি করে। এভাবে তারা পরিবার ও অর্থিনীতিতে অবদান রাখছে।

এসব পণ্যের চাহিদা আমাদের দেশে কম থাকলেও রপ্তানি করা হয় আমেরিকা, নেদারল্যান্ডসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে।

ফলে একদিকে যেমন আয়ের উৎস বাড়ছে,  অপরদিকে তারা গড়ে উঠছে দক্ষ জনশক্তি হয়ে। যা দেশের অর্থনীতিতে  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

গাইবান্ধায় কচুরিপানার তৈরি জিনিস দেশের গন্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে বিদেশে

প্রকাশিত সময় ০৭:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১

গাইবান্ধা  প্রতিনিধিঃ উত্তরের জেলা গাইবান্ধায় খাল-বিলে অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানা থেকে নারীদের তৈরি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে।

গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার মদনেপাড়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।

বন্যার ভাঙনে শত শত পরিবারের নিঃস্ব গৃহিনী আর স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীরা এবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে কচুরিপানার ওপর ভর করে। শুকনো কচুরিপানা দিয়ে তৈরি করা এসব সামগ্রী রপ্তানি করা  হচ্ছে বিদেশে।

আগে কচুরীপানাকে অপ্রয়োজনীয়, পচনশীল এবং আবর্জনা, যা  মশা উৎপাদনের কেন্দ্র বলেই মনে করা হতো।

এখন সেই কচুরিপানা দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে  নানারকম বাহারি পণ্য।

উদ্যোক্তাদের  উদ্দোগে অপ্রয়োজনীয় উদ্ভিদ কচুরিপানাকে অর্থকরী পণ্যে রূপান্তর করেছে এই উপজেলার নারীরা।  এখন তারা কচুরিপানাকে নিয়ে স্বনির্ভর জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখছেন।

তারা কচুরিপানা দিয়ে তৈরি করছেন ব্যাগ, বালতি, ফুলের টবসহ নিত্য নতুন বাহারি সৌখিন পণ্য।

স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের অবসর সময়টা কাটছে এসব পন্য তৈরি করে। এভাবে তারা পরিবার ও অর্থিনীতিতে অবদান রাখছে।

এসব পণ্যের চাহিদা আমাদের দেশে কম থাকলেও রপ্তানি করা হয় আমেরিকা, নেদারল্যান্ডসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে।

ফলে একদিকে যেমন আয়ের উৎস বাড়ছে,  অপরদিকে তারা গড়ে উঠছে দক্ষ জনশক্তি হয়ে। যা দেশের অর্থনীতিতে  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।