ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদীতে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে চিকিৎসা সেবার নামে ভোগান্তির অভিযোগ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১
  • / 187

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ ঈশ্বরদী পৌরসভার পাতিলাখালি নতুন পাড়ার মোঃ রাশেদুল ইসলামের ১১ বছরের ছোট্ট মেয়ে আরিশা। হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে আরিশা। আরিশার এই অসুস্থতায় তার বাব-মার জীবনে নতুন এক অমানবিক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হলো। সেই ঘটনাই তিনি আমাদের সবিস্তর বর্ণনা করেছেন।

আরিশার বাবা-মার বক্তব্য, প্রাপ্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল ও ব্যবস্থাপত্রের ভিত্তিতে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ১০ নভেম্বর রাতে আরিশার হটাৎ পেটে ব্যথা ও বমি আরম্ভ হয়। তাৎক্ষণিক আরিশার বাবা-মা তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে আরিশার অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার ১২ নভেম্বর আলো জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যান।

আলো জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মাসুমা আঞ্জুম ডানা আরিশার শারিরিক অবস্থা দেখে আল্ট্রাস্নোগ্রাফিক টেস্ট হোল অ্যাবডোমিন(ইউএসজি ডাব্লিউ/এ), কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট(সিবিসি), ফেরিটিন, সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (সিআরপি), ইউরিন রুটিন মাইক্রোস্কোপিক এক্সাম(ইউরিন আর/এম/ই), ব্লাড গ্রুপ, বিলিরুবিন, ক্রিয়েটিনিন, হেপাটাইটিস বি সারফেস অ্যান্টিজেন(এইচবিএসএজি) পরীক্ষা এবং আরিশাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আরিশাকে আলো জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এসময় তাকে ইনজেকশন ও স্যালাইন(নাম জানা যায়নি) দেওয়া হয়। আলো জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স ভুল রক্তনালীতে ইনজেকশন প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ করেন আরিশার বাবা। কারন ইনজেকশনের সুচ ঢোকানোর সাথে সাথে আরিশা চিৎকার করে ওঠে এবং তার হাত কনুই পর্যন্ত ফুলে যায়। পরে অপর হাতে ইনজেকশন ও স্যালাইন দেওয়া হয়।

আরিশার বাবা আলো জেনারেল হাসপাতালেই এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে রবিবার ১৩ নভেম্বর প্রাপ্ত ফলাফল সমূহ ডাঃ মাসুমা আঞ্জুম ডানা কে দেখান।

ডাঃ মাসুমা আঞ্জুম ডানা এসব ফলাফল (ইএসআর=৪৭এমএম/১ম ঘন্টা, টোটাল ডাব্লিউবিসি কাউন্ট=১২৪৩০ সিইউএমএম) ও আরিশার শারীরিক উপসর্গ (জ্বর, পেটে প্রচন্ড ব্যাথা, বাম পাশে কুঁজো হয়ে হাটা ইত্যাদি) দেখে অ্যাপেন্ডিসাটিস এর ইমার্জেন্সি অপারেশন করতে বলেন। এবং অপারেশন সংক্রান্ত বিষয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এসময় আরিশার মা মেয়ের অপারেশনের কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

আরিশার বাবা ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বললে ম্যানেজার বলেন, অপারেশন বাবদ ৮ হাজার টাকা খরচ হবে। আরিশার দরিদ্র বাবার কাছে এত টাকা না থাকায় তিনি আরিশাকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন।

আরিশার বাবা রাশিদুল তার আত্মীয়-স্বজনদের নিকট থেকে টাকা ধার চান। এসময় রাশিদুলের মামা আরিশাকে অন্য হাসপাতালে পুনঃপরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। রাশিদুল তার মামার পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তীতে আরিশাকে হেলথ কেয়ার ডায়গনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান।

হেলথ কেয়ার ডায়গনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডাঃ লতিফা সুলতানা আলো জেনারেল হাসপাতালের রিপোর্টগুলো দেখেন এবং পুনরায় আল্ট্রাস্নোগ্রাফিক টেস্ট হোল অ্যাবডোমিন(ইউএসজি ডাব্লিউ/এ) পরীক্ষা দেন। ডাঃ লতিফা সুলতানা ফলাফল ও শারীরিক উপসর্গ(জ্বর, পেটে প্রচন্ড ব্যাথা, বাম পাশে কুঁজো হয়ে হাটা ইত্যাদি) দেখে অ্যাপেন্ডিসাটিস এর সম্ভাবনার কথা বলেন এবং আরিশাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

