পাবনার আটঘরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

- প্রকাশিত সময় ০২:৪২:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট ২০২১
- / 109
পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার ৬১নং সড়াবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রইছ উদ্দিনের সাময়িক বরখাস্তাদেশ জারী করা হয়েছে।
বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়, প্রাথমিক শিক্ষা, রাজশাহী বিভাগ, রাজশাহীর উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ কর্তৃক স্বাক্ষরিত ০৪/০৫/২০২১ খ্রি. তারিখের পত্রে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাবনায় সি.আর ৫৮/২০২০ (আটঘরিয়া) নং মামলায় ২৩/১১/২০২০ খ্রি. তারিখ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে নং ০২ এ স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন লাভ করায় বি.এস.আর (পার্ট-১) এ বিধি ৭৩ এর নোট-(২) এর সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের অপিস মেমোরিন্ডাম নং ঊউ(জবম.ঠও)ঝ-১২৩/৭৮-১১৫(৫০০) তারিখ ২১ নভেম্বর, ১৯৭৮ মোতাবেক জামিন লাভের তারিখ ২৩/১১/২০২০ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ঔ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করায় আদালত থেকে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়। পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার ৬১নং সড়াবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত বাবদ ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পায়।
বরাদ্দকৃত টাকার ব্যয় সংক্রান্ত মিটিং না করে সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমানের থেকে ব্যাংক চেকে অগ্রীম স্বাক্ষর চাইলে সভাপতি মিটিং করে স্বাক্ষর প্রদান করবেন বলে প্রধান শিক্ষককে জানান।
প্রধান শিক্ষক কৌশলে নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটি ভাঙ্গার ষড়যন্তে লিপ্ত হন এবং সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ৪টি পত্র তৈরি করে কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার প্রস্তাব শিক্ষা কমিটিতে জমা দেয়া হয়। পরবর্তীতে নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়।
পরবর্তীতে কমিটির সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান আদালতে উক্ত প্রধান শিক্ষক তাঁর স্বাক্ষর জাল করেছেন মর্মে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাবনা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিঃ ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী আদালত-০২ এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৪৮/২০১৯(আট) সিআর ৫৮/২০।
বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই তদন্ত করেন এবং সভাপতির স্বাক্ষর হ্যান্ড রাইটিং এক্সপাট করার জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার (ফরেনসিক) বাংলাদেশ পুলিশ, সিআইডি, ঢাকায় প্রেরণ করেন।
সেখানে পুলিশ পরিদর্শক ও হস্তলিপি বিশারদ বাংলাদেশ পুলিশ, সিআইডি উক্ত স্বাক্ষর ‘অমিল’ পাওয়া যায় মর্মে প্রতিবেদন দেন।
মোঃ রইছ উদ্দিন প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি ও সভাপতির স্বাক্ষর করে উক্ত বিদ্যালয়ের যৌথ হিসাব স্বাক্ষরের সোনালী ব্যাংক, আটঘরিয়া শাখায় পাওনা বাবদ টাকা জমা প্রদান পত্রে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে অনুরোধ করে প্রধান শিক্ষক নিজেই সভাপতির পরিচয় দিয়ে নিজেই জাল স্বাক্ষর প্রতারণা ও জালিয়াতি করায় পেনাল কোডের ৪৬৮/৪৭১ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হয় মর্মে পিআইবি আদালতে রিপোর্ট দাখিল করেন।
বিজ্ঞ আদালত গত ১২/১১/২০২০ খ্রি.তারিখে উক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রইচ উদ্দিনের নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। পরবর্তীতে উক্ত প্রধান শিক্ষক ২৩/১১/২০২০ তারিখ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে নং ০২ এ হাজির হয়ে জামিন লাভ করেন।












