পাবনার চাটমোহরে ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত কামার পাড়া

- প্রকাশিত সময় ১১:২৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১
- / 97
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : কামারশালায় টুং টাং শব্দেই যেন জানান দিচ্ছে আর অল্প কিছুদিন পরেই ঈদুল আজহা। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস সাইজ করতে ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটি অত্যাবশ্যকীয়। সেগুলো সংগ্রহ ও প্রস্তুত রাখতে এখন সবাই ব্যস্ত।
পশু কোরবানির দা, ছুরি ও চাপাতিসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে এখন থেকেই মানুষ কামারপাড়ায় ভিড় জমাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ পুরানো সরঞ্জাম মেরামত অথবা শান দিয়ে নিচ্ছেন।
প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব, আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প। পাশাপাশি কয়লা আর কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের পরিমাণ কমেছে বলেও জানান কার্মকাররা। বর্তমান আধুনিক যন্ত্রাংশের প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চললেও পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে জমে উঠে এ শিল্প।
হান্ডিয়াল বাজারের কর্মকার সুলতান মাহমুদ বলেন, এটা আমাদের পৈতৃক পেশা, আমি ছোটকাল থেকেই এই কাজ করছি। ঈদকে সামনে রেখে পাইকারী দোকানদার ও খুচরা ক্রেতাদের কাছে এই সময়ে আমাদের কদর বেশ ভালই থাকে, তবে করোনার প্রভাবে অন্যান্য বছরের চেয়ে কাজের চাপ একটু কম, তবে দিন দিন কাজের চাহিদা আরো বাড়ছে।
উপজেলার সমাজ বাজারের লালন মিয়া জানান, বছরের অন্য দিনগুলোতে তেমন কাজ থাকে না। কিন্তু কোরবানির ঈদ এলে কাজের চাপ বেড়ে যায়। দিনরাত কাজ করেও অবসর পাওয়া যায় না।
কারিগররা জানান, কাঁচা-পাকা লোহা দিয়ে তৈরি করা হয় ধাতব যন্ত্রপাতি। তবে পাকা লোহার দা-ছুরির চাহিদা সবসময়ই বেশি থাকে এবং বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে। ঈদুল-আজহা সামনে রেখে চাটমোহর উপজেলার কামার দোকানগুলিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কর্মকাররা।
শেষ পর্যন্ত করোনার প্রভাবে এবং লকডাউনের বিধি নিষেধে অনিশ্চিত বাজার নিয়ে শংকার মধ্য দিয়েই কাজ করে যাচ্ছে বাংলার এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী জাত পেশার কারিগর কর্মকাররা।
কামাররা জানান, দা আকৃতি ও লোহাভেদে ২০০ থেকে ৫০০টাকা, ছুরি ১০০ থেকে ৫০০ টাকা, চাকু প্রতিটি সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ১৫০ টাকা, হাড় কোপানোর চাপাতি প্রতিটি ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং পুরানো দা-বটি, ছুড়ি শান দিতে বা লবন-পানি দিতে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়।












