পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অবাধে মা মাছ ও পোনা নিধন

- প্রকাশিত সময় ০৬:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১
- / 96
ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় বর্ষার পানি আসার সঙ্গে সঙ্গেই দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা মাছ নিধনের মহোৎসব শুরু হয়েছে।
উপজেলার বড়াল, করতোয়া, গুমানী নদী সহ বিভিন্ন খাল-বিলে এ উৎসব চললেও প্রশাসন নিরব রয়েছে। তবে সচেতন মহল মনে করেন, এ বিষয়ে প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারী না থাকায় ভরা মৌসুমেও হাট- বাজার গুলোতে বড় মাছের আকাল দেখা দিয়েছে।
বর্ষার পানি নদ-নদীতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই এক শ্রেণির অসাধু মৎস শিকারিরা সরকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, চায়না দোয়ার, মশারি, বাঁধাই জাল ও মাছ ধরার নানা উপকরণ দিয়ে মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন করছে।
হাটে-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অবৈধভাবে ধরা এসব দেশীয় প্রজাতীর মা মাছ ও পোনা মাছ। উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে জানা যায়, গত সপ্তাহব্যপী গুমানী, বড়াল, করতোয়া, বড়বিল,
বামুনজানীবিল, মাদবিল, বিলরউল, বিলছ্যাইলাই, বগাবিল সহ বিভিন্ন নদী বিলের পানি বৃদ্ধি পাওায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, মশারি দিয়ে তৈরি নেট জাল, বেড় জাল, বাঁধাই জাল,
খৈলশুনি সহ মাছ ধরার নানা উপকরণ দিয়ে মা মাছ ও পোনা মাছ নিধনযজ্ঞে মেতে উঠেছে এক শেণির অসাধু মৎস্য শিকারিরা। বিশেষ করে শৈল ও টাকি মাছের পোনা মারতে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছেন তারা।
তাছাড়া করোনা কালীন অলস সময় পার করতে নানা শ্রেণি পেশার মানষের মাছ শিকারে
প্রবণতা আরো বেড়ে গেছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা বলেন, আমি সহ অত্র মৎস্য অধিদপ্তরের ৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কোভিড- ১৯-এ পজেটিভ হওয়ায় সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসাধীন ছিলাম। অচিরেই উপজেলা প্রশসনের সহযোগিতায় অভিযান চালানো হবে।
তিনি আরো বলেন, মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এভাবে নদ-নদী থেকে পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ নির্বিচারে নিধন অব্যহত থাকলে মাছের বংশ বৃদ্ধি নিয়ে চরম উদ্যেগ প্রকাশ করেছেন অভিজ্ঞ মহল।
প্রজননের ভরা মৌসুমে এসব নদ-নদী-বিলে পোনা ও ডিমওযালা মা মাছ নির্বিচার নিধন বন্ধ করা না গেলে অদুর ভবিষ্যতে নদ-নদী-বিল গুলোতে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছের তীব্র আকাল দেখ দেওয়ার আশঙ্কা করেছেন সংশ্লিষ্ট মহল।












