ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শোক শক্তিতে পরিণত হয়েছে: নূরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১
  • / 166

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূরুজ্জামান বিশ্বাস শোকাবহ আগষ্টের প্রথমদিনে বরেছেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শোক আজ শক্তিতে পরিণত হয়ে দেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

রবিবার তাঁর বাসভবনে একান্ত সাক্ষাতকারে এমপি বিশ্বাস বলেন, আগস্ট মাস এলে বাংলাদেশের মানুষের বুকের ভেতর বয়ে যায় বেদনার স্রোত। ১৯৭৫ সালের এ মাসেই নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

আগস্ট মানেই বাঙালীর শোকের মাস। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ যথাযোগ্য ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এ মাসে কর্মসূচি পালন করে। প্রতিবারের মত এবারও আগস্ট মাস জুড়ে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে মতাসীন এই দলটি আগামী জাতীয় নির্বাচন ল্য করে শোককে সাংগঠনিক শক্তিতে পরিণত করছে।

তিনি বলেন, আগস্ট মাস বাংলার ইতিহাসে নির্মমতার এক কালো অধ্যায়। শুধু বঙ্গবন্ধুই নয়, ঘাতকের বুলেট আঘাত হেনেছে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামালকে।

এই হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্ত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্ত:স্বত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিল।

সেদিন দেশের বাইরে অবস্থান করার কারণে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। দীর্ঘ লড়াই ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে স্বাধীন করে বঙ্গবন্ধু যখন এ দেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে দাড় করানোর সংগ্রামে নিয়োজিত ঠিক তখনই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা কেবল একটি দেশের জাতির পিতাকেই হত্যা নয়, পুরো জাতির বিরুদ্ধে ছিল আঘাত।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ৩৫ বছর জাতি হিসাবে আমরা যে কলংকের বোঝা বহন করেছি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার ও ২০১০ সালে তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করায় কিছুটা হলেও তা হালকা করেছে। খুনিদের বাকীরা যারা এখনও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পলাতক আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার প্রক্রিয়া চলমান আছে।

বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে মতাসীন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

সামাজিক অগ্রগতির সূচকে এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে।

আরও পড়ুনঃ চাটমোহর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের আয়োজনে ১ লা আগষ্ট কালো ব্যাজ ধারন

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শোক শক্তিতে পরিণত হয়েছে: নূরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি

প্রকাশিত সময় ০৫:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূরুজ্জামান বিশ্বাস শোকাবহ আগষ্টের প্রথমদিনে বরেছেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শোক আজ শক্তিতে পরিণত হয়ে দেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

রবিবার তাঁর বাসভবনে একান্ত সাক্ষাতকারে এমপি বিশ্বাস বলেন, আগস্ট মাস এলে বাংলাদেশের মানুষের বুকের ভেতর বয়ে যায় বেদনার স্রোত। ১৯৭৫ সালের এ মাসেই নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

আগস্ট মানেই বাঙালীর শোকের মাস। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ যথাযোগ্য ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এ মাসে কর্মসূচি পালন করে। প্রতিবারের মত এবারও আগস্ট মাস জুড়ে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে মতাসীন এই দলটি আগামী জাতীয় নির্বাচন ল্য করে শোককে সাংগঠনিক শক্তিতে পরিণত করছে।

তিনি বলেন, আগস্ট মাস বাংলার ইতিহাসে নির্মমতার এক কালো অধ্যায়। শুধু বঙ্গবন্ধুই নয়, ঘাতকের বুলেট আঘাত হেনেছে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামালকে।

এই হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্ত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্ত:স্বত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিল।

সেদিন দেশের বাইরে অবস্থান করার কারণে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। দীর্ঘ লড়াই ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে স্বাধীন করে বঙ্গবন্ধু যখন এ দেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে দাড় করানোর সংগ্রামে নিয়োজিত ঠিক তখনই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা কেবল একটি দেশের জাতির পিতাকেই হত্যা নয়, পুরো জাতির বিরুদ্ধে ছিল আঘাত।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ৩৫ বছর জাতি হিসাবে আমরা যে কলংকের বোঝা বহন করেছি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার ও ২০১০ সালে তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করায় কিছুটা হলেও তা হালকা করেছে। খুনিদের বাকীরা যারা এখনও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পলাতক আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার প্রক্রিয়া চলমান আছে।

বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমানে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে মতাসীন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

সামাজিক অগ্রগতির সূচকে এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে।

আরও পড়ুনঃ চাটমোহর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের আয়োজনে ১ লা আগষ্ট কালো ব্যাজ ধারন