ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনাতে করোনায় অস্তিত্ব হারাচ্ছে মৃৎশিল্প

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১২:০০:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১
  • / 152

(পাবনা) প্রতিনিধি : করোনাভাইরাস প্রতিরেধে সরকার যে সব বিধিনিষেধ আরোপ করেছে,তাতে নিম্ন আয়ের অনেক পেশার মানুষ ক্ষতির শিকার।

তারা পড়েছেন জীবিকার কষ্টে। এমনই একটি পেশা মৃৎশিল্প। এমনিতেই কালের বিবর্তনে দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে মৃৎ শিল্প। এরপর করোনার ছোবল। কুমারপাড়ার মৃৎ শিল্পের সাথে জড়িত বাসিন্দাদের পরিবারে নেমে এসেছে দুর্দিন।

মৃৎ শিল্পিদের চাকা আজ আর তেমন ঘোরে না। তবুও বাপ- দাদার পেশা আঁকড়ে ধরে আছে অনেকেই। আবার কেউ কেউ জীবিকার তাগিদে পেশা বদল করেছে আধুনিকতার ছোঁয়ায় চাহিদাও হারিয়ে মাটির তৈরী পণ্যসামগ্রী।

পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের জিরো পয়েন্ট মহল্লার মহন্ত বাড়ির বাসিন্দা শ্রী হরিপদ পালের ছেলে শ্রীপদ কুমার পাল মাটির তৈরী নানা রঙের মাটির ব্যাংক, শিশুদের জন্য রকমারী নকশার পুতুল, ছোট ছোট হাড়ি, পাতিল, কড়াই, নানান ধরণের পাখি, হাতি, ঘোড়া, বাঘ, ফুলদানি, ফলমূলসহ নানা খেলনা বিক্রি করছেন।

শ্রীপদ কুমার পাল জানান,করোনাকালে কঠোর লকডাউনে চাকা ঘুরছে না। কোন কাজ নেই। তাই এসব অন্যত্র থেকে পাইকারী দরে কিনে এনে বিক্রি করছি। সারাদিন যা বিক্রি হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য।

দুর্দিনে কাটছে আমাদের জীবন। শ্রীপদ পালের মতো মৃৎ শিল্পিদের জীবন কাটছে নানা সংকটে। তবুও জীবন সংগ্রামে প্রাণপণ লড়ে যাচ্ছেন অবিরাম। শ্রীপদ পালের মতো চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া,মূলগ্রাম,হরিপুর ও পৌর এলাকার পালপাড়ার মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত ২ শতাধিক কুমার পরিবার অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

আরও পরুনঃ বাঘায় শোকাহত আগষ্ট, আ’লীগের মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন

পাবনাতে করোনায় অস্তিত্ব হারাচ্ছে মৃৎশিল্প

প্রকাশিত সময় ১২:০০:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১

(পাবনা) প্রতিনিধি : করোনাভাইরাস প্রতিরেধে সরকার যে সব বিধিনিষেধ আরোপ করেছে,তাতে নিম্ন আয়ের অনেক পেশার মানুষ ক্ষতির শিকার।

তারা পড়েছেন জীবিকার কষ্টে। এমনই একটি পেশা মৃৎশিল্প। এমনিতেই কালের বিবর্তনে দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে মৃৎ শিল্প। এরপর করোনার ছোবল। কুমারপাড়ার মৃৎ শিল্পের সাথে জড়িত বাসিন্দাদের পরিবারে নেমে এসেছে দুর্দিন।

মৃৎ শিল্পিদের চাকা আজ আর তেমন ঘোরে না। তবুও বাপ- দাদার পেশা আঁকড়ে ধরে আছে অনেকেই। আবার কেউ কেউ জীবিকার তাগিদে পেশা বদল করেছে আধুনিকতার ছোঁয়ায় চাহিদাও হারিয়ে মাটির তৈরী পণ্যসামগ্রী।

পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের জিরো পয়েন্ট মহল্লার মহন্ত বাড়ির বাসিন্দা শ্রী হরিপদ পালের ছেলে শ্রীপদ কুমার পাল মাটির তৈরী নানা রঙের মাটির ব্যাংক, শিশুদের জন্য রকমারী নকশার পুতুল, ছোট ছোট হাড়ি, পাতিল, কড়াই, নানান ধরণের পাখি, হাতি, ঘোড়া, বাঘ, ফুলদানি, ফলমূলসহ নানা খেলনা বিক্রি করছেন।

শ্রীপদ কুমার পাল জানান,করোনাকালে কঠোর লকডাউনে চাকা ঘুরছে না। কোন কাজ নেই। তাই এসব অন্যত্র থেকে পাইকারী দরে কিনে এনে বিক্রি করছি। সারাদিন যা বিক্রি হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য।

দুর্দিনে কাটছে আমাদের জীবন। শ্রীপদ পালের মতো মৃৎ শিল্পিদের জীবন কাটছে নানা সংকটে। তবুও জীবন সংগ্রামে প্রাণপণ লড়ে যাচ্ছেন অবিরাম। শ্রীপদ পালের মতো চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া,মূলগ্রাম,হরিপুর ও পৌর এলাকার পালপাড়ার মৃৎশিল্পের সাথে জড়িত ২ শতাধিক কুমার পরিবার অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

আরও পরুনঃ বাঘায় শোকাহত আগষ্ট, আ’লীগের মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন