সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে এবং সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করে রাকিব।

একপর্যায়ে নিয়মিত আবাসিক হোটেলে আসতে অস্বীকৃতি জানালে ধর্ষণকারী রাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণে সেই ভিডিও বন্ধুবান্ধবসহ বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করে।

ধর্ষণকারী রাকিব (২২) উল্লাপাড়া উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে।

স্কুলছাত্রী একপর্যায়ে পরিবারকে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের বাবা নিরুপায় হয়ে সলঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়নের মেহমান শাহী গ্রামে বোনের বাড়ি আসা যাওয়ার সুবাদে রাকিব কৌশলে ঐ স্কুল ছাত্রীর ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে এবং ফোনে স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় এক পর্যায়ে মেয়েটি রাকিবের প্রেমে রাজি হয়। কিছুদিন কথা চালাচালির পরে তাকে বিয়ের আশ্বাস দিতে থাকে লম্পট রাকিব। তার কিছুদিন পরেই স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়ে বোনের বাড়িতে ঘুরতে নিয়ে যায় এবং সেখানে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ফোনে, সেই ভিডিও ভাইরাল করে দিবে বলে ভয় দেখিয়ে সিরাজগঞ্জ রোডে ইয়াকুব আলীর আবাসিক হোটেলে নিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করতে থাকে।

উক্ত ঘটনা এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে এবং এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও পুলিশের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় হতাশায় ভুক্তভোগী পরিবার।

মিয়ের বাবা জহির উদ্দিন বলেন, সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছি,আমার মেয়ের গোপনে ভিডিও ধারণ করে এবং আমার মেয়েকে ভয়ভীতি দেখায় এবং আমার মেয়ে একদম ভেঙে পড়েছে। তাই এই ধর্ষণকারী সঠিক বিচার চাই।

সলঙ্গা থানার এসআই বজেশ্বর রায় বলেন, মেয়ের বাবা জহির উদ্দিন বাদি হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন এবং মামলাটি চলমান রয়েছে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।