স্বতঃকন্ঠ বার্তকক্ষঃ পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বলেছেন যে, তোমরা মনে করো না যে আজ সকালে ফেরির দ্বারা একটি স্তম্ভের আঘাতে কাঠামোর কোনও ক্ষতি করেছে।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মনে করি না, আঘাত (ফেরির) কারণে সেতুর কোনো ক্ষতি হয়েছে।… যাইহোক, আমরা তদন্ত করছি।”

তিনি বলেন, কাঠামোটি একটি বিধান রেখে তৈরি করা হয়েছে যে এটি ৫০০০ টনের আঘাত সহ্য করতে সক্ষম হবে।

আরেকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আছি।”

“আমরা এর আগে তাদের (বিআইডব্লিউটিসি) মৌখিকভাবে বলেছি যত্নসহকারে প্রযুক্তিগতভাবে সাউন্ড ফেরি পরিচালনা করতে। তবে মনে হচ্ছে ফেরিগুলি প্রযুক্তিগতভাবে ভাল ছিল না এবং সাবধানে পরিচালনা করা হচ্ছিল না। আমরা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের চিঠি লিখব,” তিনি বলেন।

এদিকে, প্রকল্পের সাথে জড়িত একজন প্রকৌশলী বলেছেন যে তারা ঘটনার তদন্ত করছেন এবং এর পিছনে কোন খারাপ উদ্দেশ্য আছে কিনা তা জানতে স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়রী দাখিল করবেন।

মাদারিপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের সিমলায়া ঘাটে যাওয়ার সময় পদ্মা সেতুর একটি স্তম্ভে রো-রো ফেরি ধাক্কা মারলে প্রায় ২০ জন যাত্রী আহত হন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন তথ্য কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খানকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফেরি শাহ জালাল নদীর উপর লাউহাজাং এলাকার কাছে ১৭ নম্বর স্তম্ভে আঘাত হানে।

ফেরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পদ্মা সেতুর ১৭তম স্তম্ভে আঘাত হানে, যার ফলে ফেরিটির কিছুটা ক্ষতি হয়।

এর আগে মঙ্গলবার আরেকটি ফেরি নির্মীয়মান সেতুর আরেকটি স্তম্ভে ধাক্কা মারে, যার ফলে ফেরির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আগামী বছরের জুন মাসে জনসাধারণের জন্য ৬.১৫ কিলোমিটারের সেতুটি ৩০,০০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর আর নেই