ডাঃ লতিফা সুলতানার কথা শুনে দরিদ্র বাবা দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তাৎক্ষণিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাজশাহী নিয়ে যাওয়ার পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অ-নির্দিষ্ট পেটে ব্যথা জনিত কারনে আরিশাকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করান।

পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিশার বাবাকে পুনরায় আল্ট্রাস্নোগ্রাফিক টেস্ট হোল অ্যাবডোমিন(ইউএসজি ডাব্লিউ/এ), সিএক্সআর, কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট(সিবিসি), ইলেক্ট্রোলাইট, ক্রিয়েটিনিন, ইউরিন রুটিন মাইক্রোস্কোপিক এক্সাম(ইউরিন আর/এম/ই) পরীক্ষা করতে বলেন।

আরিশার বাবা পুনরায় এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে শিশুটির বাবাকে বলেন আপনার মেয়ের অ্যাপেন্ডিসাটিস এর সমস্যা নেই। আপনার মেয়ের জ্বর ও গ্যাস্ট্রোফেজিয়াল থেকে এই সমস্যাটি দেখা দিয়েছিল। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোটিগাট, সেফ-৩ ও নাপা সিরাপ সম্বলিত একটি ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আরিশাকে ছাড়পত্র দেন।

এখন আরিশার বাবার অভিযোগ হলো আমরা নিতান্তই দরিদ্র মানুষ, তারপরও আমাদের সন্তানের উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা বেসরকারি হাসপাতালে যায়। কিন্তু এসব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতি মানবিক না হয়ে ব্যবসার চেস্টা করে যা অত্যান্ত দুঃখজনক। আমার মেয়ের অ্যাপেন্ডিসাটিস হয় নাই তারপরও অ্যাপেন্ডিসাটিস এর অপারেশন করতে বলে। আমরা সল্প শিক্ষিত দরিদ্র মানুষ, এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তারা একপ্রকার আমাদের উপর জুলুম করছে। কান্নায় ভেঙে পড়ে আরিশার বাবা বলেন, কোথায় কার কাছে আমরা এসবের প্রতিকার চাইবো? এগুলো কি প্রতারণা নয়?

ঈশ্বরদীতে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে চিকিৎসা সেবার নামে ভোগান্তির অভিযোগ

প্রকাশিত সময় ১১:৩৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১

নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ ঈশ্বরদী পৌরসভার পাতিলাখালি নতুন পাড়ার মোঃ রাশেদুল ইসলামের ১১ বছরের ছোট্ট মেয়ে আরিশা। হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে আরিশা। আরিশার এই অসুস্থতায় তার বাব-মার জীবনে নতুন এক অমানবিক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হলো। সেই ঘটনাই তিনি আমাদের সবিস্তর বর্ণনা করেছেন।

আরিশার বাবা-মার বক্তব্য, প্রাপ্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল ও ব্যবস্থাপত্রের ভিত্তিতে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ১০ নভেম্বর রাতে আরিশার হটাৎ পেটে ব্যথা ও বমি আরম্ভ হয়। তাৎক্ষণিক আরিশার বাবা-মা তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে আরিশার অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার ১২ নভেম্বর আলো জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যান।

আলো জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মাসুমা আঞ্জুম ডানা আরিশার শারিরিক অবস্থা দেখে আল্ট্রাস্নোগ্রাফিক টেস্ট হোল অ্যাবডোমিন(ইউএসজি ডাব্লিউ/এ), কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট(সিবিসি), ফেরিটিন, সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (সিআরপি), ইউরিন রুটিন মাইক্রোস্কোপিক এক্সাম(ইউরিন আর/এম/ই), ব্লাড গ্রুপ, বিলিরুবিন, ক্রিয়েটিনিন, হেপাটাইটিস বি সারফেস অ্যান্টিজেন(এইচবিএসএজি) পরীক্ষা এবং আরিশাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আরিশাকে আলো জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এসময় তাকে ইনজেকশন ও স্যালাইন(নাম জানা যায়নি) দেওয়া হয়। আলো জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স ভুল রক্তনালীতে ইনজেকশন প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ করেন আরিশার বাবা। কারন ইনজেকশনের সুচ ঢোকানোর সাথে সাথে আরিশা চিৎকার করে ওঠে এবং তার হাত কনুই পর্যন্ত ফুলে যায়। পরে অপর হাতে ইনজেকশন ও স্যালাইন দেওয়া হয়।

আরিশার বাবা আলো জেনারেল হাসপাতালেই এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে রবিবার ১৩ নভেম্বর প্রাপ্ত ফলাফল সমূহ ডাঃ মাসুমা আঞ্জুম ডানা কে দেখান।

ডাঃ মাসুমা আঞ্জুম ডানা এসব ফলাফল (ইএসআর=৪৭এমএম/১ম ঘন্টা, টোটাল ডাব্লিউবিসি কাউন্ট=১২৪৩০ সিইউএমএম) ও আরিশার শারীরিক উপসর্গ (জ্বর, পেটে প্রচন্ড ব্যাথা, বাম পাশে কুঁজো হয়ে হাটা ইত্যাদি) দেখে অ্যাপেন্ডিসাটিস এর ইমার্জেন্সি অপারেশন করতে বলেন। এবং অপারেশন সংক্রান্ত বিষয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এসময় আরিশার মা মেয়ের অপারেশনের কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

আরিশার বাবা ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বললে ম্যানেজার বলেন, অপারেশন বাবদ ৮ হাজার টাকা খরচ হবে। আরিশার দরিদ্র বাবার কাছে এত টাকা না থাকায় তিনি আরিশাকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন।

আরিশার বাবা রাশিদুল তার আত্মীয়-স্বজনদের নিকট থেকে টাকা ধার চান। এসময় রাশিদুলের মামা আরিশাকে অন্য হাসপাতালে পুনঃপরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। রাশিদুল তার মামার পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তীতে আরিশাকে হেলথ কেয়ার ডায়গনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান।

হেলথ কেয়ার ডায়গনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডাঃ লতিফা সুলতানা আলো জেনারেল হাসপাতালের রিপোর্টগুলো দেখেন এবং পুনরায় আল্ট্রাস্নোগ্রাফিক টেস্ট হোল অ্যাবডোমিন(ইউএসজি ডাব্লিউ/এ) পরীক্ষা দেন। ডাঃ লতিফা সুলতানা ফলাফল ও শারীরিক উপসর্গ(জ্বর, পেটে প্রচন্ড ব্যাথা, বাম পাশে কুঁজো হয়ে হাটা ইত্যাদি) দেখে অ্যাপেন্ডিসাটিস এর সম্ভাবনার কথা বলেন এবং আরিশাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

ডাঃ লতিফা সুলতানার কথা শুনে দরিদ্র বাবা দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তাৎক্ষণিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাজশাহী নিয়ে যাওয়ার পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অ-নির্দিষ্ট পেটে ব্যথা জনিত কারনে আরিশাকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করান।

পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিশার বাবাকে পুনরায় আল্ট্রাস্নোগ্রাফিক টেস্ট হোল অ্যাবডোমিন(ইউএসজি ডাব্লিউ/এ), সিএক্সআর, কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট(সিবিসি), ইলেক্ট্রোলাইট, ক্রিয়েটিনিন, ইউরিন রুটিন মাইক্রোস্কোপিক এক্সাম(ইউরিন আর/এম/ই) পরীক্ষা করতে বলেন।

আরিশার বাবা পুনরায় এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে শিশুটির বাবাকে বলেন আপনার মেয়ের অ্যাপেন্ডিসাটিস এর সমস্যা নেই। আপনার মেয়ের জ্বর ও গ্যাস্ট্রোফেজিয়াল থেকে এই সমস্যাটি দেখা দিয়েছিল। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মোটিগাট, সেফ-৩ ও নাপা সিরাপ সম্বলিত একটি ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আরিশাকে ছাড়পত্র দেন।

এখন আরিশার বাবার অভিযোগ হলো আমরা নিতান্তই দরিদ্র মানুষ, তারপরও আমাদের সন্তানের উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা বেসরকারি হাসপাতালে যায়। কিন্তু এসব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতি মানবিক না হয়ে ব্যবসার চেস্টা করে যা অত্যান্ত দুঃখজনক। আমার মেয়ের অ্যাপেন্ডিসাটিস হয় নাই তারপরও অ্যাপেন্ডিসাটিস এর অপারেশন করতে বলে। আমরা সল্প শিক্ষিত দরিদ্র মানুষ, এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তারা একপ্রকার আমাদের উপর জুলুম করছে। কান্নায় ভেঙে পড়ে আরিশার বাবা বলেন, কোথায় কার কাছে আমরা এসবের প্রতিকার চাইবো? এগুলো কি প্রতারণা নয়?